জার্মানিতে কট্টর ডানপন্থিদের উত্থানে শঙ্কা – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
     ১১:২১ অপরাহ্ণ

আরও খবর

গাজায় একদিনে ইসরাইলি হামলায় নিহত ৮০, অনাহারে ১৪

শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ১২০ দেশকে পাশে পেয়েছিল ইরান

খামেনিকে হত্যার হুমকি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে রাজধানীর গুলশানে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ দলের বিরুদ্ধে। গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলায় পাঁচজনকে আদালতে পাঠিয়ে পুলিশ প্রতিবেদনে এ কথা বলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক সদস্য (বহিষ্কৃত) আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাড্ডা থানা শাখার সদস্য (বহিষ্কৃত) ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে আদালতে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে প্রথম চারজনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপরজনকে আটক রাখার আবেদন করা হয় পৃথক আবেদনে। দুটি আবেদনেই তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, উল্লেখিত আসামিসহ তাঁদের একটি সংঘবদ্ধ দল দীর্ঘদিন ধরে গুলশান এলাকায় বিভিন্ন বাসায় গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে আরও উল্লেখ করেন, এই সংঘবদ্ধ দলের সদস্যরা দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে। তারা আরও কিছু মানুষের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করতে এবং এই সংঘবদ্ধ দলের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা জানার জন্য চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি আবেদনে লেখেন, মামলার এজাহারে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা ইতিমধ্যে মামলার বাদীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। ওই টাকা উদ্ধারের জন্যও রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান চারজনকে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।

ভারতের সবচেয়ে বড় আইটি কোম্পানির কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা

হামাসকে নির্মূল করে পূর্ণ বিজয় অর্জনে ইসরায়েল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: নেতানিয়াহু

জার্মানিতে কট্টর ডানপন্থিদের উত্থানে শঙ্কা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:২১ 39 ভিউ
জোট সরকারের পতনের সাড়ে তিন মাস পর নতুন করে নির্বাচন হতে যাচ্ছে জার্মানিতে। দেশটির পার্লামেন্টের ২১তম নির্বাচন আজ। জার্মানির নির্বাচন নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতে দেখা না গেলেও এবারের জাতীয় নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো বিশ্ব। বিশেষ করে গোটা ইউরোপের নজর এখন ভোটের ফলের দিকে। দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক সংকটের পর এ নির্বাচন দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এবার কট্টর ডানপন্থি দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) উত্থান নিয়েও বাড়ছে শঙ্কা। বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, আনাদোলু। দেশটিতে জোট সরকারের পতন হয় সাড়ে তিন মাস আগে। যখন বাজেট নীতি ও অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে দেশটির অর্থমন্ত্রীকে পদচ্যুত করা হয়। এই

নির্বাচনের মাধ্যমে ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে নতুন সরকার গঠিত হবে, যা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারে। তবে এ নির্বাচনে এএফডির জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশের এবারের নির্বাচনে অভিবাসনবিরোধী কট্টর জাতীয়তাবাদী দল এএফডির ভোট ও আসন বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিরোধীরা। দলটি এবার ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেলে পার্লামেন্টে তাদের আসন দেড়শতে পৌঁছাতে পারে। জার্মানির পার্লামেন্টে মোট আসন সংখ্যা ৬৩০। এমনটা হলে এএফডি সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে জার্মানির নানা নীতিতে তাদের প্রাধান্য দেখা যেতে পারে। ইলন মাস্ক ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও ওয়েইডেলকে সমর্থন করছেন। কট্টর

ডানপন্থি এ দল জার্মানির সীমান্ত সুরক্ষিত করা এবং অবৈধ অভিবাসী ও অপরাধীদের বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এদিকে মূলধারার প্রায় সব দলই এএফডির সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা নাকচ করে দিলেও রোববারের ভোটে কোনো একক দলের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন কঠিন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যে কারণে নতুন সরকার গঠনে খানিকটা সময় যেমন লাগতে পারে, তেমনি এএফডির গুরুত্বও বেড়ে যেতে পারে। বিভিন্ন জনমত জরিপে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে রক্ষণশীল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাট পার্টির (সিডিইউ) সম্ভাবনাকে এগিয়ে রাখছে। দলটির প্রার্থী ফ্রেডরিখ মার্জ বলেছেন, তারা ক্ষমতায় গেলে জার্মানি ইউরোপের দায়িত্ব নেবে। বিদায়ি চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের দল মধ্য বামপন্থি সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এসপিডি) ভোটে দ্বিতীয় হতে পারে। তেমনটা হলে সিডিইউ ও

