নেটজারিম করিডোর থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার শুরু – ইউ এস বাংলা নিউজ




নেটজারিম করিডোর থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার শুরু

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৭:২১ 16 ভিউ
ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজার নেটজারিম করিডোর থেকে রোববার তাদের সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে অস্ত্রবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে নেটজারিম থেকে এই সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। ইসরাইলের পাবলিক সম্প্রচার সংস্থা কেএএন রোববার বিকালে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া আজকের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজার উত্তর অংশ থেকে দক্ষিণ অংশকে আলাদা করতেই মূলত এই নেটজারিম করিডোর তৈরি করেছিল। যাতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আর নিজেদের ঘরে ফিরতে না পারে। ফিলিস্তিনিদের জন্য বিপর্যয়কর ফাঁদ সেই নেটজারিম করিডোর থেকে ইসরাইলের সেনা প্রত্যাহারের খবরটি এমন এক সময়ে এলো, যখন ইসরাইল ও হামাস তাদের পঞ্চম দফা বন্দি বিনিময় সম্পন্ন করেছে।

এই দফায় তিনজন ইসরাইলি বন্দির বিনিময়ে ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এদিকে শনিবারের এই বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হওয়ার পর এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ অক্ষ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর ‘নিরঙ্কুশ বিজয়ের’ স্বপ্নকে ‘ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্নে’ পরিণত করেছে। বিবৃতিতে প্রায় ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলা হয়, এ ঘটনায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের ‘অপরাজেয়’ থাকার মিথ্যা স্বপ্ন ধুলায় মিশে গেছে। এর আগে ইসরাইলি জিম্মিদের হস্তান্তরের প্ল্যাটফর্মে লেখা বার্তায় বলা হয়, ‘আমরাই ঝড়, আমরাই আগামী দিন’। এর মাধ্যমে হামাস তেলআবিবকে এই বার্তা দিয়েছে যে, গাজা আজও যেমন হামাসের নিয়ন্ত্রণে আছে এবং ভবিষ্যতেও তেমনি তাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। অন্যদিকে তিন ইসরাইলি জিম্মির মুক্তির পর, হামাসকে আবারও ‘নির্মূল’ করার

হুমকি দেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেইসঙ্গে হামাসের হাতে থাকা সব জিম্মিকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা হামাসকে নির্মূল করব এবং আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে আনবো। ’ এছাড়াও বিবৃতিতে হামাসকে ‘দানব’ বলে আখ্যা দিয়ে তিনি জানান, শনিবার ভোরে মুক্তি দেওয়া তিন জিম্মিকে ক্ষীণকায় দেখাচ্ছিল এবং তাদের মঞ্চে বক্তৃতা দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া এই অস্ত্রবিরতি চুক্তিটি মূলত গাজায় ইসরাইলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ বন্ধ করেছে। এই যুদ্ধে ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১২ হাজারের বেশি নিখোঁজ রয়েছেন। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ১৫ মাস ধরে চলা ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার পুরো অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে

পরিণত হয়েছে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের দামে রেকর্ড বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করা আশার মেডিকেলে ভর্তির সংগ্রাম মধ্যপ্রাচ্যের ‘হাসির পাত্র’ হয়ে উঠেছে ইসরায়েল: বেন-গভির স্বাধীনতার ঘোষণা, ৭ মার্চের ভাষণ বাতিলের সুপারিশ ‘ডেভিল হান্ট’ নামে গায়েবি মামলা হচ্ছে: জি এম কাদের শাহবাগ মোড়ে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ লিবিয়ায় দুই গণকবর থেকে প্রায় ৫০ অভিবাসী-শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার আবাসিক হোটেল থেকে ৯ নারীসহ গ্রেপ্তার ১৬ নির্বাসন ঠেকাতে ৫০ মিলিয়ন ডলার খরচ করবে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হজযাত্রীদের সঙ্গে শিশুদের নিতে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পণ্যে চীনের পাল্টা কর আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে ২৩ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া স্টলে তসলিমা নাসরিনের বই রাখা নিয়ে বিশৃঙ্খলা প্রকৃতপক্ষেই লেখক পাঠক প্রকাশকের মিলনমেলা দুবাইয়ে চালু হলো রেল বাস ইরানকে নতজানু করার ষড়যন্ত্র করছেন ট্রাম্প চীনে বিয়ের হার কমল ২০ শতাংশ ফের টেইলর সুইফটকে নিয়ে ট্রাম্পের মশকরা ট্রাম্পের পানামা খাল নিয়ন্ত্রণ চীনা বিনিয়োগে সতর্ক সংকেত সাবেক স্বামীকে সামান্থার কড়া জবাব, কী বললেন নায়িকা?