ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই : জামায়াত আমির – ইউ এস বাংলা নিউজ




ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই : জামায়াত আমির

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৪:১২ 13 ভিউ
জামায়াতে ইসলামী ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দ বাজারে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান এ কথা বলেন। জামায়াত আমির বলেন, আমার মনে হয় না পুরোনো আওয়ামী লীগ জমানার সঙ্গে ভারতের নিছকই ঘনিষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছিল। আমরা সবাই জানি, ওই সম্পর্কে কার কী স্বার্থ ছিল। তবে নিজেদের কথা বলতে পারি, আমরা চাই ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে, তবে তা হতে হবে পারস্পরিক সম্মান এবং সমতার মাধ্যমে। পড়শিদের সঙ্গে কার্যকরী এবং বাস্তবোচিত সম্পর্ক উভয় রাষ্ট্রের পক্ষেই সুবিধাজনক। সরকারে এলে সেটাই করতে চাইব। তিনি বলেন, জামায়াতে

ইসলামীর ভারত-বিরোধিতা ধারণা ভিত্তিহীন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের নিশানা করে এই মতবাদ ছড়ানো হয়েছে যাতে জামায়াতের রাজনীতির মিথ্যা ব্যাখ্যা ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়। সমান মর্যাদা এবং সম্মানের ভিত্তিতে আমরা ভারতসহ সমস্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। আমাদের আন্তর্জাতিক নীতি, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। চাই ভারতও একইরকম সাড়া দিক, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং সহাবস্থানের ভিত্তিতে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী কট্টরপন্থি মুসলিম সংগঠন এই ধারণা একেবারেই অসত্য। জামায়াত একটি আধুনিক, উদার এবং গণতান্ত্রিক দল, যার ভিত্তি ইসলামিক আদর্শ। আরও একটি কথা মনে করিয়ে দিই, আমরা একটি স্বাধীন রাজনৈতিক দল। বিশ্বের অন্য কোনো রাজনৈতিক সংস্থায় আমাদের প্রতিনিধিত্ব নেই। জামায়াত আমির

বলেন, আপনাদের মাধ্যমে জোরালোভাবে আবারও বলতে চাই, জামায়াত একটি আধুনিক, উদারপন্থি, গণতান্ত্রিক দল, যার আদর্শ ইসলামের। আমরা সর্বদাই যুক্তিগ্রাহ্য, বাস্তবসম্মত এবং মধ্যপন্থা নিয়ে রাজনৈতিক নীতি নির্ধারণ করি। বিএনপি দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী, তারা আমাদের আধুনিক মনোভঙ্গি সম্পর্কে সচেতন। এক প্রশ্নের জবাবে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের অসামান্য সম্পর্ক এবং বোঝাপড়া রয়েছে। প্রতিটি নাগরিককে সমদৃষ্টিতে দেখা হয় এবং রাষ্ট্রের সমস্ত নাগরিককে সমান অধিকার এবং মর্যাদার ভিত্তিতে সম্মান করা হয়। জামায়াত সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরুর তত্ত্বে বিশ্বাসী নয়। আমরা মনে করি ধর্মের ভিত্তিতে দেশবাসীর বিভাজন অপরাধ। হিন্দু বা অন্য কোনো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসার ইতিহাস জামায়াতের নেই। বরং বিভিন্ন সময়ে জামায়াতে

ইসলামী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হিন্দু নেতাদের সঙ্গে আলোচনাও করেছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
দেশকে অস্থিতিশীল করার সর্বশেষ ট্রাম্পকার্ড খেলা হচ্ছে: আজহারী জামা মসজিদ ঘিরে সংঘর্ষের দু’দিন পরে যে চিত্র দেখা গেছে ঢাবিতে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা, বিক্ষোভ চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের বিবৃতির কড়া জবাব বাংলাদেশের ‘ইসকনের আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে’ চট্টগ্রামের ঘটনায় ছাত্রশিবির সভাপতির স্ট্যাটাস আইনজীবী সাইফুলকে নিজেদের কর্মী দাবি জামায়াত আমিরের চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ, সংঘর্ষে আইনজীবী নিহত ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিল জামায়াত আমিরের সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক নিজেদের অস্ত্রেই ঘায়েল ইসরায়েল জুলাই বিপ্লব ইতিহাসের ইতিবাচক পরিবর্তন: ডা. শফিকুর রহমান বিএনপির দুই গ্রুপের বোমাবাজি, আহত ৭ চট্টগ্রামে ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন সকলেই প্রেমে পড়তেন যে অভিনেতার! লন্ডনে যাওয়ার আগে বানোয়াট স্বীকারোক্তিতে সই নেওয়া হয় তারেক রহমানের : শফিক রেহমান রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম সরকারকে অবিলম্বে সংঘাত সংঘর্ষ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে রানা প্লাজায় উদ্ধার কাজ অসমাপ্ত রেখে ভবন মিশিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা! ধৈর্য্য, ধৈর্য্য এবং ধৈর্য্য: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন