ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস, নিহত ৪৪
চীনে দ্রুতগতির ট্রেনের ধাক্কায় ১১ রেলকর্মীর মৃত্যু
দেশ ছেড়ে পালালেন গিনি-বিসাউয়ের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট
জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব নির্বাচনে প্রার্থী যারা
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে স্থায়ীভাবে অভিবাসন বন্ধের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে স্থায়ীভাবে অভিবাসন বন্ধের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
বেলজিয়ামে ইইউ পার্লামেন্টের সামনে সর্ব ইউরোপ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ভিডিও কলে বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা
হংকংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: নিহত ১২৮, আহত ৭৬
হংকংয়ের একটি আবাসিক কমপ্লেক্সে সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ জনে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৭৬ জন, যাদের মধ্যে ১১ জন দমকলকর্মী রয়েছেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ভোরে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ এই হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কমপ্লেক্সটির মোট আটটি ব্লকে একযোগে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভবনগুলোর চারপাশে নির্মাণকাজের জন্য বাঁশের মাচা ও প্লাস্টিকের জাল স্থাপন করা ছিল, যা আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া ভবনের ভেতরে থাকা বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ আগুনের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তোলে। ফলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং আগুন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে জ্বলতে থাকে।
এই ভয়াবহ
অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে ৩৭ বছর বয়সী একজন দমকলকর্মীও রয়েছেন, যিনি আগুন নেভানোর সময় কর্তব্যরত অবস্থায় প্রাণ হারান। অগ্নিকাণ্ড বর্তমানে প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলেও অধিকাংশ ভবন সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এখনো যারা নিখোঁজ রয়েছেন, তাদের সন্ধানে পুড়ে যাওয়া ভবনগুলোর ভেতরে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। এই বিপর্যয়কর ঘটনা কীভাবে শুরু হয়েছিল, তা জানতে কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। বিশেষ করে নির্মাণকাজের সময় ব্যবহৃত বাঁশের মাচা, প্লাস্টিকের জাল এবং সেখানে থাকা দাহ্য সামগ্রী তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। একই সঙ্গে কমপ্লেক্সটির সংস্কারকাজ নিয়ে দুর্নীতি দমন সংস্থাও আলাদা তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে পুলিশ জানিয়েছিল, আগুনের স্থানে অবহেলার কারণে ফোম জাতীয় প্যাকেজিং সামগ্রী ফেলে রাখার অভিযোগে
তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর তারা কোনো ধরনের আগাম সতর্ক সংকেত পাননি। ফলে প্রতিবেশীদের সতর্ক করতে গিয়ে অনেকেই দরজায় দরজায় গিয়ে মানুষকে বের করে আনতে বাধ্য হন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আগুন অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছিল এবং মাত্র একটি হোস পাইপ দিয়ে একাধিক ভবন বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল, যা তাদের কাছে খুবই ধীরগতির বলে মনে হয়েছে। তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে একে অপরকে বাঁচাতে ডোরবেল বাজানো, দরজায় নক করা এবং দ্রুত ঘর ছাড়ার আহ্বান জানানো ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। মুহূর্তের মধ্যেই পুরো এলাকা আতঙ্কে ছেয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের পর স্থানীয় বাসিন্দা, দমকলকর্মী এবং বিভিন্ন
সংগঠনের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ ত্রাণ ও সহায়তা নিয়ে ছুটে আসেন। সেখানে একটি অস্থায়ী সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে, যেখানে আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য, আশ্রয় ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সহায়তা কেন্দ্র পরিচালনায় যুক্ত এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, এই ঘটনায় মানুষের সহমর্মিতা সত্যিই হৃদয়স্পর্শী। কারও বিপদে অন্যরা যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তা প্রশংসার যোগ্য। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হংকংয়ের ইতিহাসে অন্যতম বড় দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে নির্মাণস্থলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে ৩৭ বছর বয়সী একজন দমকলকর্মীও রয়েছেন, যিনি আগুন নেভানোর সময় কর্তব্যরত অবস্থায় প্রাণ হারান। অগ্নিকাণ্ড বর্তমানে প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলেও অধিকাংশ ভবন সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এখনো যারা নিখোঁজ রয়েছেন, তাদের সন্ধানে পুড়ে যাওয়া ভবনগুলোর ভেতরে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। এই বিপর্যয়কর ঘটনা কীভাবে শুরু হয়েছিল, তা জানতে কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। বিশেষ করে নির্মাণকাজের সময় ব্যবহৃত বাঁশের মাচা, প্লাস্টিকের জাল এবং সেখানে থাকা দাহ্য সামগ্রী তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। একই সঙ্গে কমপ্লেক্সটির সংস্কারকাজ নিয়ে দুর্নীতি দমন সংস্থাও আলাদা তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে পুলিশ জানিয়েছিল, আগুনের স্থানে অবহেলার কারণে ফোম জাতীয় প্যাকেজিং সামগ্রী ফেলে রাখার অভিযোগে
তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর তারা কোনো ধরনের আগাম সতর্ক সংকেত পাননি। ফলে প্রতিবেশীদের সতর্ক করতে গিয়ে অনেকেই দরজায় দরজায় গিয়ে মানুষকে বের করে আনতে বাধ্য হন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আগুন অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছিল এবং মাত্র একটি হোস পাইপ দিয়ে একাধিক ভবন বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল, যা তাদের কাছে খুবই ধীরগতির বলে মনে হয়েছে। তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে একে অপরকে বাঁচাতে ডোরবেল বাজানো, দরজায় নক করা এবং দ্রুত ঘর ছাড়ার আহ্বান জানানো ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। মুহূর্তের মধ্যেই পুরো এলাকা আতঙ্কে ছেয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের পর স্থানীয় বাসিন্দা, দমকলকর্মী এবং বিভিন্ন
সংগঠনের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ ত্রাণ ও সহায়তা নিয়ে ছুটে আসেন। সেখানে একটি অস্থায়ী সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে, যেখানে আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য, আশ্রয় ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সহায়তা কেন্দ্র পরিচালনায় যুক্ত এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, এই ঘটনায় মানুষের সহমর্মিতা সত্যিই হৃদয়স্পর্শী। কারও বিপদে অন্যরা যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তা প্রশংসার যোগ্য। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হংকংয়ের ইতিহাসে অন্যতম বড় দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে নির্মাণস্থলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে।



