৬ মাস বয়সী যমজ শিশুসহ গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে ছবি পোস্ট পুলিশের – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২৭ জুলাই, ২০২৫
     ৪:৫২ অপরাহ্ণ

আরও খবর

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা অপরাধের দায়মুক্তির অবসান চায় ১৩ দেশ

আজ সংবিধান দিবসঃ বাংলাদেশের সংবিধানের পটভূমি

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক চীনের দিকে ঝোঁকার কারণে উদ্বেগ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের

স্ট্রং ভল্টে সোনা-হীরা থাকলেও চুরি শুধু অস্ত্র, বাড়ছে শাহজালাল আগুনের রহস্য

ড. ইউনুসের পতনের ডাক যুবলীগের, ১৩ নভেম্বর ঢাকায় লকডাউন ঘোষণা

চার দিনের সফরে ঢাকায় পাকিস্তান নৌপ্রধান, সেনাপ্রধানকে পাশ কাটিয়ে পাকিস্তান নৌপ্রধানকে গলফ ও ভোজে আপ্যায়ন সশস্ত্র বাহিনীতে বিভেদ ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI) নিয়ে ড. ইউনূসের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক: তথ্য বিকৃতি ও বিভ্রান্তির অভিযোগ

৬ মাস বয়সী যমজ শিশুসহ গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে ছবি পোস্ট পুলিশের

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৭ জুলাই, ২০২৫ | ৪:৫২ 113 ভিউ
জমি নিয়ে মারামারির মামলায় গভীর রাতে এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে তাঁর ছয় মাস বয়সী যমজ শিশুসহ থানায় নিয়ে যায় নান্দাইল থানার পুলিশ। পরদিন শিশু দুটিসহ ওই নারীর ছবি থানার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা হয়। এ ছবি ব্যবহার করে বাদীপক্ষও নানা কুৎসা ছড়ায়। পুলিশের এমন তৎপরতায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই নারী। থানার ওসি বলছেন, এটা একটা মিসটেক (ভুল) হয়ে গেছে। নান্দাইল উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিমি দূরের চন্ডীপাশা ইউনিয়নের নিজ বানাইল গ্রামে ঘটনাটি ঘটে গত ৯ জুলাই। সম্প্রতি ওই ছবি ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। গতকাল শনিবার ওই গ্রামে গিয়ে কথা হয় গৃহবধূর সঙ্গে। গোটা ঘটনায় লজ্জা অপমানে মানসিকভাবে

ভেঙে পড়েছেন তিনি। এ গৃহবধূ বলেন, জমি নিয়ে মারামারির সময় ঘটনাস্থলে তিনি ছিলেন না। তবু তাঁকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে দুই অবুঝ শিশুসহ তাঁর ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে। এর পর পোস্ট দিয়েছে বাদীপক্ষ। এতে তাঁর মানসম্মান শেষ হয়ে গেছে। ঘটনার পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি, পাড়া প্রতিবেশীসহ আত্মীয়-স্বজনের সামনে যেতেও লজ্জা লাগছে। তিনি বলেন, ছবিটা ফেসবুকে না দিলে কী এমন হতো। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এর বিচার কে করবে? জমি নিয়ে বিরোধ থেকে মারামারির জেরে গ্রামের জিয়াউর রহমান তাঁর ভাতিজা ও তাঁর স্ত্রীর নামে আদালতে মামলাটি করেছিলেন। মামলায় প্রথমবার আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন পান গৃহবধূ। কিন্তু শিশু

দুটি অসুস্থ থাকায় দ্বিতীয়বার হাজিরা দিতে পারেননি। এতে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এর পরই থানার এসআই আসাদ ৯ জুলাই গভীর রাতে গিয়ে ওই গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে তাঁর যমজ শিশুসহ থানায় নিয়ে যান। পরদিন থানার ফেসবুক আইডিতে অন্য আসামিদের সঙ্গে দুই শিশুসহ ওই নারীর ছবি পোস্ট দেওয়া হয়। এ আইডিতে থানার দৈনন্দিন পারফরম্যান্স তুলে ধরা হয়। ওই গৃহবধূ বলেন, পুলিশ গভীর রাতে তাঁকে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে তিনি তাঁর ঘুমন্ত দুই শিশুসন্তানের কথা জানিয়ে সকালে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তা তাতে কর্ণপাত করেননি। থানায় নিয়ে সারারাত হাজতখানায় রেখে পরদিন আদালতে পাঠানো হয় তাঁকে। সেখান থেকে তিনি পুনরায় জামিন

