ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ভারতের কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশে’ চলছে হাহাকার
পুতিনের নজরে এ বার অন্য প্রতিবেশী!
পুতিনের নজরে এ বার অন্য প্রতিবেশী!
ভেসে আসে হাজার টন মরা মাছ! রহস্য অধরা আজও
৫.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ভারত
বোমা মেরে তাজমহল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি; নিরাপত্তা জোরদার
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের উত্তেজনা
৪০ বছরে বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ ইসরায়েল, মাথাপিছু আয় ৪২ লক্ষ!
৭৬ বছর আগে জন্ম নেওয়া এই ছোট্ট রাষ্ট্রটিকে বিশ্বের অন্যতম বিতর্কিত রাষ্ট্র বলে মনে করা হয়। ইসরায়েল নামটি শুনলেই যুদ্ধবিগ্রহ, ধর্মীয় কিংবা রাজনৈতিক সংঘাতের কথা চলে আসে। ইসরায়েল এমন একটি দেশ, যার গতিবিধি প্রতিনিয়ত আতশকাচের মধ্যে ফেলে মাপে একাধিক রাষ্ট্র।
আয়তনের দিক থেকে যতই ছোট হোক না কেন, গত কয়েক দশকে রাষ্ট্র হিসাবে নিজের পরিধি অনেকটাই বাড়িয়েছে ইসরায়েল। প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব, লাগাতার সংঘর্ষের আবহ সত্ত্বেও এই ক্ষুদ্র ইহুদি রাষ্ট্র এক দিকে যেমন শক্তিশালী হয়েছে, অন্য দিকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পশ্চিম এশিয়ার অন্য দেশগুলিকে পিছনে ফেলে ধনী দেশের তালিকায় নাম তুলে ফেলেছে ইসরায়েল। ক্ষুদ্র এই দেশটি মাথাপিছু আয়ের নিরিখে সৌদি
আরবকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে রকেটগতিতে এগিয়ে যাওয়া দেশটির এই সাফল্য কী ভাবে এল, তা খুঁজতে গেলে অনেকগুলি বিষয় উঠে আসে। গত কয়েক মাস ধরে পশ্চিম এশিয়া জুড়ে ঘনিয়েছে যুদ্ধের মেঘ। হামলা-পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। ইরানের মদতপুষ্ট লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী হিজ়বুল্লার সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাতের মধ্যেই ইহুদি রাষ্ট্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। যুদ্ধকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের সাফল্যকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে ইসরায়েল। এর অন্যতম কারণ হল দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রগতি। ২০২৩ সালের একটি রিপোর্ট বলছে, ইসরায়েলের জিডিপি ৪২ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি টাকা ছুঁয়েছে। যে কোনও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির মূলে থাকে সেই দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি। ১৯৪৮ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ
করার পর থেকে আশির দশক পর্যন্ত দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রগতি তেমন উচ্চতায় পৌঁছতে পারেনি। ১৯৮৫ সালের অর্থনৈতিক সংস্কারের পর তা চড়চড় করে উপরের দিকে উঠতে থাকে। বর্তমানে ইসরায়েলের নাগরিকদের মাথাপিছু আয় ৪২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। এই সূচক যত বেশি হবে তার প্রতিফলন দেখা যাবে নাগরিক জীবনযাত্রায়। মাথাপিছু আয়ের নিরিখে ফ্রান্স, জার্মানি, ইংল্যান্ডকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে এই রাষ্ট্র। পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সিঙ্গাপুর ও কাতার বাদে ইজ়রায়েলের সামনে আর কেউ নেই। ১৯৮৪ সালে ইসরায়েলের অর্থনৈতিক অগ্রগতি প্রায় থমকে যেতে বসেছিল। প্রায় ৪৫০ শতাংশ মু্দ্রাস্ফীতি তৈরি হয়েছিল সেই সময়। নাগরিকদের আয় কমতে শুরু করায় জমানো পুঁজি নিঃশেষ হতে থাকে। বিনিয়োগেও মন্দা শুরু হয় ইসরায়েল জুড়ে। সেই
সময় ইসরায়েলিদের মাথাপিছু আয় ছিল প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। ৪০ বছরের মধ্যে সেই আয় অনেকটাই বাড়িয়েছে ইসরায়েল সরকার। অর্থনীতির উপর চেপে থাকা ঋণের বোঝা কমাতে বেশ কয়েকটি সাহসী পদক্ষেপ করে তৎকালীন সরকার। এর মধ্যে প্রথম পদক্ষেপটি হল ভর্তুকি প্রত্যাহার। খাদ্য, পরিবহণ ও প্রতিরক্ষা খাতে সমস্ত রকম সরকারি সাহায্য প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হয়েছিল সেই সময়। সেটি হল অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার নিরিখে ইসরায়েলি মুদ্রার (ইসরায়েলি শেকেল) মূল্যমান কমিয়ে দেওয়া। পণ্য রফতানির পরিমাণ বাড়তে থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের হাতে প্রভূত ক্ষমতাও প্রদান করে সরকার। ইসরায়েলের নাগরিকদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল এর রফতানি। হিরে, ইন্টিগ্রেটেড
সার্কিট, সার, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশটি। ইসরায়েলি পণ্যের চাহিদা বিশ্ব জুড়ে থাকায় দেশটির রফতানির পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। তবে এ সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে এ দেশে প্রযুক্তির বাড়বাড়ন্ত। পশ্চিম এশিয়ার দেশটির অর্থনীতির চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্টার্ট আপ সংস্থাগুলি। গত কয়েক দশক ধরে পৃথিবীর অন্যতম প্রযুক্তিধর দেশ হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে ইহুদি দেশটি। ইসরায়েলে চার হাজারেরও বেশি প্রযুক্তি সংস্থা রয়েছে। এই সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে বিশ্বের প্রথম সারির তাবড় সংস্থাগুলি। বিশ্বের প্রধান ৫০০টি সংস্থার মধ্যে ৮০টিরই গবেষণাকেন্দ্র এবং নব্য প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্র রয়েছে তেল আভিভে। দেশটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে এমন স্টার্ট আপের সংখ্যা লাখের উপরে। ইসরায়েল
প্রতিষ্ঠার সময়ে সেখানে জল এবং উর্বর ভূমির সঙ্কট ছিল। অত্যাধুনিক সেচ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মরুভূমিতে নানা ধরনের শস্য ফলিয়ে পথ দেখিয়েছে দেশটি। ইসরায়েলের সাফল্যের মূলে রয়েছে এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাও। ১৯৪৮ সালে ইজ়রায়েল প্রতিষ্ঠা হওয়ার ৩০ বছর আগেই ইহুদিরা জেরুজ়ালেমে প্রতিষ্ঠা করেন ‘দ্য হিব্রু ইউনিভার্সিটি অফ জেরুজালেম’। বর্তমানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের দিক থেকে ইজ়রায়েল রয়েছে একেবারে প্রথম সারিতে। আমেরিকার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক এবং বিনিয়োগও ইসরায়েলকে সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে মজুবত করেছে বলে মনে করেন ইসরায়েল বিষয়ক গবেষকেরা। সূত্র: আনন্দ বাজার
আরবকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে রকেটগতিতে এগিয়ে যাওয়া দেশটির এই সাফল্য কী ভাবে এল, তা খুঁজতে গেলে অনেকগুলি বিষয় উঠে আসে। গত কয়েক মাস ধরে পশ্চিম এশিয়া জুড়ে ঘনিয়েছে যুদ্ধের মেঘ। হামলা-পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। ইরানের মদতপুষ্ট লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী হিজ়বুল্লার সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাতের মধ্যেই ইহুদি রাষ্ট্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। যুদ্ধকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের সাফল্যকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে ইসরায়েল। এর অন্যতম কারণ হল দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রগতি। ২০২৩ সালের একটি রিপোর্ট বলছে, ইসরায়েলের জিডিপি ৪২ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি টাকা ছুঁয়েছে। যে কোনও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির মূলে থাকে সেই দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি। ১৯৪৮ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ
করার পর থেকে আশির দশক পর্যন্ত দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রগতি তেমন উচ্চতায় পৌঁছতে পারেনি। ১৯৮৫ সালের অর্থনৈতিক সংস্কারের পর তা চড়চড় করে উপরের দিকে উঠতে থাকে। বর্তমানে ইসরায়েলের নাগরিকদের মাথাপিছু আয় ৪২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। এই সূচক যত বেশি হবে তার প্রতিফলন দেখা যাবে নাগরিক জীবনযাত্রায়। মাথাপিছু আয়ের নিরিখে ফ্রান্স, জার্মানি, ইংল্যান্ডকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে এই রাষ্ট্র। পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সিঙ্গাপুর ও কাতার বাদে ইজ়রায়েলের সামনে আর কেউ নেই। ১৯৮৪ সালে ইসরায়েলের অর্থনৈতিক অগ্রগতি প্রায় থমকে যেতে বসেছিল। প্রায় ৪৫০ শতাংশ মু্দ্রাস্ফীতি তৈরি হয়েছিল সেই সময়। নাগরিকদের আয় কমতে শুরু করায় জমানো পুঁজি নিঃশেষ হতে থাকে। বিনিয়োগেও মন্দা শুরু হয় ইসরায়েল জুড়ে। সেই
সময় ইসরায়েলিদের মাথাপিছু আয় ছিল প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। ৪০ বছরের মধ্যে সেই আয় অনেকটাই বাড়িয়েছে ইসরায়েল সরকার। অর্থনীতির উপর চেপে থাকা ঋণের বোঝা কমাতে বেশ কয়েকটি সাহসী পদক্ষেপ করে তৎকালীন সরকার। এর মধ্যে প্রথম পদক্ষেপটি হল ভর্তুকি প্রত্যাহার। খাদ্য, পরিবহণ ও প্রতিরক্ষা খাতে সমস্ত রকম সরকারি সাহায্য প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হয়েছিল সেই সময়। সেটি হল অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার নিরিখে ইসরায়েলি মুদ্রার (ইসরায়েলি শেকেল) মূল্যমান কমিয়ে দেওয়া। পণ্য রফতানির পরিমাণ বাড়তে থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের হাতে প্রভূত ক্ষমতাও প্রদান করে সরকার। ইসরায়েলের নাগরিকদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল এর রফতানি। হিরে, ইন্টিগ্রেটেড
সার্কিট, সার, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশটি। ইসরায়েলি পণ্যের চাহিদা বিশ্ব জুড়ে থাকায় দেশটির রফতানির পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। তবে এ সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে এ দেশে প্রযুক্তির বাড়বাড়ন্ত। পশ্চিম এশিয়ার দেশটির অর্থনীতির চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্টার্ট আপ সংস্থাগুলি। গত কয়েক দশক ধরে পৃথিবীর অন্যতম প্রযুক্তিধর দেশ হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে ইহুদি দেশটি। ইসরায়েলে চার হাজারেরও বেশি প্রযুক্তি সংস্থা রয়েছে। এই সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে বিশ্বের প্রথম সারির তাবড় সংস্থাগুলি। বিশ্বের প্রধান ৫০০টি সংস্থার মধ্যে ৮০টিরই গবেষণাকেন্দ্র এবং নব্য প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্র রয়েছে তেল আভিভে। দেশটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে এমন স্টার্ট আপের সংখ্যা লাখের উপরে। ইসরায়েল
প্রতিষ্ঠার সময়ে সেখানে জল এবং উর্বর ভূমির সঙ্কট ছিল। অত্যাধুনিক সেচ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মরুভূমিতে নানা ধরনের শস্য ফলিয়ে পথ দেখিয়েছে দেশটি। ইসরায়েলের সাফল্যের মূলে রয়েছে এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাও। ১৯৪৮ সালে ইজ়রায়েল প্রতিষ্ঠা হওয়ার ৩০ বছর আগেই ইহুদিরা জেরুজ়ালেমে প্রতিষ্ঠা করেন ‘দ্য হিব্রু ইউনিভার্সিটি অফ জেরুজালেম’। বর্তমানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের দিক থেকে ইজ়রায়েল রয়েছে একেবারে প্রথম সারিতে। আমেরিকার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক এবং বিনিয়োগও ইসরায়েলকে সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে মজুবত করেছে বলে মনে করেন ইসরায়েল বিষয়ক গবেষকেরা। সূত্র: আনন্দ বাজার