
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

আ.লীগের ঝটিকা মিছিল

২১শে আগস্ট মামলায় খালাসের রায়: আওয়ামী লীগের তীব্র নিন্দা

জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর নিয়ে যা বলল বিএনপি

জাপার রাজনীতি নিষিদ্ধ চায় ২৯ দল

ফের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন

ঢাকার কয়েকটি স্থানে আওয়ামী লীগের বিশাল মিছিল, একদিন আগেই সংসদ সদস্যসহ ৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

রাজধানীর ধানমন্ডি-তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ব্যাপক শোডাউন-মিছিল
স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে কুপিয়ে জখম, গণঅধিকার পরিষদ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় শাহিনুর কবির নামে এক স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি প্রার্থী হাসান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন শাহিনুরের ছোট ভাই সাইফুল্লাহ ও ভাবি পারুল সুলতানা। হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে তৈলকুপি ভাঙ্গারিঘাট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শাহিনুর সরুলিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
অভিযুক্ত হাসানুর রহমান হাসান জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি প্রার্থী। তিনি পতিত আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আফম রুহুল হকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে,
মাছের ঘের থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তৈলকুপি ভাঙ্গারিঘাট এলাকায় শাহিনুর কবিরকে লোহার রড, হাতুড়ি, দা, জিআই পাইপ ও বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি হামলা করে। দোকানে আশ্রয় নিলে শাটার ভেঙে তাকে আবারও বেধড়ক মারধর করা হয়। এ সময় ছোট ভাই সাইফুল্লাহ ও ভাবি পারুল সুলতানা ছুটে এলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। ধারাল অস্ত্রের কোপে সাইফুল্লাহ গুরুতর জখম হন। পারুল সুলতানাকে পিটিয়ে জখম করার পাশাপাশি তার গলার সোনার চেইন ছিনিয়ে নেওয়া হয় ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। হামলাকারীরা শাহিনুরের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। শাহিনুর অভিযোগ করে
বলেন, ২০২৩ সালে বিএনপির দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কারণে পতিত সরকারের সাবেক মন্ত্রী রুহুল হক এবং তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোষ সনৎ কুমারের প্রভাবে র্যাব তাকে গ্রেফতার করে। সেই সময় দীর্ঘদিন জেল খাটতে হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সরকারি প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে হাসান। এ ঘটনায় শাহিনুরের বাবা লিয়াকাত গাজী পাটকেলঘাটা থানায় একটি মামলা করেছেন। এতে হাসানসহ তার ১০ সহযোগীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসানুর রহমান হাসান বলেন, জমির কাগজ আমাদের রয়েছে, কিন্তু তারা জোর করে দখল করে রেখেছে। আইন হাতে তুলে মারধর করার মতো ঘটনা ঘটানো ঠিক হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি এড়িয়ে যান। হামলার
ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভুট্টো বলেন, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা অবিলম্বে হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছি। একইসঙ্গে এ ধরনের ঘটনায় যাতে সাধারণ মানুষ ও দলের নেতাকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগেন, সে বিষয়ে প্রশাসনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা। পাটকেলঘাটা থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, হামলার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তীতে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলামান রয়েছে।
মাছের ঘের থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তৈলকুপি ভাঙ্গারিঘাট এলাকায় শাহিনুর কবিরকে লোহার রড, হাতুড়ি, দা, জিআই পাইপ ও বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি হামলা করে। দোকানে আশ্রয় নিলে শাটার ভেঙে তাকে আবারও বেধড়ক মারধর করা হয়। এ সময় ছোট ভাই সাইফুল্লাহ ও ভাবি পারুল সুলতানা ছুটে এলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। ধারাল অস্ত্রের কোপে সাইফুল্লাহ গুরুতর জখম হন। পারুল সুলতানাকে পিটিয়ে জখম করার পাশাপাশি তার গলার সোনার চেইন ছিনিয়ে নেওয়া হয় ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। হামলাকারীরা শাহিনুরের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। শাহিনুর অভিযোগ করে
বলেন, ২০২৩ সালে বিএনপির দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কারণে পতিত সরকারের সাবেক মন্ত্রী রুহুল হক এবং তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোষ সনৎ কুমারের প্রভাবে র্যাব তাকে গ্রেফতার করে। সেই সময় দীর্ঘদিন জেল খাটতে হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সরকারি প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে হাসান। এ ঘটনায় শাহিনুরের বাবা লিয়াকাত গাজী পাটকেলঘাটা থানায় একটি মামলা করেছেন। এতে হাসানসহ তার ১০ সহযোগীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসানুর রহমান হাসান বলেন, জমির কাগজ আমাদের রয়েছে, কিন্তু তারা জোর করে দখল করে রেখেছে। আইন হাতে তুলে মারধর করার মতো ঘটনা ঘটানো ঠিক হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি এড়িয়ে যান। হামলার
ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভুট্টো বলেন, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা অবিলম্বে হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছি। একইসঙ্গে এ ধরনের ঘটনায় যাতে সাধারণ মানুষ ও দলের নেতাকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগেন, সে বিষয়ে প্রশাসনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা। পাটকেলঘাটা থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, হামলার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তীতে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলামান রয়েছে।