ভারতের কতকাতা ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম “ওয়ানইন্ডিয়া” আজ ২৯ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র করার উদ্যোগ ইউনূসের’ এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত সংবাদে দাবি করা হয়,বাংলাদেশকে মুসলিম রাষ্ট্র (muslim country) ঘোষণা শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে বাকি। সংখ্যালঘুদের সমূলে উৎপাটন করতে সবরকম প্রয়াস চালাচ্ছে মহম্মদ ইউনূসের সরকার। বাংলাদেশজুড়ে মন্দির বিলোপের চেষ্টায় উঠেপড়ে লেগেছে মৌলবাদীরা। হিন্দুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভাঙচুর, লুটপাঠ চালানো হয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন নিয়ে বারবার সতর্ক করেছে ভারত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিতে ইউনূসের সরকারকে বার্তাও দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তারপরেও হিন্দু বিরোধী পদক্ষেপ ইউনূসের। বাংলাদেশে সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় হিন্দুদের বাধা দিতে সবরকম মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়েছে সেদেশের সরকার। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সংকটে হিন্দুরা। অন্তর্বর্তী সরকার

গড়ার পড়েই মহম্মদ ইউনূস হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিক করে একসঙ্গে চলার বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবচিত্র উল্টো কথা বলছে। শান্তিতে নোবেলজয়ী ইউনূসের আমলেই সবচেয়ে বেশি অশান্তি নেমে এসেছে বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর। ভারতের গণমাধ্যমের এমন মিথ্যাচার সংবাদের প্রতিবাদে দেশজুড়ে উঠে তীব্র নিন্দার ঝড়।বিগত শেখ হাসিনা সরকারের পলায়নের পর থেকেই মূলত ভারতের গণমাধ্যমগুলো লাগাতার মিথ্যাচার করে যাচ্ছে বাংলাদেশকে নিয়ে। ফ্যাক্ট চেক বলছে অন্তবর্তীকালীন সরকার এখনো এমন কোন ঘোষণা দেয় নি।গেল ২৫ ডিসেম্বর ও ড.মুহাম্মদ ইউনূস খ্রিস্টানদের বড় দিন উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন।বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ।ফ্যাক্ট চেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের কোন ঘটনাই ঘটে নি। তাই কলকাতা ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়ান ইন্ডিয়ার খবরটি একেবারেই ভুয়া ও

ভিত্তিহীন বলছে মানুষ। তাছাড়া দেশের অর্থনীতিসহ বাকি সংস্কার কাজে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে অন্তবর্তীকালীন ইউনূস সরকার।যা ইতোমধ্যে বিদেশেও ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে।তাই ভারতের দাবি করা নিউজ ওয়ান সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি ভুয়া ও ভিত্তিহীন।