
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

টটেনহ্যাম ছাড়ার ঘোষণা এশিয়ান ফুটবলের নায়ক সনের

ইনস্টায় স্ত্রীর ছবি দিয়ে বিপাকে কাকা

‘শুধু প্রত্যাশা নয়, ভালো প্রস্তুতি নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে হবে’

ভারত ম্যাচে পাকিস্তানি ভক্তকে মাঠ ছাড়া করে ক্ষমা প্রার্থনা

ইয়ামালের নৈপূন্যে বার্সেলোনার গোল উৎসব

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কোথায় খেলবে বাংলাদেশ, জানাল আইসিসি

সেমিফাইনালে খেলবে না ভারত, ফাইনালে পাকিস্তান
সৌদি থেকে কেন মুখ ফেরাচ্ছেন তারকারা

খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, দলবদলের বাজার কাঁপিয়ে ফুটবলবিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিল সৌদি আরবের ক্লাবগুলো। পেট্রো ডলারের ঝনঝনানিতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, নেইমার, করিম বেনজেমা, রবার্তো ফিরমিনো, সাদিও মানের মতো অসংখ্য তারকাকে দলে টেনেছিল তারা। সৌদি লিগের এমন উত্থান দেখে সবার মনে একটা প্রশ্ন উঁকি দিয়েছিল, কত দিন থাকবে এই জৌলুস?
দুই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সৌদি ফুটবল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছেন তারকারা। চোটে জর্জর নেইমার সমঝোতার মাধ্যমে দেশের ক্লাবে ফিরলেও আইমেরিক লাপোর্তে, কেভিন ডুরান্ড, তোলিস্কা, গ্যাব্রি ভেইগা, জুয়ানমির মতো উঠতি তারকারা ক্যারিয়ার বাঁচাতে ইউরোপে ফিরছেন। বর্ষীয়ান কলম্বিয়ান গোলরক্ষক ডেভিড অস্পিনা ছোটবেলার ক্লাব অ্যাথলেটিকো ন্যাসিওনাল, আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এভার বানেগাও
নিজ শহর রোজারিওতে ফিরে নিউয়েলস ওল্ড বয়েজে নাম লিখিয়েছেন, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফিরমিনো কাতারে চলে গেছেন। জোয়াও ফেলিক্স ছাড়া নতুন কোনো তারকা সৌদিতে যাননি। এমনকি অবসরের দ্বারপ্রান্তে থাকা লুকা মডরিচ, রবার্ট লেভানডস্কিরাও সৌদিতে যেতে চাইছেন না। ইউরোপীয় জীবনযাপনে অভ্যস্ত অধিকাংশ ফুটবলার সৌদিতে পা ফেলতে না ফেলতেই বিরক্ত হয়ে উঠছেন। যে কারণে অনেকের কাছেই বিশাল বেতনকেও বোঝা মনে হচ্ছে। এই যেমন করিম বেনজেমা বা রিয়াদ মাহারেজ। দুজনই মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও সৌদি সমাজের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। বেনজেমা তো ক্লাবই ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু আল ইতিহাদের কর্মকর্তারা তাঁকে যেতে দেননি। এজন্য প্রায় দেড় মাস ট্রেনিং থেকে দূরে ছিলেন। ম্যানসিটি তারকা মাহারেজ সৌদিতে থাকলেও তাঁর
