![](https://usbangla24.news/wp-content/themes/pitwmeganews/pitw-assets/pitw-image/user_default.png)
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আলিফ হত্যায় সন্দেহভাজন আরও ২৫ জন শনাক্ত
![](https://usbangla24.news/wp-content/uploads/2024/11/image-143470-1732936331.webp)
চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত সন্দেহে আরও ২৫ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়। এর আগে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফুটেজ দেখে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্রে এ তথ্য মিলেছে। এদিকে হত্যাকাণ্ডের ৪ দিন পার হলেও গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ওই ঘটনায় কোনো মামলা করেনি পরিবার।
পুলিশ সূত্র জানায়, সাইফুলকে এসি দত্ত লেনের রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কের যেখানে হত্যা করা হয়, এর আশপাশের ভবনের সিসি টিভি ফুটেজ, মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও বিশ্লেষণ করে হত্যায় সরাসরি জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। এসব ভিডিও
বিশ্লেষণ এবং গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের তথ্যানুযায়ী হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত আরও অন্তত ২৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, ফুটেজ দেখে হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে সক্রিয়দের চিহ্নিত করা হচ্ছে। এরপর তাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হতে স্থানীয়দের সেই ফুটেজ ও ছবি দেখানো হচ্ছে। সে অনুযায়ী নতুন করে বিধান, রনব, বিশাল, বিকাশ, রাজ কাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাশ, শিব কুমার, বিগ লাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাশ, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, চন্দন, জয়, রমিত, বুঞ্জা, লালা, ওমকার দাশ, রুবেল সাহা ও শুভ কান্তি দাস নামে আরও ২৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পুলিশের সংগ্রহ করা ভিডিও ফুটেজসহ
বিভিন্ন মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যায়, ১৫-২০ জনের একটি দল আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। তাদের সঙ্গে নতুন করে আরও লোকজন জড়ো হচ্ছেন। কেউ পেটাচ্ছে আবার কাউকে কোপাতে দেখা যাচ্ছে এসব ভিডিওতে। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, আইনজীবী সাইফুল হত্যাকাণ্ডের সময়ে মাথায় হেলমেট পরা দুই যুবককে বেশি সক্রিয় দেখা গেছে। তাদের দেখা যায় কোপাতে। সাইফুলের নিথর দেহ পড়ে থাকলেও তাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে কেউ কেউ। প্রাথমিক শনাক্তে এদের একজনকে বিকাশ বলে সন্দেহ করা হলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে রামদা হাতে কোপানো যুবকের নাম চন্দন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার রইছ উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকার ভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আমরা
সংগ্রহ করেছি। সেই ফুটেজ পর্যবেক্ষণ চলছে। অনেককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত শনাক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান। এদিকে সিএমপির কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল করিম জানান, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা করতে তার পরিবারের লোকজন থানায় আসেননি। আমরা তাদের জন্য অপেক্ষা করছি। তা ছাড়া পুলিশের দায়ের করা মামলায় অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্য আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা না হলেও পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা ৩ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে গতকাল আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের দুজন
নগরীর বাকলিয়া থানার কালমিয়া বাজার এলাকার বাবুলা ধর (৪২) ও আশিয়া এলাকার সজল শীল (৪০)। এ নিয়ে পুলিশের করা মামলায় ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর আগে ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গত মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই ঘটনার জেরে ওইদিন আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও গাড়ি ভাঙচুর করে চিন্ময়ের অনুসারী সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার মধ্যে স্থানীয় রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায়
পৃথক তিনটি মামলা হয়।
বিশ্লেষণ এবং গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের তথ্যানুযায়ী হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত আরও অন্তত ২৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, ফুটেজ দেখে হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে সক্রিয়দের চিহ্নিত করা হচ্ছে। এরপর তাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হতে স্থানীয়দের সেই ফুটেজ ও ছবি দেখানো হচ্ছে। সে অনুযায়ী নতুন করে বিধান, রনব, বিশাল, বিকাশ, রাজ কাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাশ, শিব কুমার, বিগ লাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাশ, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, চন্দন, জয়, রমিত, বুঞ্জা, লালা, ওমকার দাশ, রুবেল সাহা ও শুভ কান্তি দাস নামে আরও ২৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। পুলিশের সংগ্রহ করা ভিডিও ফুটেজসহ
বিভিন্ন মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যায়, ১৫-২০ জনের একটি দল আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। তাদের সঙ্গে নতুন করে আরও লোকজন জড়ো হচ্ছেন। কেউ পেটাচ্ছে আবার কাউকে কোপাতে দেখা যাচ্ছে এসব ভিডিওতে। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, আইনজীবী সাইফুল হত্যাকাণ্ডের সময়ে মাথায় হেলমেট পরা দুই যুবককে বেশি সক্রিয় দেখা গেছে। তাদের দেখা যায় কোপাতে। সাইফুলের নিথর দেহ পড়ে থাকলেও তাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে কেউ কেউ। প্রাথমিক শনাক্তে এদের একজনকে বিকাশ বলে সন্দেহ করা হলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে রামদা হাতে কোপানো যুবকের নাম চন্দন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার রইছ উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকার ভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আমরা
সংগ্রহ করেছি। সেই ফুটেজ পর্যবেক্ষণ চলছে। অনেককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত শনাক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান। এদিকে সিএমপির কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল করিম জানান, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা করতে তার পরিবারের লোকজন থানায় আসেননি। আমরা তাদের জন্য অপেক্ষা করছি। তা ছাড়া পুলিশের দায়ের করা মামলায় অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্য আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা না হলেও পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা ৩ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে গতকাল আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের দুজন
নগরীর বাকলিয়া থানার কালমিয়া বাজার এলাকার বাবুলা ধর (৪২) ও আশিয়া এলাকার সজল শীল (৪০)। এ নিয়ে পুলিশের করা মামলায় ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর আগে ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গত মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই ঘটনার জেরে ওইদিন আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও গাড়ি ভাঙচুর করে চিন্ময়ের অনুসারী সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার মধ্যে স্থানীয় রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায়
পৃথক তিনটি মামলা হয়।