এসপিডি-ই জোট গঠন করতে পারে। তবে শলৎজ আর চ্যান্সেলর পদে ফিরতে পারবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। শলৎজের পুনরায় চ্যান্সেলর হওয়া অনেকটাই অনিশ্চিত। এবারের নির্বাচনে কট্টর বামপন্থিদের ভোটও বাড়বে বলে অনেকে ধারণা করছেন। জার্মানির এই নির্বাচন শুধু দেশটির ভবিষ্যৎ রাজনীতি নয়, সমগ্র ইউরোপের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। অভিবাসন, অর্থনীতি ও নিরাপত্তা নিয়ে যে নতুন নীতিগুলো গৃহীত হবে তা শুধু জার্মানিতেই নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি দেশগুলোর ওপরও প্রভাব ফেলবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের ভবিষ্যতও জড়িয়ে আছে এই নির্বাচনের সঙ্গে। আসন্ন নির্বাচনের ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি সরাসরি নির্ভর করছে। চলমান যুদ্ধ নিরসনে ইউরোপীয় ইউনীয়নের (ইইউ) অবস্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রে জার্মানির বয়ান অত্যন্ত গুরুত্ববহ। এদিকে এএফডির ইউক্রেনবিরোধী অবস্থান ইইউর

অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ইউক্রেনে জার্মানির দেওয়া সামরিক সহায়তা পাঠানোর বিপক্ষে এই দল। এ পরিস্থিতিতে জার্মানির নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে কিয়েভসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের প্রশাসন। বিবিসি জানিয়েছে, কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতায় স্থবির হয়ে আছে জার্মানি। আগের সরকারের পতনের পর দেশটিতে নানা সংকটও দেখা দিয়েছে। ইইউর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ও সবচেয়ে বড় অর্থনীতির জন্য এই নির্বাচন কিছুটা হলেও স্থিতিশীলতা আনতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। নির্বাচনের প্রচারে অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করা যেমন গুরুত্ব পাচ্ছে, তেমনি অভিবাসন ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গও জোরেশোরে আলোচিত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও পড়ালেখা অনিশ্চিত ছাইনুমে মারমার রাউজানে বিএনপির দুপক্ষে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৪০ প্রথমবারের মতো খেলাপি ঋণ ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়াল এক মাসের বিদ্যুৎ বিল ১১ লাখ টাকা, দিশাহারা ঝালমুড়ি বিক্রেতা রাবি প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করছে জামায়াত, দাবি ছাত্রদল সেক্রেটারির তরুণীর প্রেমের টানে চীনা যুবক বাংলাদেশে নিজের বিয়ে ঠেকাতে যা করল স্কুলছাত্রী শাহ আমানতে আমদানি নিষিদ্ধ ক্রিম ও সিগারেট জব্দ বিরতি শেষে কাজে ফিরেছেন টেলর সুইফট নারী এশিয়ান কাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ নিউ ইয়র্ক সিটির অফিসে গুলি: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৪ জন নিহত মুজিবকে ছোট করে তাজউদ্দিনকে কি বড় করা যায়, নাকি সেটা সম্ভব? টাঙ্গাইলে এনসিপির পাহারায় ৯ শতাধিক পুলিশ, গোয়েন্দা ও বিভিন্ন বাহিনীর অজানা সংখ্যক সদস্য রাজশাহীতে ছড়িয়ে পড়েছে ১২৩ চাঁদাবাজের তালিকা, বিএনপি-জামায়াতের অর্ধশতাধিক নেতা যুক্ত ইউনূস সরকার ব্যস্ত দমন-পীড়নে: বাজারে আগুন, ভোগান্তি চরমে দেশে বিনিয়োগে ধস: থমকে যাওয়া শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা হতাশ দলীয় নেতার যৌন কুপ্রস্তাবের পর এবার দুর্ণীতির অভিযোগে এনসিপি ছাড়লেন নীলা ইসরাফিল সমাজের সবচেয়ে খারাপ নারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছি আমি চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীদের নিপীড়ন: সভাপতিসহ জামায়াতের ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার জয় বাংলার মোড়ে ভুয়া র‍্যাব বনাম আসল র‍্যাব দুই টিমকেই কনফিউজড জনতার ধোলাই