অবশেষে খোঁজ মিলল ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জিয়ার – ইউ এস বাংলা নিউজ




অবশেষে খোঁজ মিলল ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জিয়ার

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৫ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৫:০৯ 13 ভিউ
দীর্ঘ ১৪ বছর পর খোঁজ মিলেছে মেজর জিয়ার। তিন মামলায় ফাঁসির দণ্ড এবং সাত মামলার আসামি তিনি। নাম রয়েছে জঙ্গির খাতায়। সম্প্রতি মামলা ও জঙ্গির খাতা থেকে নাম মোছাতে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন শেখ হাসিনা সরকারের আমলে। এরপর থেকে বিভিন্ন মামলায় নাম উঠতে থাকে তার। সাবেক সেনা কর্মকর্তার দাবি, ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী হওয়ায় শেখ হাসিনা সরকার তাকে ঘিরে জঙ্গি নাটক সাজিয়েছিল। পুলিশের খাতায় যিনি একজন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি’। বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল। গত ২৯ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে নিজের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন মেজর জিয়া। এছাড়া মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার

করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও আবেদন করেছেন। দুই মন্ত্রণালয়ে জমা হওয়া আবেদনের সূত্র ধরে কথা হয় মেজর জিয়ার আইনজীবীর সঙ্গে। নিশ্চিত করেছেন, মেজর জিয়া আবেদন করেছেন। এসময় আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘জিয়া নিজে আমাকে মেসেঞ্জারে ফোন করেছে। বলেছেন, যে মামলাগুলো হয়েছে এগুলো সব মিথ্যা। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছে। সঙ্গে তার ব্যাপারে যে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে সেটাও প্রত্যাহার করার জন্য আবেদন করেছেন। আইন উপদেষ্টার কাছে আবেদন করেছেন, তার রাজনীতি সম্পর্কিত মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে’। আইনজীবী আরো জানান, মেজর জিয়া ২০১১ সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করছেন। তবে কোন দেশে তা পরিস্কার করেননি তিনি। ফোনে যোগাযোগ করা হয়

সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ জিয়াউল হকের সঙ্গে। তার অভিযোগ, ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী হওয়ায় তিনি হাসিনা সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পা চাটলে সঙ্গী, না চাটলে জঙ্গি। বিগত ফ্যাসিস্ট ভারতীয় দালাল সরকার জানতো; কীভাবে জঙ্গি ট্যাগ ব্যবহার করতে হয়। কৌশলে সব বিরোধী প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রেখেছিল। আমাকেও ফাঁসানো হয়েছে। লোকজনকে বাধ্য করে চার্জশিটে আমার নাম যুক্ত করা হয়েছে’। সৈয়দ জিয়াউল হক আরও বলেন, ‘শুরুর দিকে আমাকে জঙ্গি বলা হয়েছে। পরে আল কায়দা এবং আনসার আল ইসলাম বলা হয়েছে। আরেক সময় আইএস বলা হয়েছে। অর্থাৎ এমনভাবে সাজানো হতো যেন চাপে রাখা যায়।’ বিগত সরকার কখনো আনসার উল্লাহ (জেএমবি), কখনো আইএস ও আল

কায়েদার সদস্য হিসেবে দেখিয়েছে তাকে। সেসময় জিয়াকে ধরতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। আলোচিত জুলহাজ-তনয় হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ড প্রাপ্ত হয় জিয়া, সেসময় তাকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার। গত ২৫ ডিসেম্বর তা প্রত্যাহারে লিখিত আবেদন করেছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
অ্যাসিড রিফ্লাক্স থেকে বাঁচবেন যেভাবে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত ট্রাম্পের অস্ট্রেলিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৩ এখনো বই পায়নি ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থী, অভিযোগের তীর সিন্ডিকেটের দিকে ‘ইরানের প্রতিরক্ষা নীতিতে পরমাণু অস্ত্রের কোনো জায়গা নেই’ তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্প, মৃত বেড়ে ১২৬ শান্ত কেন উইকেটকিপার, যা বললেন রিশাদ কেন হঠাৎ বাংলাদেশ দল থেকে বিরতি, জবাব দিলেন জাহানারা গাজার নিরাপদ এলাকায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৪৯ মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত ট্রাম্পের ‘ইরানের প্রতিরক্ষা নীতিতে পরমাণু অস্ত্রের কোনো জায়গা নেই’ লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানল গাজার নিরাপদ এলাকায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৪৯ নতুন বছর নিয়ে যে প্রত্যাশার কথা জানালেন নগরবাউল জেমস ঘন ঘন হচ্ছে ভূমিকম্প, আগে-পরে কি করণীয়? গাড়ি চলে দেশে টাকা যায় বিদেশে বাজারে পেঁয়াজের দামে বাড়ছে ঝাঁজ খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা ও গুঞ্জন অ্যাপল ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে ১১০০ কোটি টাকা মানবজাতির সামগ্রিক নিরাপত্তায় ইসলাম