মহানায়কের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১২ জানুয়ারি, ২০২৫
     ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ

মহানায়কের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৪৫ 99 ভিউ
১০ জানুয়ারি, ১৯৭২—এক ঐতিহাসিক দিন, যা চিরকাল বাঙালির হৃদয়ে অম্লান হয়ে থাকবে। এই দিনে বাঙালি জাতি তাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাগত জানায়। এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে তাঁর প্রত্যাবর্তন নতুন ভোরের সূচনা করে। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। কিন্তু তখনও বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে বন্দি ছিলেন। পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন জেনারেল ইয়াহিয়া খান তাকে ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপ এবং বাঙালির অদম্য চেতনা তাঁকে মুক্তি এনে দেয়। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু মুক্তি পান এবং পাকিস্তান থেকে লন্ডন পৌঁছান। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি

বলেন, "আমি জানতাম, আমার দেশ স্বাধীন হবে।" লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। ঢাকার উত্তাল জনসমুদ্র ১০ জানুয়ারি, তেজগাঁও বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্সের বিমানটি অবতরণ করে। বিমানবন্দরে লাখো মানুষের ঢল নামে। শিশু, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবার মুখে ছিল আনন্দাশ্রু। বঙ্গবন্ধু যখন বিমান থেকে নেমে আসেন, তখন "জয় বাংলা" ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়। সেদিন বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমাবেশে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেন। এই ভাষণে তিনি বলেন, “আজ আমি বাংলার মানুষকে বলছি, আমার জীবনের লক্ষ্য পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু দায়িত্ব এখনও শেষ হয়নি। দেশকে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।” তাঁর এই বক্তব্য জাতিকে নতুন

উদ্দীপনা দেয়। একজন নেতা, একটি জাতির আশা বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন শুধু একটি ব্যক্তিগত ঘটনা নয়; এটি ছিল নতুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ভিত্তি স্থাপনের সূচনা। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ তখন প্রধানত তাঁর কাঁধে ছিল। তাঁর নেতৃত্বে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার রূপরেখা তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাঁর নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দেয়। ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বহু দেশ তাঁকে অভ্যর্থনা জানায়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বান বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রত্যাবর্তন ভাষণে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, "একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি, এবার দেশ গড়ার দায়িত্ব

আমাদের। একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।" যুদ্ধের ক্ষত সত্ত্বেও তাঁর কথাগুলি জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে চলার প্রেরণা দেয়। ১০ জানুয়ারি, ১৯৭২, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল বাঙালি জাতির এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। এ দিনটি শুধু একটি বিজয়ের স্মৃতি নয়, এটি বাঙালি জাতির অঙ্গীকারের দিন—একটি সোনার বাংলা গড়ার। বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণা এবং নেতৃত্বের সেই গল্প আজও জাতির জন্য প্রেরণার উৎস।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কুয়ালালামপুরে ইমিগ্রেশনের অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৯০ অবৈধ অভিবাসী আটক কুয়াশা ও শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে কয়দিন? জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর ভারতীয় রুপির রেকর্ড দরপতন বিবিসির বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি ডলারের মামলা ট্রাম্পের যে কারণে জিৎ-স্বস্তিকার ৬ বছরের প্রেম ভাঙে অবিনশ্বর বিজয় দিবস ২০২৫ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর যেদিন বিজয়ের সূর্য হেসেছিল বাংলার আকাশে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রহসন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, জনগণের রায় ছাড়াই ক্ষমতার বন্দোবস্ত মানবে না দেশ নিয়াজীর আত্মসমর্পণের চুক্তিনামা নিয়ে আসেন ক্যু করে পদচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়ে ইউনুসের কাছে রাষ্ট্রপতি এখন অচ্ছুৎ! সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের লুটপাট: জুলাইয়ের খুনিদের আসল চেহারা ফেব্রুয়ারিতে ভোট, নাকি সংঘর্ষ—সংকটময় মোড়ে বাংলাদেশ বিচারের নামে শেখ হাসিনার সাথে চলছে অবিচার, বিশ্বে নিন্দিত বাংলাদেশ ইনিয়ে-বিনিয়ে পাকিস্তানকে মহিমান্বিত করার চেষ্টা, জুতা মেরে বাঙালির জবাব! একটি জাতিকে পঙ্গু করতেই রাও ফরমানের নীলনকশা, বাস্তবায়নে জামাত প্রহসন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, জনগণের রায় ছাড়াই ক্ষমতার বন্দোবস্ত মানবে না দেশ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বাণী মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ আত্মসমর্পণের আগের সেই মুহূর্তগুলো এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলবনা।