বড় অর্থনীতিবিদ হয়েও দেশের অর্থনীতিকে ভালো করতে পারেন নাই: মান্না – ইউ এস বাংলা নিউজ




বড় অর্থনীতিবিদ হয়েও দেশের অর্থনীতিকে ভালো করতে পারেন নাই: মান্না

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৫:৫০ 6 ভিউ
গণ-অভ্যুত্থানের ছয় মাস পেরিয়ে যাওয়া দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার একটা কঠিন সময়ে এসে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটা কঠিন সময়ে এসে পড়েছে- এটা তো সত্যি৷ উনি (প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস) দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো করতে পারেন নাই। এত বড় অর্থনীতিবিদ! জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারেন নাই। ইনভেস্টমেন্ট বাড়েনি, ইনকাম রেট বাড়েনি। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দুর্বল। শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে রাষ্ট্র সংস্কার ফোরামের আয়োজনে ‘নির্বাচন সংস্কার বিশ্লেষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মান্না এ সময় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানুষ যদি রাস্তায় নামে, তাহলে

এই সরকার কি তা থামাতে পারবে? কোনো একটি রাজনৈতিক দল যদি তা সমর্থন করে হরতাল ডাকে; তা মোকাবিলা করার জন্য কি পুলিশ নামবে? সরকার তো দুর্বল।এরকম সরকার দিয়ে তো দীর্ঘদিন ভালো শাসন চালাতে পারবেন না৷যখন তখন সেটা ভেঙে যেতে পারে! একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন যুগিয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে মান্না বলেন, আমরা সরকারের সমালোচনা করি কিন্তু কাঠগড়ায় তুলি না। আমরা জানি এ সরকার পরাজিত হলে আমরাও পরাজিত হব। অন্তর্বর্তী সরকারের ১৫টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে ৬টির রিপোর্ট জমার বিষয়ে মান্না বলেন, এরপরে মূল কথা কী? ৬টা সংস্কার কমিশনের মধ্যে কমন কতগুলো কথা পাওয়া যায়৷ আলোচনা করে কতগুলোতে ঐকমত্য করা যায়। তার ওপর

নির্ভর করছে সংস্কারের সফলতা। সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দ্বিমত পোষণ করছেন এমন পরিস্থিতিতে মান্না তার নিজস্ব ভাবনার কথা প্রকাশ করে বলেন, সংস্কারের ওপর রাখঢাক করে লাভ নেই।সংস্কার ভালো জিনিস, সংস্কার করার ব্যাপারে সমগ্র জাতি এখন ঐক্যবদ্ধ। তিনি বলেন, প্রশ্নটা হলো সংস্কারটা কতখানি লাগবে? তবে ইউনূস সাহেব বলেছেন, সংস্কারের প্রশ্নে কোনো বিষয়ে নূন্যতম যে ঐকমত্য হবে সরকার ততটুকু সংস্কার করবে।কোনো সংস্কার তিনি চাপিয়ে দেবেন না।এটাই ভাবনার ব্যাপার।কারণ আমাদের এমন একটা বিভাজিত দেশ, নিজেদের মধ্যে ঐকমত্য বলতে কিছু নাই।এ পর্যন্ত সংস্কার প্রসঙ্গে যত আলোচনা হয়েছে, আমি একটা প্রসঙ্গে ঐকমত্য দেখতে পাচ্ছি, সেটা হলো- প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে হবে। এর বাইরে অন্য কোনো

বিষয়ে ঐকমত্য দেখানে যায়নি। সংস্কার প্রস্তাবনায় গণতন্ত্রের উত্তরণের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে দেখার পরামর্শ দেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।তিনি বলেন, পুলিশ, ব্যুরোক্রেসি ও ইলেকশন কমিশন সংস্কার করেন। তাহলে এগুলো নিয়ে বেশি বিতর্ক তৈরি হবে না।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
চাল চুরির দায়ে বহিষ্কারের পর এবার সড়কের ইট তুলে নিলেন সেই যুবদল নেতা সংবিধান সংস্কার কমিশনে গুরুত্ব সাত বিষয়ে জরুরি সংস্কার শেষে নির্বাচনে যেতে চায় সরকার দেশের মানুষ সরকারি সেবায় অসন্তুষ্ট রাশিয়ার বিদ্যুৎ সাম্রাজ্যে ফাটল ভারতের গাফিলতি, হিলিতে কমেছে আমদানি ও রপ্তানি ডিআইজিসহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তা আটক ১৮৩ ফিলিস্তিনির মুক্তি দিল ইসরাইল, হাসপাতালে ভর্তি ৭ আলিকদম সীমান্তে ৩৩ রোহিঙ্গা আটক নিজ আসনে কেজরিওয়ালের ভরাডুবি, বিজেপিকে অভিনন্দন বড় অর্থনীতিবিদ হয়েও দেশের অর্থনীতিকে ভালো করতে পারেন নাই: মান্না সুপ্রিমকোর্টে নিরাপত্তা জোরদার দিল্লির মসনদ হারালেন কেজরিওয়াল, বিজেপির জয় জেলেনস্কির সঙ্গে আগামী সপ্তাহে দেখা করতে পারেন ট্রাম্প আরও তিন জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস জিম্মি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আবারও ব্যাপক শােডাউন হামাসের ট্রাম্পের গাজা খালির প্রস্তাব ‘পুরোপুরি খারিজ’ করলেন জার্মান চ্যান্সেলর ‘মুরগির মতো প্রাণ বাঁচিয়ে বিড়ালের মতো বেঁচে থাকুন’, কাকে বললেন চমক ত্রিদেশীয় সিরিজে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ড মালয়েশিয়ায় ৭৪ বাংলাদেশিসহ আটক ১১৬ অভিবাসী