অন্তর্বর্তী সরকারের পরিধি বাড়ানোর দাবি রাশেদ খাঁনের – ইউ এস বাংলা নিউজ




অন্তর্বর্তী সরকারের পরিধি বাড়ানোর দাবি রাশেদ খাঁনের

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২২ অক্টোবর, ২০২৪ | ৯:১৫ 72 ভিউ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সকল পক্ষকে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিধি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীতে মশাল মিছিলপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ দাবি জানান তিনি। পুরানা পল্টন মোড় সংলগ্ন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মশাল মিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, বিজয়নগর পানির ট্যাংকি মোড় ঘুরে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। আওয়ামী দুর্বৃত্তদের অতর্কিত গুপ্ত হামলার প্রতিবাদ এবং গণহত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে এই কর্মসূচি পালিত হয়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রাশেদ খাঁন বলেন, শেখ হাসিনা কি এখনো প্রধানমন্ত্রী? রাষ্ট্রপতির কাছে শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র দিক বা না দিক, তাতে কী আসে-যায়? যে গণআন্দোলনের মুখে

পালিয়ে গেছে, তার পদত্যাগের কিছু নেই। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে যে অপরাধ করেছে, তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। সুতরাং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ভোটের রাজনীতির জন্য কোন দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করলেও জনগণ আওয়ামী লীগকে কোনো ক্ষমা করবে না। গণতন্ত্র রক্ষার নামে কেউ আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আসার কথা বললেও জনগণ আওয়ামী লীগের মতো গণহত্যাকারী দলকে নির্বাচন করতে দিবে না। তিনি আরও বলেন, এই সরকার ইতোমধ্যে ব্যর্থ। তারা আওয়ামী পাণ্ডাদের এখনো আটক করতে পারছে না, পুলিশের মধ্যকার খুনিদের ধরছে না, নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। মানুষের আহাজারি বেড়েছে। সরকার কোনকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। কীভাবে পারবে? একজন

ব্যক্তি ৩-৪টি মন্ত্রণালয় চালায়। হযবরল অবস্থা। কোন মন্ত্রণালয় ছেড়ে কোন মন্ত্রণালয় সামলাবে? সুতরাং উপদেষ্টা পরিষদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সকল পক্ষকে নিয়ে এর পরিধি বাড়াতে হবে। এই সরকারের অধিকাংশ উপদেষ্টার এনজিও সেক্টরে ভাল অভিজ্ঞতা থাকলেও রাষ্ট্র পরিচালনা ও রাজনীতিতে অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে, যে কারণে তারা ব্যর্থ হচ্ছেন। কিন্তু তারা ব্যর্থ হোক আমরা চাই না। যে কারণে আমরা চাই, উপদেষ্টা পরিষদের পরিধি ২১ থেকে ৫১ করা হোক রাজনৈতিক অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে। গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগের নিয়োগকৃত আমলারা এখনও প্রতি বিপ্লবের স্বপ্ন দেখছে। আপনাদের এই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। আওয়ামী লীগের নিয়োগকৃত রাষ্ট্রপতিকে দায়িত্বে

রেখে ছাত্র-জনতার অর্জিত বিজয় সুরক্ষিত নয়। রাষ্ট্রপতির গতকালের (রোববার) বক্তব্যের পর আজকে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ-যুবলীগ হামলা করেছে, ঢাকার গুলিস্তানে ছাত্রলীগ মিছিল করেছে। এগুলো স্বাভাবিক বিষয় নয়। এগুলো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যেকোন প্রতিবিপ্লব মোকাবিলার জন্য। আওয়ামী লীগসহ তার সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গর্ত থেকে বের হয়ে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানান গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন। বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ যত গুম, খুন, হত্যা, লুটপাট, অর্থ পাচার করেছে সেসব এবং জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের গণহত্যার বিচার হওয়ার পর আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা- এ দেশের

