ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
হজ ব্যবস্থাপনায় জটিলতা নিরসনে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি হাবের
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসন
ষোলো সংস্কার কমিশনেও স্থান নেই নগরের
ইলেকট্রনিক্স শিল্পের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত
এস আলমের দুই ছেলেসহ ৫৪ জনের নামে মামলা
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের, দুর্বল বাংলাদেশের
সেদিন রংপুরে মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণ করেন এসপি শাহজাহান
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো তৎকালীন পুলিশ সুপার মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস আলম।
বুধবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ দাবি জানান তিনি।
সারজিস বলেন, পুলিশ বাহিনীকে কলঙ্কমুক্ত করতে ওই পুলিশ সুপারকে আইনের আওতায় নেওয়া এখন সময়ের দাবি। না হলে পরিণতি ভালো হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক।
ওই পুলিশ সুপারের একাধিক ছবিসহ দেওয়া পোস্টে সারজিস আলম লিখেছেন, ১৬ জুলাই আবু সাঈদ মারা যাওয়ার পর রংপুর হয়ে ওঠে সারাদেশের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু।
সেদিন থেকে রংপুরে শুরু হয় ছাত্র-জনতার সম্মিলিত আন্দোলন। যার ধারাবাহিকতা ১৭, ১৮, ১৯ জুলাই, ১, ২, ৩, ৪ আগস্ট। যখন মেট্রোপলিটন পুলিশের কুখ্যাত কমিশনার মনিরুজ্জামান গং ছাত্রদের সামনে ভয়ংকর রুপে আবির্ভূত হয়, তাণ্ডব চালায় পুরো রংপুরজুড়ে। চালায় ঢালাও গ্রেপ্তার বাণিজ্য। তিনি আরও লিখেছেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কিছু ভালো অফিসার দাঁড়ায় ছাত্র-জনতার পক্ষে। যখন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ভেতরে ভিতরে ছাত্রদের পক্ষে বিপক্ষে দুই ভাগ হয়ে যায়, তখন ১৯ জুলাই মাঠে নামে রংপুর জেলা পুলিশ। সেদিন মূলত রংপুর সিটি বাজার এলাকা ছিল আন্দোলনের মূল কেন্দ্র। সেখানকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রংপুর জেলা পুলিশের পোশাক পরিহিত সদস্যদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এক
সময় নিজ হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে সাঁজোয়া এপিসি যানে করে সিটি বাজারের সামনে সিটি কর্পোরেশনের পাশে মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণ করে তৎকালীন রংপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান। সেদিন রংপুরে ৪ জন শহীদ হন অনদা স্পটে, গুলিবিদ্ধ হন প্রায় দুই শতাধিক মানুষ। এই দিনে মেট্রোপলিটন পুলিশের পোশাক পরিহিত কাউকে দেখা না গেলেও তাদের একটি সাঁজোয়া যান রাস্তায় ছিলো। সারজিস আলমের অভিযোগ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সিন্ডিকেটকে ম্যানেজ করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত আছেন অভ্যুত্থানের হত্যা মামলার আসামি এই সাবেক পুলিশ সুপার। আমার ভাইদের হত্যাকারীরা কি এভাবেই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে? তাদের কি শাস্তি হবে না? হাসিনার পতনের পর এই so called police (তথাকথিত পুলিশ)
গুলোকে আইনের আওতায় না এনে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে যুক্ত করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশ বাহিনীকে কলঙ্কমুক্ত করা এখন সময়ের দাবি। না হলে পরিণতি ভালো হবে না। এর আগে ওই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে পোস্ট করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি। সেই পোস্টের শেষাংশে দাবি করা হয়েছে- খুবই সাম্প্রতিক সময়ে ১ কোটি চল্লিশ লাখ চার হাজার ৯৫৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গায় জন্ম নেওয়া মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়াও তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান এবং বর্তমান সিভিল সার্জনের আমলনামা সামনে আসছে
বলেও জানানো হয়েছে।
সেদিন থেকে রংপুরে শুরু হয় ছাত্র-জনতার সম্মিলিত আন্দোলন। যার ধারাবাহিকতা ১৭, ১৮, ১৯ জুলাই, ১, ২, ৩, ৪ আগস্ট। যখন মেট্রোপলিটন পুলিশের কুখ্যাত কমিশনার মনিরুজ্জামান গং ছাত্রদের সামনে ভয়ংকর রুপে আবির্ভূত হয়, তাণ্ডব চালায় পুরো রংপুরজুড়ে। চালায় ঢালাও গ্রেপ্তার বাণিজ্য। তিনি আরও লিখেছেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কিছু ভালো অফিসার দাঁড়ায় ছাত্র-জনতার পক্ষে। যখন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ভেতরে ভিতরে ছাত্রদের পক্ষে বিপক্ষে দুই ভাগ হয়ে যায়, তখন ১৯ জুলাই মাঠে নামে রংপুর জেলা পুলিশ। সেদিন মূলত রংপুর সিটি বাজার এলাকা ছিল আন্দোলনের মূল কেন্দ্র। সেখানকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রংপুর জেলা পুলিশের পোশাক পরিহিত সদস্যদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এক
সময় নিজ হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে সাঁজোয়া এপিসি যানে করে সিটি বাজারের সামনে সিটি কর্পোরেশনের পাশে মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণ করে তৎকালীন রংপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান। সেদিন রংপুরে ৪ জন শহীদ হন অনদা স্পটে, গুলিবিদ্ধ হন প্রায় দুই শতাধিক মানুষ। এই দিনে মেট্রোপলিটন পুলিশের পোশাক পরিহিত কাউকে দেখা না গেলেও তাদের একটি সাঁজোয়া যান রাস্তায় ছিলো। সারজিস আলমের অভিযোগ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সিন্ডিকেটকে ম্যানেজ করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত আছেন অভ্যুত্থানের হত্যা মামলার আসামি এই সাবেক পুলিশ সুপার। আমার ভাইদের হত্যাকারীরা কি এভাবেই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে? তাদের কি শাস্তি হবে না? হাসিনার পতনের পর এই so called police (তথাকথিত পুলিশ)
গুলোকে আইনের আওতায় না এনে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে যুক্ত করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশ বাহিনীকে কলঙ্কমুক্ত করা এখন সময়ের দাবি। না হলে পরিণতি ভালো হবে না। এর আগে ওই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে পোস্ট করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি। সেই পোস্টের শেষাংশে দাবি করা হয়েছে- খুবই সাম্প্রতিক সময়ে ১ কোটি চল্লিশ লাখ চার হাজার ৯৫৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গায় জন্ম নেওয়া মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়াও তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান এবং বর্তমান সিভিল সার্জনের আমলনামা সামনে আসছে
বলেও জানানো হয়েছে।