সেই উজ্জল রায়কে মানসিক রোগী বলছেন বাবা-মা – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৫
     ১২:২৬ অপরাহ্ণ

সেই উজ্জল রায়কে মানসিক রোগী বলছেন বাবা-মা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৫ | ১২:২৬ 90 ভিউ
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে ‘আওয়ামী লিগ’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করা দলের প্রধান উজ্জল রায়ের সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে। তার দল গঠন নিয়েও এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। তবে তাকে এলাকার মানুষ উজ্জল রায় নয় চেনেন ‘ভিভিড সাহা’ নামে। তার বাবা-মা দাবি করেছেন, ছেলে উজ্জল রায় একজন মানসিক রোগী। চার থেকে পাঁচ দিন ধরে তিনি বাড়ি নেই। তারা জানেন না ছেলে কোথায় আছে। গত ২৪ মার্চ সোমবার উজ্জল রায় (২৬) নামে একজন ‘আওয়ামী লিগ’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চেয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে আবেদন করেন। উজ্জল রায় ওরফে ভিভিড সাহার বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর

গ্রামে। তার বাবার নাম নরেশ চন্দ্র রায়, মা পারুল রানী। তাদের বাড়ির গেটে লেখা রয়েছে ‘সাহা পরিবার’। তাদের বাড়ি গিয়ে কথা হয় উজ্জল রায়ের বাবা-মায়ের সঙ্গে। তার বাবা নরেশ চন্দ্র বলেন, ‘আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে কনক চন্দ্র ইউএনডিপিতে চাকরি করে। মেয়ে প্রতীমা রানীকে দিনাজপুরেই বিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছোট ছেলে ভিভিড সাহা চারবার ফেল করে এসএসসি পাস করেছে। সে মানসিক ভারসাম্যহীন। আমার ছেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজকুমার রায়ের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছে। উজ্জল রায় উপজেলার ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।’ এ সময় তার কোনো ছবি আছে কি

না জানতে চাইলে, প্রথমে তার বাবা ও মা ছবি দিতে পারেননি। পরে, তার বাবা একটি ব্যানার বের করে নিয়ে আসেন। ভাই কনক চন্দ্রের পাঠানো একটি ছবিও পাওয়া যায়। সেখানে উজ্জল রায়কে অসুস্থ হিসেবে দেখা যায়। বাবা নরেশ চন্দ্র রায় (৬৫) বলেন, তার দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে উজ্জল রায় সবার ছোট। সে কীভাবে কেন বা কার পাল্লায় পড়ে এই কাজ করেছে, তা তিনি জানেন না। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে উজ্জল রায়ের নাম ব্যবহার করে কেউ তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। সে একজন মানসিক রোগী। আমি ছেলের হয়ে সবার কাছে করজোর ক্ষমা চাচ্ছি। সে মানসিক রোগী। ভালোমন্দ বুঝে না। ঠিকমতো খেতেও পারে

না। চার থেকে পাঁচ দিন আগ থেকে উজ্জল রায়কে খুঁজে পাচ্ছি না।’ এ ব্যাপারে জানতে একাধিক প্রতিবেশীর কাছে গেলেও কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে এক ব্যক্তি বলেন, উজ্জল রায় নয় তাকে ভিভিড সাহা নামে সবাই চেনে। মা পারুল রানী বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম সংগঠন ইস্কনে একসময় ভিভিড সাহার যাতায়াত ছিল। এখন সে যায় না। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিবন্ধনের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে উজ্জল রায় গা ঢাকা দিয়েছে। বিষয়টি জানতে উজ্জল রায় ওরফে ভিভিড সাহার সঙ্গে তার মোবাইল নম্বরে কল করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস ছালাম বলেন, আমরা

এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
শীতে লবঙ্গ চা খাওয়ার উপকারিতা হিন্দু নেতা কৃষ্ণ নদীকে খুলনা-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা বিটিআরসির সাবেক তিন চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা ১৯ দেশ থেকে অভিবাসন স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র, তালিকায় নেই বাংলাদেশ গাজায় শান্তি বাস্তবায়নে জোর যৌথ প্রতিরক্ষায় গুরুত্বারোপ নরসিংদীতে ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা কোহলি-ঋতুর সেঞ্চুরির ম্যাচ ছিনিয়ে নিল প্রোটিয়ারা প্রবাসীরা ৬০ দিনের বেশি থাকলে মোবাইল ফোন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ, ১১ বছর পর ফের বিমানের খোঁজে অভিযান ঘোষণা ছাড়াই সয়াবিনের দাম লিটারে বাড়ল ৯ টাকা, খোলা তেল ৫ টাকা আগামী সপ্তাহ থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত ফেরত সৌদিতে চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠছে কাল, আলো ছড়াবেন জোলি-ঐশ্বরিয়ারা দিয়াবাড়িতে মিছিল শেষে নিখোঁজ: তুরাগ নদী থেকে ছাত্রলীগ কর্মীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব হাইকোর্টে রিট, আসন্ন সংসদ নির্বাচন স্থগিতের আবেদন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আলবদর ও রাজাকার হিসেবে পরিচিত ছিল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ ছাঁটাই, তড়িঘড়ি করে রাজনৈতিক কর্মী নিয়োগের অভিযোগ ‘বাঙালি চুদনা জাতি, আমি ইসরায়েলের সিকিউরিটিতে ঢুকেছি’—বনি আমিনের ফোনালাপ ফাঁস! রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র: ব্যয় বাড়লো ২৬ হাজার কোটি, সময়সীমা ৩ বছর পিছিয়ে, বর্তমান সরকারের দুর্বলতা উন্মোচিত ‘বাঙালি চুদনা জাতি, আমি ইসরায়েলের সিকিউরিটিতে ঢুকেছি’—বনি আমিনের ফোনালাপ ফাঁস! ২০০৯-এর ষড়যন্ত্রকারীদের মুক্তি: বিডিআর বিদ্রোহের আসামিরা কি তবে বিএনপি-জামায়াতের ‘দাবার ঘুঁটি’ ছিল?