পরিবার থাকছে ম্যানচেস্টারে। এসব নানাবিধ কারণে সৌদি লিগ ছেড়ে আসছেন অনেকে। তেমনি উল্লেখযোগ্য কজনের প্রত্যাবর্তন তুলে ধরা হলো। নেইমার: পিএসজিতে সর্বশেষ মৌসুমে ২৯ ম্যাচ খেলে ৩৫ গোলে অবদান (নিজে গোল করা ও অ্যাসিস্ট) রাখার মতো জাদুকরী পারফরম্যান্স করে সৌদি ক্লাব আল হিলালে গিয়েছিলেন নেইমার। তাঁর সাপ্তাহিক বেতন ছিল ১.৬ মিলিয়ন পাউন্ড! চলতি বছরের শুরুতে সমঝোতার মাধ্যমে ছেলেবেলার ক্লাব সান্তোসে ফিরে গেছেন নেইমার। জন ডুরান্ড: মাত্র ২১ বছর বয়সে অ্যাস্টন ভিলা থেকে জন ডুরান্ডকে সৌদি ক্লাব আল নাসরে যেতে দেখে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। ক্যারিয়ারের এই উঠতি সময়ে কলম্বিয়ান এ ফরোয়ার্ড কিনা ফুটবলের মূল ধারা থেকে বিচ্যুত হয়ে গেলেন! মাত্র ছয় মাস সৌদিতে
থাকার পর ধারে তুরস্কের ক্লাব ফেনারবাচেতে চলে এসেছেন তিনি। গ্যাব্রি ভেইগা: ডুরান্ডের মতো ২১ বছর বয়সে সৌদি লিগে নাম লিখিয়েছিলেন স্প্যানিশ প্রতিভা গ্যাব্রি ভেইগা। তবে আল আহলিতে দুই বছর থাকার পর নিজের ভুল বুঝতে পারেন তরুণ এ মিডফিল্ডার। গত মে মাসে অনেকটা মরিয়া হয়ে পোর্তোতে যোগ দিয়েছেন তিনি। তোলিস্কা: ব্রাজিলিয়ান এ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার সাড়ে তিন বছর সৌদি আরবে ক্লাব ফুটবল খেলেছেন। চলতি বছরের শুরুতে আল নাসরে ছেড়ে তুর্কি জায়ান্ট ফেনারবাচেতে যোগ দেন তিনি। আল নাসের ছেড়ে এসে সৌদি ক্লাবটির বেশ সমালোচনাও করেছেন তিনি। ওবামেয়াং: ইউরোপিয়ান ফুটবল ছেড়ে যাওয়ার এক বছর পর আবার পুরোনো ঠিকানায় ফিরে এসেছেন পিয়েরে-এমেরিক ওবামেয়াং। ৩৬ বছর বয়সী ফ্রান্সে জন্ম
নেওয়া গ্যাবনের এ ফরোয়ার্ডকে আল-কাদসিয়াহ থেকে ফ্রি ট্রান্সফারে দলে টানে মার্শেই। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, আর্সেনাল, বার্সেলোনা, চেলসির মতো ক্লাবে খেলা এ তারকা সৌদিতে মানিয়ে নিতে পারেননি। আইমেরিক লাপোর্তে: ফরাসি বংশোদ্ভূত স্প্যানিশ ডিফেন্ডার আইমেরিক লাপোর্তে ২০২৩ সালে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে সৌদি ক্লাব আল নাসরে যোগ দেন। দুই বছর সৌদিতে কাটানোর পর তিনি ছেলেবেলার ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাওতে আসার চেষ্টা করছেন। জর্ডান হেন্ডারসন: সাবেক লিভারপুল অধিনায়ক হেন্ডারসন বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে সৌদি ক্লাব আল ইত্তিফাকে যোগ দিয়েছিলেন। তবে সমকামীদের অধিকার নিয়ে কথা বলা এই ইংলিশ মিডফিল্ডার সমালোচনার মুখে মাত্র ছয় মাস পরই সেখান থেকে ফিরে আসেন। গত বছর ডাচ ক্লাব আয়াক্সে নাম লিখিয়েছিলেন। এ বছর আবার প্রিমিয়ার
লিগের ক্লাব ব্রেন্টফোর্ডে যোগ দিয়েছেন তিনি।
নিজ শহর রোজারিওতে ফিরে নিউয়েলস ওল্ড বয়েজে নাম লিখিয়েছেন, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফিরমিনো কাতারে চলে গেছেন। জোয়াও ফেলিক্স ছাড়া নতুন কোনো তারকা সৌদিতে যাননি। এমনকি অবসরের দ্বারপ্রান্তে থাকা লুকা মডরিচ, রবার্ট লেভানডস্কিরাও সৌদিতে যেতে চাইছেন না। ইউরোপীয় জীবনযাপনে অভ্যস্ত অধিকাংশ ফুটবলার সৌদিতে পা ফেলতে না ফেলতেই বিরক্ত হয়ে উঠছেন। যে কারণে অনেকের কাছেই বিশাল বেতনকেও বোঝা মনে হচ্ছে। এই যেমন করিম বেনজেমা বা রিয়াদ মাহারেজ। দুজনই মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও সৌদি সমাজের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। বেনজেমা তো ক্লাবই ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু আল ইতিহাদের কর্মকর্তারা তাঁকে যেতে দেননি। এজন্য প্রায় দেড় মাস ট্রেনিং থেকে দূরে ছিলেন। ম্যানসিটি তারকা মাহারেজ সৌদিতে থাকলেও তাঁর
