শ্রমিকলীগ নেতা হত্যা: আ.লীগ নেতাসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড – ইউ এস বাংলা নিউজ




শ্রমিকলীগ নেতা হত্যা: আ.লীগ নেতাসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ | ৮:০৯ 98 ভিউ
লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক বুলেট হত্যা মামলায় আওয়ামীলীগ নেতা ও জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী আমিনুল ইসলাম খাঁনসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। বুধবার বিকেলে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আদিব আলী এ রায় ঘোষনা করেন। লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ জুন লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগরে একটি দরপত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আশরাফুল ইসলাম বুলেটকে কুপিয়ে হত্যার করা হয়। এ ঘটনায় ১১ জনকে আসামী করে বুলেটের বাবা এনামুল হক

মাস্টার লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট জমা দিলে আদালত মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম খাঁন, বিপুল খান ও মজিদুল খাঁন ওরফে মজিদুল চোরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার করে টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়। রায়ে বাকি আসামীদের বেকসুর খালাস দেয় আদালত। আমিনুল ইসলাম খাঁন সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য। তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১৭টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। আশরাফুল ইসলাম বুলেট হত্যা মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের

পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে বুলেট হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় হাজতে থাকা খালাসপ্রাপ্ত তিনজন আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত তিনজন আসামী পলাতক রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জন্মদিনে ‘ধুরন্ধর’ রূপে দেখা দিলেন রণবীর গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৮২ ফিলিস্তিনির টেক্সাসে বন্যায় মৃত বেড়ে ৭৮, নিখোঁজ ৪১ আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না ঢাকার যেসব এলাকায় লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা ইলন মাস্ককে রাজনীতির বিষয়ে যে পরামর্শ দিলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী হামাস ক্ষমতায় থাকলে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন না ইসরাইল: নেতানিয়াহু ইসরাইলকে গণহত্যাকারী আখ্যা দিয়ে ব্রিকস সম্মেলন শুরু করলেন লুলা গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত ৫ বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।