মহানায়কের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ – ইউ এস বাংলা নিউজ




মহানায়কের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১২ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৪৫ 66 ভিউ
১০ জানুয়ারি, ১৯৭২—এক ঐতিহাসিক দিন, যা চিরকাল বাঙালির হৃদয়ে অম্লান হয়ে থাকবে। এই দিনে বাঙালি জাতি তাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাগত জানায়। এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে তাঁর প্রত্যাবর্তন নতুন ভোরের সূচনা করে। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। কিন্তু তখনও বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে বন্দি ছিলেন। পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন জেনারেল ইয়াহিয়া খান তাকে ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু আন্তর্জাতিক চাপ এবং বাঙালির অদম্য চেতনা তাঁকে মুক্তি এনে দেয়। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু মুক্তি পান এবং পাকিস্তান থেকে লন্ডন পৌঁছান। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি

বলেন, "আমি জানতাম, আমার দেশ স্বাধীন হবে।" লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। ঢাকার উত্তাল জনসমুদ্র ১০ জানুয়ারি, তেজগাঁও বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্সের বিমানটি অবতরণ করে। বিমানবন্দরে লাখো মানুষের ঢল নামে। শিশু, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবার মুখে ছিল আনন্দাশ্রু। বঙ্গবন্ধু যখন বিমান থেকে নেমে আসেন, তখন "জয় বাংলা" ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়। সেদিন বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমাবেশে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেন। এই ভাষণে তিনি বলেন, “আজ আমি বাংলার মানুষকে বলছি, আমার জীবনের লক্ষ্য পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু দায়িত্ব এখনও শেষ হয়নি। দেশকে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।” তাঁর এই বক্তব্য জাতিকে নতুন

উদ্দীপনা দেয়। একজন নেতা, একটি জাতির আশা বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন শুধু একটি ব্যক্তিগত ঘটনা নয়; এটি ছিল নতুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ভিত্তি স্থাপনের সূচনা। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ তখন প্রধানত তাঁর কাঁধে ছিল। তাঁর নেতৃত্বে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার রূপরেখা তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাঁর নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দেয়। ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বহু দেশ তাঁকে অভ্যর্থনা জানায়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বান বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রত্যাবর্তন ভাষণে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, "একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি, এবার দেশ গড়ার দায়িত্ব

আমাদের। একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।" যুদ্ধের ক্ষত সত্ত্বেও তাঁর কথাগুলি জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে চলার প্রেরণা দেয়। ১০ জানুয়ারি, ১৯৭২, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল বাঙালি জাতির এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। এ দিনটি শুধু একটি বিজয়ের স্মৃতি নয়, এটি বাঙালি জাতির অঙ্গীকারের দিন—একটি সোনার বাংলা গড়ার। বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণা এবং নেতৃত্বের সেই গল্প আজও জাতির জন্য প্রেরণার উৎস।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সমুচা না আনায় স্বামীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন স্ত্রী ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো রিট শুনব না : হাইকোর্ট দি‌নে বাংলা‌দে‌শি‌দের ২০টি স্টাডি ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট দে‌বে ইতা‌লি দূতাবাস হারানো এনআইডি তুলতে আর লাগবে না জিডি ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’ চবি শিক্ষার্থীর মাথায় সতর্কবার্তা প্রক্টোরিয়াল বডির পদত্যাগসহ ৭ দফা দাবিতে উত্তাল চবি ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি ভাঙার হুঁশিয়ারি দিল এক মুসলিম দেশ চট্টগ্রাম নগরজুড়ে চলছে দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা রেকর্ড ছুঁয়ে কমলো স্বর্ণের দাম তেল খাতে আবার শক্তিশালী হতে পারবে সিরিয়া? কিমের প্রিয় কন্যাকে নিয়ে চীন সফর, কেন এত আলোচনা? বিশেষ কর সুবিধা চায় প্রশাসন ক্যাডার মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার ও মালিকের বাসায় হামলা-ভাঙচুর চট্টগ্রামে পাইকারি বাজারে কমেছে চালের দাম দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ ৪ সেপ্টেম্বর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে ০৪ সেপ্টেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি এখনো নিয়োগ হয়নি সেই ৫৩৬ পুলিশের