ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে “আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২৪” ও “জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৪”
মইনুল-আসাদ নেতৃত্বাধীন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের বিজয় দিবস পালন
নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে মহান বিজয় দিবস উদযাপন
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উদযাপন
নিউইয়র্কে বিএনপি-জামাতকে রুখে দিল সাংস্কৃতিক কর্মীরা
নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে গভীর শ্রদ্ধায় ’শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালিত
বাংলাদেশ নামক আইনা ঘর যার কয়েদি এখন জনগণ
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির অভিষেক উৎসবে ভুয়া ভুয়া স্লোগানে তুলকালাম কাণ্ড
সেই ‘ভূয়া ভূয়া’ স্লোগানের তোপে মাইক ছাড়তে বাধ্য হলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম। শতশত প্রবাসীর উপস্থিতিতে চলমান শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানের চেহারা মুহূর্তেই পাল্টে রণক্ষেত্রে পরিণত হলো। তবে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে মিনিট দশেকের মত আক্রমণাত্মক হুমকি-ধমকিতে অতিথিসহ সকলেই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিলেন। আয়োজকরা সকলকে অনুরোধ করেন সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে সংগঠনের অভিষেক উৎসব এবং বিজয় দিবস’র কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে সহায়তার জন্যে।
১৬ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন উডসাইডে একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচিত কমিটির কর্মকর্তাগণের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার বিপ্লবের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সকলকে ক্ষেপিয়ে তোলার প্রয়াস চালালে উপস্থিত অনেকে ‘ভ’য়া ভ’য়া’
শব্দ উচ্চারণ করেন। কেউ কেউ মঞ্চের প্রতি তেড়ে যান। আকস্মিক এ ঘটনায় হতভম্ব প্রবাসীরা চেষ্টা করেন সকলকে শান্ত করতে। আয়োজকরাও মাইকে করজোড়ে মিনতি করতে থাকেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনায় সহযোগিতার জন্যে। কিন্তু কোন অনুরোধই কাজে আসছিল না। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি এবং গালিগালাজের মত নিন্দনীয় আচরণ। এহেন অবস্থায় আয়োজকরা ফখরুল আলমের কাছে থেকে মাইক কেড়ে নিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ৫০ বছরের পুরনো এই সোসাইটির নতুন কমিটির (২০২৫-২০২৬) অভিষেক উৎসবটি ১৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিজয় দিবসের প্রসঙ্গও অনেকে আলোকপাত করেন। সাবেক অন্তত: তিনজন কর্মকর্তা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বের কথা বলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের মর্মার্থও উপস্থাপন করেন। এই সংগঠন
পরিচালিত একটি বাংলা স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীরাও ‘জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’কে গভীর শ্রদ্ধা এবং একাত্তরে পাক হায়েনার দোসরদের বর্বরতার কথাও অবলিলায় উপস্থাপন করে। হলভর্তি দর্শক-শ্রোতার মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া (৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর যা ছিল স্বাভাবিক) পরিলক্ষিত হয়নি। দলমত নির্বিশেষে সকলেই বিজয় দিবসের আমেজে নিবিষ্ট ছিলেন। এমনি অবস্থায় ১৯৯৯-২০০০ এবং ২০০৩-২০০৪ এই দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনকারি সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম বলেন, ভাইরে- আজ বিজয় দিবস, আপনারা এতো হতাশ কেন? কোন প্রিয় জিনিষ যদি হারিয়ে যায়, আপনার থেকে চলে যায়, অথবা কেউ যদি কেড়ে নেয়, তাহলে সেই প্রিয় জিনিষের দরদ কী, তার প্রতি ভালবাসাটি কেমন ছিল, বুঝা যায়। আমরা তিনবার বিজয়