পরিবার থাকছে ম্যানচেস্টারে। এসব নানাবিধ কারণে সৌদি লিগ ছেড়ে আসছেন অনেকে। তেমনি উল্লেখযোগ্য কজনের প্রত্যাবর্তন তুলে ধরা হলো। নেইমার: পিএসজিতে সর্বশেষ মৌসুমে ২৯ ম্যাচ খেলে ৩৫ গোলে অবদান (নিজে গোল করা ও অ্যাসিস্ট) রাখার মতো জাদুকরী পারফরম্যান্স করে সৌদি ক্লাব আল হিলালে গিয়েছিলেন নেইমার। তাঁর সাপ্তাহিক বেতন ছিল ১.৬ মিলিয়ন পাউন্ড! চলতি বছরের শুরুতে সমঝোতার মাধ্যমে ছেলেবেলার ক্লাব সান্তোসে ফিরে গেছেন নেইমার। জন ডুরান্ড: মাত্র ২১ বছর বয়সে অ্যাস্টন ভিলা থেকে জন ডুরান্ডকে সৌদি ক্লাব আল নাসরে যেতে দেখে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। ক্যারিয়ারের এই উঠতি সময়ে কলম্বিয়ান এ ফরোয়ার্ড কিনা ফুটবলের মূল ধারা থেকে বিচ্যুত হয়ে গেলেন! মাত্র ছয় মাস সৌদিতে
থাকার পর ধারে তুরস্কের ক্লাব ফেনারবাচেতে চলে এসেছেন তিনি। গ্যাব্রি ভেইগা: ডুরান্ডের মতো ২১ বছর বয়সে সৌদি লিগে নাম লিখিয়েছিলেন স্প্যানিশ প্রতিভা গ্যাব্রি ভেইগা। তবে আল আহলিতে দুই বছর থাকার পর নিজের ভুল বুঝতে পারেন তরুণ এ মিডফিল্ডার। গত মে মাসে অনেকটা মরিয়া হয়ে পোর্তোতে যোগ দিয়েছেন তিনি। তোলিস্কা: ব্রাজিলিয়ান এ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার সাড়ে তিন বছর সৌদি আরবে ক্লাব ফুটবল খেলেছেন। চলতি বছরের শুরুতে আল নাসরে ছেড়ে তুর্কি জায়ান্ট ফেনারবাচেতে যোগ দেন তিনি। আল নাসের ছেড়ে এসে সৌদি ক্লাবটির বেশ সমালোচনাও করেছেন তিনি। ওবামেয়াং: ইউরোপিয়ান ফুটবল ছেড়ে যাওয়ার এক বছর পর আবার পুরোনো ঠিকানায় ফিরে এসেছেন পিয়েরে-এমেরিক ওবামেয়াং। ৩৬ বছর বয়সী ফ্রান্সে জন্ম
নেওয়া গ্যাবনের এ ফরোয়ার্ডকে আল-কাদসিয়াহ থেকে ফ্রি ট্রান্সফারে দলে টানে মার্শেই। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, আর্সেনাল, বার্সেলোনা, চেলসির মতো ক্লাবে খেলা এ তারকা সৌদিতে মানিয়ে নিতে পারেননি। আইমেরিক লাপোর্তে: ফরাসি বংশোদ্ভূত স্প্যানিশ ডিফেন্ডার আইমেরিক লাপোর্তে ২০২৩ সালে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে সৌদি ক্লাব আল নাসরে যোগ দেন। দুই বছর সৌদিতে কাটানোর পর তিনি ছেলেবেলার ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাওতে আসার চেষ্টা করছেন। জর্ডান হেন্ডারসন: সাবেক লিভারপুল অধিনায়ক হেন্ডারসন বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে সৌদি ক্লাব আল ইত্তিফাকে যোগ দিয়েছিলেন। তবে সমকামীদের অধিকার নিয়ে কথা বলা এই ইংলিশ মিডফিল্ডার সমালোচনার মুখে মাত্র ছয় মাস পরই সেখান থেকে ফিরে আসেন। গত বছর ডাচ ক্লাব আয়াক্সে নাম লিখিয়েছিলেন। এ বছর আবার প্রিমিয়ার
লিগের ক্লাব ব্রেন্টফোর্ডে যোগ দিয়েছেন তিনি।