জনগণ সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে। তার আগে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পারবে না। যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি হোসাইন নুর, শাকিল আহমেদ তিয়াস, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জাহাঙ্গীর হিরণ, উত্তরের সভাপতি মামুন শেখ প্রমুখ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন ঐকমত্য না হওয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষই বাদের চিন্তা সকল দায় ঢাকার ওপর চাপাতে চায় জাতিসংঘ ‘কোথায় থাকব, কে আশ্রয় দেবে জানি না’ সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের চাকরি জীবনে একবার গুরুদণ্ড পেলে ওসি হতে পারবেন না পাহাড়ে ফলের নতুন ভান্ডার সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ভারতের মোহাম্মদপুরের গ্যাং প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৪২ সৌদিতে নারী যাত্রীদের জন্য বিশেষ সেবা আনছে উবার নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে গত মাসে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে জয়ী হয়েছেন জোহরান মামদানি। এটি শহরটির অনেক মানুষের জন্য আনন্দের খবর হলেও কপালে উদ্বেগের ভাঁজ পড়েছে আবাসন ব্যাবসায়ীদের। তারা ক্ষতির ঝুঁকি দেখছেন। এরই মধ্যে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন খাতসংশ্লিষ্ট অনেকে। তারা বলছেন, পরিবর্তনশীল এ সময়ে গ্রাহকরা ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না; তারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। নিউইয়র্কে আবাসন ব্যবসার ব্রোকার জে বাত্রা জানান, তাঁর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ম্যানহাটানে লাখ লাখ ডলারের সম্পত্তির দুই পৃথক ক্লায়েন্ট বাত্রাকে জানিয়েছেন, তারা নিউইয়র্কের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করতে চান। বাত্রার উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল সোমবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক ধনী ও বিলাসবহুল ক্রেতা একটু বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন। মামদানি যত বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন, ততই তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে– ‘হায়, শহরটি কোথায় যাচ্ছে!’ ৩৩ বছর বয়সী গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক মামদানি গত জুনের শেষ দিকে নিউইয়র্কের মেয়র প্রাইমারিতে জয়লাভ করেন। এর পর থেকে বেশ কয়েকজন পেশাদার আবাসন ব্যবসায়ী সিএনএনকে জানান, উচ্চস্তরের ক্রেতারা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ বন্ধ করতে শুরু করেছেন। মামদানির প্রস্তাবিত নীতিগুলোর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে অনিশ্চিত। তারা আরও বলেন, মামদানির জয়ের ফলে তাঁর রাজনীতির সঙ্গে একমত না হওয়া নিউইয়র্কের কিছু ধনী বাসিন্দা শহর ত্যাগের পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করেছেন। মামদানি ১০ লাখ ডলারের বেশি আয়কারী নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের ওপর ২ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন। তাঁর কাছে আবাসন প্রস্তাবের একটি তালিকাও আছে, যার মধ্যে রয়েছে– ভাড়া স্থির করার প্রতিশ্রুতি, ব্যাপক পাবলিক হাউজিং নির্মাণ ও সংস্কার এবং কঠোর তদারকি। মার্কিন গণমাধ্যমটি বলছে, মামদানি মেয়র হলেও তাঁর প্রস্তাবগুলো বাস্তবে পরিণত নাও হতে পারে। এর অনেক কারণ রয়েছে। তবুও তাঁর প্রাথমিক জয় বাত্রার কিছু ক্লায়েন্টকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। কেউই আসলে তাদের কর বাড়ুক, এমনটা চান না। নিউইয়র্ক সিটি বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল আবাসন বাজারের আবাসস্থল। এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে ঝলমলে বিলাসবহুল টাওয়ারের লোকেরা শ্রমিক শ্রেণির বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাস করেন। এ শ্রমজীবী শ্রেণির মানুষ ক্রমবর্ধমান ভাড়া ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে লড়াই করছেন। শহরের আবাসন খাতের অবস্থা চরম। নিউইয়র্ক শহরের আপার ইস্ট সাইড এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ যাচাই করে সিএনএন জানাতে পেরেছে, ওই এলাকার বাসিন্দারা বেনামে মামদানির প্রাথমিক জয়ের পর শহর ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু এখনও এসব গল্প কাল্পনিক। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক ফল পছন্দ না হলে স্থানান্তরিত হওয়ার হুমকি দেওয়ার একটি দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য রয়েছে। মামদানির আবাসন ও অর্থনৈতিক প্রস্তাবগুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন নিউইয়র্কের ভাড়া ক্রমাগত বাড়ছে। রিয়েলেটর ডটকমের মতে, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে শহরে গড় চাওয়া ভাড়া ছিল ৩ হাজার ৩৯৭ ডলার, যা এক বছরের আগের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এটা ২০২০ সালের শুরু থেকে ১৮ শতাংশ বেশি। বাত্রা জানান, কিছু ক্লায়েন্ট যারা ভাড়া আয়ের জন্য ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ভবন কেনার পরিকল্পনা করছিলেন, তারা এখন প্রস্তাবিত ভাড়া স্থগিত করার কারণে পুনর্বিবেচনা করছেন। নিউইয়র্কের এ পরিস্থিতির সুবিধা পেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রেরই ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য। সেখানে আবাসন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকে জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক ছেড়ে আবারও ফ্লোরিডায় আসতে পারেন অনেকে। এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। মামদানির জয়ে নিউইয়র্কের আবাসন খাতে আতঙ্ক ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে বিভক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন একই অভিযোগে এনবিআরের আরও ৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত শান্তির হ্যাটট্রিকে দুই ভেন্যুর ম্যাচে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয় জবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর কেন ইমাম হুসাইনের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন হিন্দুরা? সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা গাড়ি থামিয়ে ঘুষের অভিযোগ, ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার