সুব্রত বাইনকে গ্রেপ্তারের পর সেনা সদরের বার্তা – ইউ এস বাংলা নিউজ




সুব্রত বাইনকে গ্রেপ্তারের পর সেনা সদরের বার্তা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৮ মে, ২০২৫ | ৫:৫০ 12 ভিউ
দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা তৎপরতা ও পরিকল্পনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। তাকে গ্রেপ্তারের পর দেশবাসীর প্রতি সন্দেহজনক ও সন্ত্রাসবাদ-সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকালে সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইএসপিআর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা। আইএসপিআর পরিচালক বলেন, ‘দেশের জনগণকে জানাতে চাই, যেকোনো ধরনের সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড কিংবা সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত তথ্য অনুগ্রহ করে নিকটস্থ সেনাক্যাম্প অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করুন।’ সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে পরিচালক বলেন, ‘আমরা আবারও দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই—সেনাবাহিনী প্রধানের সুস্পষ্ট নির্দেশনার আলোকে, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং জনগণের জানমালের সুরক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুত ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ

সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।’ সুব্রত বাইনসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় সেনাবাহিনীর বিবৃতি তিনি বলেন, ‘আজ ভোর ৫টা থেকে শুরু হওয়া কুষ্টিয়া ও ঢাকার হাতিরঝিলে পরিচালিত সাঁড়াশি অভিযানে ৪৬ স্বতন্ত্র ইনফেন্ট্রি ব্রিগেডের একটি ইউনিট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সফলভাবে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং তাদের দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।’ ঢাকার অপরাধজগতে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলি আলোচনায় আসেন সর্বপ্রথম ১৯৯১ সালে। সেসময় জাসদ ছাত্রলীগ নেতা মুরাদ হত্যার মধ্য দিয়ে তার কুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। এক পর্যায়ে ‘সেভেন স্টার’ নামে সন্ত্রাসী গ্রুপের প্রধান হয় সে। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যে পুরস্কার ঘোষণা করে, সেই

তালিকাতে শীর্ষে নাম ওঠে তার। এরপর আর তার নাগাল পাওয়া না গেলেও আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দুবার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় নাম ওঠার পরও অন্তত দুই বছর দেশেই আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। এরপর ২০০৩ সালের দিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর তৎপরতা বেড়ে গেলে ভারতে পালিয়ে যান। কলকাতার স্পেশাল টাস্কফোর্স কারাইয়া এলাকা থেকে ২০০৮ সালের ১৩ অক্টোবর সুব্রতকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করার তথ্যও মেলে। তার বিরুদ্ধে কলকাতায় অস্ত্র ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলাও হয়। ওই মামলায় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার গা ঢাকা দেন তিনি। সুব্রত বাইনের পুরো নাম ত্রিমাতি সুব্রত বাইন। ১৯৬৭ সালে ঢাকার একটি হাসপাতালে

জন্ম নেওয়া সুব্রত বাইন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার জোবারপাড় গ্রামের সন্তান। মা ও তিন বোনকে নিয়ে মগবাজারে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। সুব্রত ছিলেন পরিবারের বড় সন্তান। বরিশালের অক্সফোর্ড মিশন স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন সুব্রত। পরে ঢাকায় শেরেবাংলা স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেখান থেকেই এসএসসি পাস। কলেজে ওঠার পরই অপরাধজগতে পা রাখেন তিনি। সিদ্ধেশ্বরী কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে এক নেতার সঙ্গে পরিচয় হয় তার, আর সেই সূত্র ধরে অস্ত্র হাতে নেওয়া। পরে মগবাজারে গড়ে তোলেন নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। ১৯৯৩ সালেই মগবাজার এলাকায় সবজি বিক্রেতা খুনে তার নাম সামনে আসে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, সম্প্রতি ঢাকার হাতিরঝিল ও গুলশান এলাকার তিনটি

খুনের ঘটনায় সুব্রত বাইনের নাম আসে। খুন ছাড়াও জমি, ফ্ল্যাট দখল ও চাঁদাবাজির একাধিক ঘটনায় সুব্রত বাইন ও তার অনুসারীদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর সোয়া ৫টায় কুষ্টিয়া সদরের সোনার বাংলা রোডে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী ও আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ঢাকার হাতিরঝিল এলাকায় সকাল ৭টায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় শ্যুটার আরাফাত ও গাড়িচালক শরীফ। আরাফাত ও গাড়িচালক শরীফ সুব্রত বাইনের সহযোগী। সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিআর পরিচালক কর্নেল সামি-উদ-দৌলা আরও বলেন, ‘এই চক্রটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হত্যা, চাঁদাবাজি ও নাশকতা চালিয়ে আসছিল। সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ হলো

তালিকাভুক্ত ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী দলের অন্যতম নেতা এবং সেভেন স্টার চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী।’ অভিযান নিয়ে তিনি বলেন, ‘এ অভিযান ছিল দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা তৎপরতা ও পরিকল্পনার ফসল। অপারেশনটি অত্যন্ত সুনিপুণভাবে ক্ষয়ক্ষতি বা সংঘর্ষ ছাড়াই পরিচালিত হয় যা আমাদের বাহিনীর পেশাদারত্ব এবং রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয় ও সহায়তা দিয়েছে সেনা সদরের সামরিক অপারেশন পরিদপ্তর, ৫৫ পদাতিক ডিভিশন, ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড, ৭১ মেকানাইজ ব্রিগেড ও এনএসআই।’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন সারা দেশে বৃষ্টির আভাস, ৬ অঞ্চলের নদীবন্দরে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত এক বছরের জন্য ১৪ সদস্য বিশিষ্ট বার কাউন্সিল এডহক কমিটি গঠন ট্রাম্প প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন ইলন মাস্ক তাহলে এত গ্যাস যাচ্ছে কোথায়? সিলেটে খনিজসম্পদ লুট, নিশ্চুপ প্রশাসন চাপ কম থাকায় উৎপাদন ব্যাহত কমছে না সরকারের ঋণের বোঝা বিপুল মাদক-অস্ত্রসহ ‘ডি কোম্পানি’র ২ সদস্য গ্রেফতার তরুণ প্রজন্ম রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী পদক্ষেপের তাগিদ বিয়ের প্রলোভনে পাচার, দুই চীনা নাগরিকসহ গ্রেফতার ৩ সুখবর পেতে যাচ্ছেন অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা ‘অল্প গাঁজায় কড়াকড়ি নয়’—মত লন্ডন মেয়রের দেশের সব সোনার দোকান বন্ধ ঘোষণা মিরপুরে বাসায় ঢুকে দম্পতিকে কুপিয়ে হত্যা হার দিয়ে পাকিস্তান সিরিজ শুরু বাংলাদেশের মর্গে রাখা লাশের দুই চোখ ‘খেয়ে ফেলেছে ইঁদুর’ সামরিক উপস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদন ‘নাকচ’ করল চীন এবার ঢাবিতে প্রকাশ্যে এলো ইসলামী ছাত্রীসংস্থা ‘এখনই গাজায় আগ্রাসন থামাও’- সরব হাজারো ইসরায়েলি সেনা