পান। কিন্তু এরই মধ্যে ফেসবুকে তাঁর ছবিসহ পোস্ট দেয় থানা কর্তৃপক্ষ। গৃহবধূর স্বামী জানান, প্রতিপক্ষ একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে নানাভাবে তাদের হয়রানি করে যাচ্ছে। তিনি তাঁর স্ত্রীর সম্মানহানির বিচার দাবি করেন। জানতে চাইলে ময়মনসিংহ জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ফকির বলেন, গভীর রাতে বাড়িতে গিয়ে আসামি ধরার কোনো বিধান নেই। তাছাড়া নারীসহ শিশুদের থানায় এনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সরাসরি ছবি দিয়ে পোস্ট দেওয়াটাও পুলিশের উচিত হয়নি। নান্দাইল মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, এটা একটা মিসটেক (ভুল) হয়ে গেছে। এখন থেকে গ্রেপ্তার করা আসামিদের ছবি দিয়ে পোস্ট করার সময় আরও সতর্ক হতে হবে। গৌরীপুর সার্কেলের এএসপি দেবাশীষ কর্মকার বলেন, নারী-শিশুদের ছবি

পোস্ট করতে হলে চেহারা ব্লার (ঝাপসা) করে দেওয়ার কথা আগেই বলা হয়েছিল। এর পরও তা মানা হয়নি। ওই গৃহবধূর ছবি যে পোস্ট করেছে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নিউইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানি রোমাঞ্চকর ম্যাচে প্রোটিয়াদের হারিয়ে এগিয়ে গেলো পাকিস্তান দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করেও ক্লান্তি নেই রাশমিকার! ঋত্বিক ঘটকের ভাঙা বাড়িতে জন্মশতবর্ষ উদযাপন চালু হচ্ছে বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত গাড়ি নির্মাণ কারখানা ফিলিপাইনে টাইফুন কালমেগির তাণ্ডবে ৪০ জনের প্রাণহানি ওপেন এআই-অ্যামাজনের ৩৮ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি কুষ্টিয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের দ্বিতীয় দিনে সড়ক অবরোধ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা অপরাধের দায়মুক্তির অবসান চায় ১৩ দেশ ‘জুলাই সনদ’ কড়চা এবং অতঃপর … আজ সংবিধান দিবসঃ বাংলাদেশের সংবিধানের পটভূমি বিএনপি-এনসিপি সমঝোতায় বঞ্চিত হলো জুলাই এর নারী নেত্রীরা রপ্তানি পতন অব্যাহত: অক্টোবরে ৭.৪৩% কমে ৩.৬৩ বিলিয়ন ডলার, আমদানিও নেমে আসছে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক চীনের দিকে ঝোঁকার কারণে উদ্বেগ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রং ভল্টে সোনা-হীরা থাকলেও চুরি শুধু অস্ত্র, বাড়ছে শাহজালাল আগুনের রহস্য প্রধান রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ: পশ্চিমা হস্তক্ষেপ চাইলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ড. ইউনুসের পতনের ডাক যুবলীগের, ১৩ নভেম্বর ঢাকায় লকডাউন ঘোষণা চার দিনের সফরে ঢাকায় পাকিস্তান নৌপ্রধান, সেনাপ্রধানকে পাশ কাটিয়ে পাকিস্তান নৌপ্রধানকে গলফ ও ভোজে আপ্যায়ন সশস্ত্র বাহিনীতে বিভেদ ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির ইঙ্গিত দিচ্ছে। সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI) নিয়ে ড. ইউনূসের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক: তথ্য বিকৃতি ও বিভ্রান্তির অভিযোগ ‘লাশের শহর’ ছাড়ছে নিরুপায় বাসিন্দারা