ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ঢাকার সড়কে অটোরিকশা চালকরা, বন্ধ যান চলাচল
অক্টোবরে ৪৫২ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৫ জন
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিৎ: তোফায়েল
৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ ও আহতদের নামে স্মরণসভা করার নির্দেশ
‘কিছু হলেই রাস্তায় আন্দোলন, এভাবে আর কতদিন’
মহাখালীতে রিকশা চালকদের অবরোধ, ট্রেন চলাচল বন্ধ
খাতা না দেখেই মনগড়া রেজাল্ট দিয়েছে, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের
এবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে সদ্য প্রকাশ হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় খারাপ করা শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, ‘পরীক্ষার খাতা না দেখেই রেজাল্ট দিয়েছে চট্টগ্রাম বোর্ড।’ আন্দোলন চলাকালে সমন্বয়কদের ডেকে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করার অভিযোগও তোলে বোর্ড কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে বোর্ডের সামনে আন্দোলন শুরু করে তারা। এ সময় বিভিন্ন কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলমান ছিল।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, খাতা না দেখেই বোর্ড কর্তৃপক্ষ মনগড়া রেজাল্ট দিয়েছে। চট্টগ্রাম বোর্ডের ইংরেজি প্রশ্ন সহজ আসার পরও তাদের গণহারে ইংরেজিতে ফেল করিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়াও সিলেট বোর্ডে মাত্র দুই বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে সবাইকে পাস
করানো হয়েছে, অথচ চট্টগ্রাম বোর্ডে সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন করা হয়নি। হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী দেবপ্রিয় বড়ুয়া কৌসিক বলেন, ‘আমাদের চার বিষয়ের মোট ৭টি পরীক্ষা হয়েছে। দুই বিষয় মিলে ৬৬ নম্বর পেলেই পাস; কিন্তু ৭৬ পাওয়ার পরও ফেল দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কায়সার নিলুফা কলেজের শিক্ষার্থী মাসুম খান বলেন, ‘আমি সব পরীক্ষা দিয়েছি। আমাদের অর্থনীতি বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। কিন্তু আমাকে ফেল করিয়ে দিয়েছে। বাংলা পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পরও পরও আমাকে অনুপস্থিত দিয়ে দিয়েছি’। স্থানীয় অভিভাবক ফারজানা রূপা বলেন, ‘এত ভালো পরীক্ষা হওয়ার পরও আমার ছেলেটাকে ফেল করিয়ে দিয়েছে। ফিজিক্স পরীক্ষায় ১১০ পাওয়ার পরও কেমনে ফেল আসে? যেখানে ৬৬ তে পাস। আবার
বাংলাতে ৭৫ পাইছে, তাও ফেল।’ তারা বলছে, ‘এমসিকিউতে খারাপ করছে তাই ফেল আসছে। কিন্তু আমরা তো জানি আমার বাচ্চা কেমন পরীক্ষা দিয়েছে। ইচ্ছেমতো নম্বর কম দিয়ে ফেল করাই দিছে।’ চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক আমিরুল মোস্তফা বলেন, ‘যারা খারাপ করছে তারা এসে আন্দোলন করছে। তারা বলছে, সিলেট বোর্ড দুই বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে সবাই পাস করেছে, আমরা সাত বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে কেন খারাপ করলাম। তারা আসলে তাদের মতো করে দাবি তুলছে। কিন্তু তারা পরীক্ষা দিয়ে যদি রেজাল্ট খারাপ করে, তাহলে আমাদের কি কিছু করার আছে।’ তিনি বলেন, ‘যদি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এমসিকিউ থাকে, আর ৩০ নম্বরের প্রশ্নে একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ১০ পেতে হবে। কিন্তু
সে যদি এখানে কম নম্বর পায়; কিন্তু মোট নম্বরে যদি ৮০ বা ৯০ পেলেও ফেল আসবে। তাই শিক্ষার্থীকে লিখিত এবং এমসিকিউতে আলাদা আলাদা পাস করতে হবে। এখন কেউ যদি কোনো একটি বিষয়ে খারাপ করে, তাহলে ফেল আসবে। এখানে কারও কোনো হাত নেই। যে যেভাবে পরীক্ষা দিয়েছে তেমন ফলাফলই পেয়েছে। তার পরও যদি কারও আশানুরূপ ফল না পায়, তাহলে তো অবশ্যই তা পুনঃনিরীক্ষণ করার সুযোগ আছে। আর পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাইবাছাই করে ফের রেজাল্ট দেওয়া হবে।’
করানো হয়েছে, অথচ চট্টগ্রাম বোর্ডে সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন করা হয়নি। হাজেরা তজু ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী দেবপ্রিয় বড়ুয়া কৌসিক বলেন, ‘আমাদের চার বিষয়ের মোট ৭টি পরীক্ষা হয়েছে। দুই বিষয় মিলে ৬৬ নম্বর পেলেই পাস; কিন্তু ৭৬ পাওয়ার পরও ফেল দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কায়সার নিলুফা কলেজের শিক্ষার্থী মাসুম খান বলেন, ‘আমি সব পরীক্ষা দিয়েছি। আমাদের অর্থনীতি বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। কিন্তু আমাকে ফেল করিয়ে দিয়েছে। বাংলা পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পরও পরও আমাকে অনুপস্থিত দিয়ে দিয়েছি’। স্থানীয় অভিভাবক ফারজানা রূপা বলেন, ‘এত ভালো পরীক্ষা হওয়ার পরও আমার ছেলেটাকে ফেল করিয়ে দিয়েছে। ফিজিক্স পরীক্ষায় ১১০ পাওয়ার পরও কেমনে ফেল আসে? যেখানে ৬৬ তে পাস। আবার
বাংলাতে ৭৫ পাইছে, তাও ফেল।’ তারা বলছে, ‘এমসিকিউতে খারাপ করছে তাই ফেল আসছে। কিন্তু আমরা তো জানি আমার বাচ্চা কেমন পরীক্ষা দিয়েছে। ইচ্ছেমতো নম্বর কম দিয়ে ফেল করাই দিছে।’ চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক আমিরুল মোস্তফা বলেন, ‘যারা খারাপ করছে তারা এসে আন্দোলন করছে। তারা বলছে, সিলেট বোর্ড দুই বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে সবাই পাস করেছে, আমরা সাত বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে কেন খারাপ করলাম। তারা আসলে তাদের মতো করে দাবি তুলছে। কিন্তু তারা পরীক্ষা দিয়ে যদি রেজাল্ট খারাপ করে, তাহলে আমাদের কি কিছু করার আছে।’ তিনি বলেন, ‘যদি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এমসিকিউ থাকে, আর ৩০ নম্বরের প্রশ্নে একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ১০ পেতে হবে। কিন্তু
সে যদি এখানে কম নম্বর পায়; কিন্তু মোট নম্বরে যদি ৮০ বা ৯০ পেলেও ফেল আসবে। তাই শিক্ষার্থীকে লিখিত এবং এমসিকিউতে আলাদা আলাদা পাস করতে হবে। এখন কেউ যদি কোনো একটি বিষয়ে খারাপ করে, তাহলে ফেল আসবে। এখানে কারও কোনো হাত নেই। যে যেভাবে পরীক্ষা দিয়েছে তেমন ফলাফলই পেয়েছে। তার পরও যদি কারও আশানুরূপ ফল না পায়, তাহলে তো অবশ্যই তা পুনঃনিরীক্ষণ করার সুযোগ আছে। আর পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাইবাছাই করে ফের রেজাল্ট দেওয়া হবে।’