অর্জন করেছি তিন রকমের।’ ‘———আমাদের প্রিয় জিনিষ সেই গণতন্ত্রকে, কথা বলার অধিকারকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়ে আমাদেরকে একটা সেবাদাসে পরিণত করেছিল কোন একটি গোষ্ঠি। সেখান থেকে আমরা বিজয় লাভ করেছি। সেই বিজয়েই আজ একটা দিন। সুতরাং আসুন এই বিজয়টাকে আমরা চ্যারিশ করি। আজ শপথ গ্রহণ করি অতীতে যারা আমাদেরকে ঠকিয়েছে, লুন্ঠন করেছে, অতীতে আমাদেরকে ভাগ্য বিড়ম্বিত করেছে, অতীতে যারা আমাদের অধিকারের নিকটেও যেতে দেয়নি, শুধু তাই নয় আমাদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস করেছে, আমাদেরকে জেলখানায় রেখেছে, আমাদেরকে গুম করেছে, আমাদেরকে হত্যা করেছে, আমাদের নারীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, আমাদের যত অধিকার ছিল সবগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের প্রতি আজকের এ দিনে শপথ গ্রহণ
করতে হবে’। এ সময়ই হল উচ্চকিত হয়। ‘ভ’য়া ভ’য়া শব্দ উঠে উচ্চস্বরে। শুরু হয় তুমুল প্রতিবাদ। অনেকে আসন ছেড়ে মঞ্চের দিতে তেড়ে যান ফখরুল আলমকে থামাতে। অবস্থা বেগতিক দেখে মাইক নেন নির্বাচিত সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম। তিনি গোলযোগে লিপ্তদের নিবৃত্ত করার আকুল আহবান জানিয়েও সাড়া না পেলে অপর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন খান মাইকে করজোড়ে মিনতি করতে থাকেন। এরপর নির্বাচিত সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন দেওয়ান মাইকে ক্ষুব্ধ কয়েকজনের নামোল্লেখ করেন এবং বীনিত অনুরোধ জানাতে থাকেন। জসীম, রিপন, অপু, মামুন প্রমুখের নামোল্লেখ করেন এবং করজোাড়ে মিনতি করতে থাকেন। সবকিছু তলিয়ে যায় ক্ষোভের মধ্যে। আর্ত-চিৎকার চলতে থাকে। এ সময় আরেকজন কর্মকর্তা
মাইকে বলেন, এটা কোন রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান নয়। এটা বাংলাদেশ সোসাইটির অনুষ্ঠান। এটা সামাজিক সংগঠন। এখানে কোন রাজনৈতিক বক্তব্য হবে না, চলবেও না। প্লিজ সকলে শান্ত হয়ে নিজ নিজ আসনে বসুন। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হবার জন্যে এখানে এসেছি। এটা কোন রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম নয়। বিদায়ী কমিটির ক্রীড়া ও বিনোদন সম্পাদক মাইনুদ্দিন মাহবুব বলেন, নিউইয়র্ক সিটির মেয়রসহ অনেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আসছেন। আপনারা এই মেহমানদের সম্মানার্থে নিজ নিজ জায়গায় বসুন প্লিজ। ঝগড়াঝাটি করা আমাদের মানায় না। আমরা এই সভ্যসমাজে বাস করে যেভাবে মারামারি করছি তা মানায় না। এটা বাংলাদেশ সোসাইটির অণুষ্ঠান। ৫ মিনিটের মধ্যে সিটি মেয়র আসছেন। আপনারা দয়া করে বসুন। প্লিজ, ক্ষমা চাচ্ছি।
মেয়র এসেছেন জানার পরই সকলে মোটামুটি শান্ত হন এবং অনুষ্ঠানের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়। উল্লেখ্য, ফখরুল আলম জাসদ ঘরানার মানুষ। তার বক্তব্য এই ফোরামে বেমান ছিল। কারণ বাংলাদেশ সোসাইটির সদস্যগণের মধ্যে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামাতে ইসলামী, জাসদ, লিবারেল পার্টি, বাসদ সহ সকল দলের সমর্থকই আছেন। ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনের অনুষ্ঠানে সবসময়ই বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিভাজন এড়িয়ে চলা হয় কম্যুনিটির সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে। উল্লেখ্য, ১৮ হাজারের অধিক ভোটারের অংশগ্রহণে গত ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছে এই নির্বাচনে। সেটিতে পূর্ণ প্যানেলে বিজয় পেয়েছে ‘সেলিম-আলী প্যানেল’। সেই প্যানেলের বিজয়ীদের শপথ অনুষ্ঠানে এমন অনাকাংখিত পরিস্থিতি সকলকে হতবাক করেছে। সিটি মেয়র এরিক এডামসের উপস্থিতি এবং কম্যুনিটির সার্বিক কল্যাণে তার সহযোগিতা অব্যাহত থাকার অঙ্গিকার করায় সকলে অবশ্য সন্তুষ্টচিত্তেই ঘরে ফিরেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্বাহ্নে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত করে সিটি মেয়র তার বক্তব্যে বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বহুজাতিক এ সমাজে নিজেদের অধিকার ও মর্যাদা আদায়ের পথ সুগম করতে। এ সময় বাংলাদেশ সোসাইটির নয়া কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে একটি সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন সিটি মেয়র। এর আগে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল নাজমুল হুদা, নিউইয়র্ক স্টেটট অ্যাসেম্বলীওম্যান জেনিফার রাজকুমার, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের চীফ এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মীর আবুল বাশারও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিজয় দিবসের আলোকে।
শব্দ উচ্চারণ করেন। কেউ কেউ মঞ্চের প্রতি তেড়ে যান। আকস্মিক এ ঘটনায় হতভম্ব প্রবাসীরা চেষ্টা করেন সকলকে শান্ত করতে। আয়োজকরাও মাইকে করজোড়ে মিনতি করতে থাকেন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনায় সহযোগিতার জন্যে। কিন্তু কোন অনুরোধই কাজে আসছিল না। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি এবং গালিগালাজের মত নিন্দনীয় আচরণ। এহেন অবস্থায় আয়োজকরা ফখরুল আলমের কাছে থেকে মাইক কেড়ে নিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ৫০ বছরের পুরনো এই সোসাইটির নতুন কমিটির (২০২৫-২০২৬) অভিষেক উৎসবটি ১৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিজয় দিবসের প্রসঙ্গও অনেকে আলোকপাত করেন। সাবেক অন্তত: তিনজন কর্মকর্তা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বের কথা বলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের মর্মার্থও উপস্থাপন করেন। এই সংগঠন
পরিচালিত একটি বাংলা স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীরাও ‘জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’কে গভীর শ্রদ্ধা এবং একাত্তরে পাক হায়েনার দোসরদের বর্বরতার কথাও অবলিলায় উপস্থাপন করে। হলভর্তি দর্শক-শ্রোতার মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া (৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর যা ছিল স্বাভাবিক) পরিলক্ষিত হয়নি। দলমত নির্বিশেষে সকলেই বিজয় দিবসের আমেজে নিবিষ্ট ছিলেন। এমনি অবস্থায় ১৯৯৯-২০০০ এবং ২০০৩-২০০৪ এই দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনকারি সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম বলেন, ভাইরে- আজ বিজয় দিবস, আপনারা এতো হতাশ কেন? কোন প্রিয় জিনিষ যদি হারিয়ে যায়, আপনার থেকে চলে যায়, অথবা কেউ যদি কেড়ে নেয়, তাহলে সেই প্রিয় জিনিষের দরদ কী, তার প্রতি ভালবাসাটি কেমন ছিল, বুঝা যায়। আমরা তিনবার বিজয়
অর্জন করেছি তিন রকমের।’ ‘———আমাদের প্রিয় জিনিষ সেই গণতন্ত্রকে, কথা বলার অধিকারকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়ে আমাদেরকে একটা সেবাদাসে পরিণত করেছিল কোন একটি গোষ্ঠি। সেখান থেকে আমরা বিজয় লাভ করেছি। সেই বিজয়েই আজ একটা দিন। সুতরাং আসুন এই বিজয়টাকে আমরা চ্যারিশ করি। আজ শপথ গ্রহণ করি অতীতে যারা আমাদেরকে ঠকিয়েছে, লুন্ঠন করেছে, অতীতে আমাদেরকে ভাগ্য বিড়ম্বিত করেছে, অতীতে যারা আমাদের অধিকারের নিকটেও যেতে দেয়নি, শুধু তাই নয় আমাদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস করেছে, আমাদেরকে জেলখানায় রেখেছে, আমাদেরকে গুম করেছে, আমাদেরকে হত্যা করেছে, আমাদের নারীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, আমাদের যত অধিকার ছিল সবগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের প্রতি আজকের এ দিনে শপথ গ্রহণ
করতে হবে’। এ সময়ই হল উচ্চকিত হয়। ‘ভ’য়া ভ’য়া শব্দ উঠে উচ্চস্বরে। শুরু হয় তুমুল প্রতিবাদ। অনেকে আসন ছেড়ে মঞ্চের দিতে তেড়ে যান ফখরুল আলমকে থামাতে। অবস্থা বেগতিক দেখে মাইক নেন নির্বাচিত সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম। তিনি গোলযোগে লিপ্তদের নিবৃত্ত করার আকুল আহবান জানিয়েও সাড়া না পেলে অপর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন খান মাইকে করজোড়ে মিনতি করতে থাকেন। এরপর নির্বাচিত সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন দেওয়ান মাইকে ক্ষুব্ধ কয়েকজনের নামোল্লেখ করেন এবং বীনিত অনুরোধ জানাতে থাকেন। জসীম, রিপন, অপু, মামুন প্রমুখের নামোল্লেখ করেন এবং করজোাড়ে মিনতি করতে থাকেন। সবকিছু তলিয়ে যায় ক্ষোভের মধ্যে। আর্ত-চিৎকার চলতে থাকে। এ সময় আরেকজন কর্মকর্তা
মাইকে বলেন, এটা কোন রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান নয়। এটা বাংলাদেশ সোসাইটির অনুষ্ঠান। এটা সামাজিক সংগঠন। এখানে কোন রাজনৈতিক বক্তব্য হবে না, চলবেও না। প্লিজ সকলে শান্ত হয়ে নিজ নিজ আসনে বসুন। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হবার জন্যে এখানে এসেছি। এটা কোন রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম নয়। বিদায়ী কমিটির ক্রীড়া ও বিনোদন সম্পাদক মাইনুদ্দিন মাহবুব বলেন, নিউইয়র্ক সিটির মেয়রসহ অনেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আসছেন। আপনারা এই মেহমানদের সম্মানার্থে নিজ নিজ জায়গায় বসুন প্লিজ। ঝগড়াঝাটি করা আমাদের মানায় না। আমরা এই সভ্যসমাজে বাস করে যেভাবে মারামারি করছি তা মানায় না। এটা বাংলাদেশ সোসাইটির অণুষ্ঠান। ৫ মিনিটের মধ্যে সিটি মেয়র আসছেন। আপনারা দয়া করে বসুন। প্লিজ, ক্ষমা চাচ্ছি।
মেয়র এসেছেন জানার পরই সকলে মোটামুটি শান্ত হন এবং অনুষ্ঠানের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়। উল্লেখ্য, ফখরুল আলম জাসদ ঘরানার মানুষ। তার বক্তব্য এই ফোরামে বেমান ছিল। কারণ বাংলাদেশ সোসাইটির সদস্যগণের মধ্যে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামাতে ইসলামী, জাসদ, লিবারেল পার্টি, বাসদ সহ সকল দলের সমর্থকই আছেন। ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনের অনুষ্ঠানে সবসময়ই বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিভাজন এড়িয়ে চলা হয় কম্যুনিটির সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে। উল্লেখ্য, ১৮ হাজারের অধিক ভোটারের অংশগ্রহণে গত ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছে এই নির্বাচনে। সেটিতে পূর্ণ প্যানেলে বিজয় পেয়েছে ‘সেলিম-আলী প্যানেল’। সেই প্যানেলের বিজয়ীদের শপথ অনুষ্ঠানে এমন অনাকাংখিত পরিস্থিতি সকলকে হতবাক করেছে। সিটি মেয়র এরিক এডামসের উপস্থিতি এবং কম্যুনিটির সার্বিক কল্যাণে তার সহযোগিতা অব্যাহত থাকার অঙ্গিকার করায় সকলে অবশ্য সন্তুষ্টচিত্তেই ঘরে ফিরেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্বাহ্নে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত করে সিটি মেয়র তার বক্তব্যে বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বহুজাতিক এ সমাজে নিজেদের অধিকার ও মর্যাদা আদায়ের পথ সুগম করতে। এ সময় বাংলাদেশ সোসাইটির নয়া কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে একটি সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন সিটি মেয়র। এর আগে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল নাজমুল হুদা, নিউইয়র্ক স্টেটট অ্যাসেম্বলীওম্যান জেনিফার রাজকুমার, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের চীফ এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মীর আবুল বাশারও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিজয় দিবসের আলোকে।