সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের – ইউ এস বাংলা নিউজ




সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৬ জুলাই, ২০২৫ | ১০:০৩ 18 ভিউ
লিটন কুমার দাসরা এক মাসের বেশি সময় ধরে শ্রীলঙ্কা আছেন। তিন সংস্করণে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে লেগে গেছে ৩৫ দিন। এই লম্বা সময়ের ঘটনাবহুল সফরে ক্রিকেটারদের নানা প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। টেস্ট সিরিজ শেষে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়া, গল টেস্ট ম্যাচ ড্র করার জন্য খেলা, কলম্বো টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারা ছিল একটি অধ্যায়। আবার প্রথম ওয়ানডেতে ৫ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেটের পতন, সেখান থেকে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতায় ফেরা। প্রথম টি২০ ম্যাচে চারজন ওপেনার খেলিয়ে বিতর্কের জন্ম দেওয়ার রেশ এখনও বিদ্যমান। এর ভেতরে ক্রিকেটারদের সঙ্গী হয়েছে একটি ওয়ানডে ও একটি টি২০ ম্যাচ জয়ের আনন্দ। এই মিশ্র অনুভূতি

নিয়ে আজ কলম্বোতে শেষ টি২০ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। শেষটা জয় দিয়ে করা গেলে সমর্থকদের পেছনের হতাশার ক্ষতে একটু হলেও প্রলেপ দেওয়া সম্ভব হবে। গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সেই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অলআউট ক্রিকেট খেলে সিরিজ জিতে দেশে ফিরতে চান তারা। বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে শেষে হতাশ করেছে। পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামের ব্যাটিং স্বর্গে দলীয় ব্যর্থতার প্রদর্শনী দেখতে হয়েছে সমর্থকদের। দ লিটনরা জিতলেই খুশি হবেন দর্শক। ডাম্বুলায় যেভাবে দলীয় পারফরম্যান্সের প্রদর্শনী হয়েছে কলম্বোর ম্যাচটি সেভাবে খেলতে পারলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেওয়ার সুযোগ থাকবে। মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের মতে, ‘শেষ ম্যাচটি যেভাবে খেলেছি, আমার মনে হয় তাতে ছেলেরা

ভালো ছন্দ পেয়েছে। আত্মবিশ্বাসটা ফিরে এসেছে। আশা করব, এখানে সিরিজটা ভালোভাবে শেষ করার।’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম টি২০ ম্যাচ জিতেছিল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে প্রথম জয় এসেছিল শ্রীলঙ্কায়। ২০১৭ সালে জয়ের সেই ম্যাচটি ছিল আজকের ভেন্যু প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। সেটি আবার মাশরাফি বিন মুর্তজার আন্তর্জাতিক টি২০ থেকে বিদায় নেওয়ার ম্যাচও। ওই জয়ের পর থেকে টি২০ ম্যাচে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যে ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। শেষ ১২ ম্যাচের পাঁচটি জয় লিটনদের। তিন জাতি নিদাহাস ট্রফি টি২০ টুর্নামেন্টে স্বাগতিকদের দর্শক বানিয়ে ভারতের সঙ্গে ফাইনাল খেলার বড় প্রেরণা। আট বছর আগের সেই পারফরম্যান্স আজকের ম্যাচ ভালো খেলতে কোনো প্রেরণা দেবে কিনা জানা নেই। তবে এই

সফরে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের পারফরম্যান্স উজ্জীবিত করলেও করতে পারে মিরাজদের। যদিও কোচ সালাউদ্দিন বলছেন ক্রিকেট নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলে জিততে হয়। এর কাছে অতীত রেকর্ড মূল্যহীন। তিনি চান ডাম্বুলার মতো কলম্বোতেও তিন বিভাগে ভালো ক্রিকেট খেলে দেশের মানুষকে উৎসবের উপলক্ষ এনে দেবেন ক্রিকেটাররা, ‘আপনি যখন ভালো খেলবেন, জিতবেন, তখনই অনুপ্রেরণা বেশি আসবে। শেষ ম্যাচটি যেহেতু ভালোভাবে খেলেছি, ভালো ম্যাচ জিতেছি। আমার মনে হয় সেটা একটা বড় অনুপ্রেরণা। অতীতে কী করেছি, সেটা খুব বেশি ম্যাটার করে না। কোচ হিসেবে আমি চিন্তা করছি না অতীতে কী হয়েছে। কালকে খারাপ খেললে আবার খারাপ হবে। চেষ্টা করব আমরা যেন আগামীকালের ম্যাচটি ভালো খেলতে

পারি।’ প্রেমাদাসার উইকেটের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে খেলালে ভালো করার সম্ভাবনা বেশি। কোচ জানান, বাঁহাতি এ স্পিনারকে খেলাতে হলে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে বাদ দিতে হবে। শেষ ম্যাচের পারফরম্যান্স অনুযায়ী রিশাদকে বাদ দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব না। অলরাউন্ডার কোটায় মেহেদী হাসান মিরাজের খেলাও অনেকটাই নিশ্চিত। তাই গত ম্যাচের একাদশ অপরিবর্তিত রাখা হতে পারে। সহকারী কোচ সালাউদ্দিনের বক্তব্যের সারাংশ অনেকটা সে রকম, ‘কোনো দলই চাইবে না উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে। এ মুহূর্তে নতুনভাবে ভাবার সুযোগও নেই। যে পরিকল্পনায় খেলছি, সেভাবে খেলার চেষ্টা করব। মিডলঅর্ডার ক্লিক করলে আমরা হয়তো ভালো খেলতে পারব।’ পেস বোলিং বিভাগে হাত নাও দিতে পারেন কোচ ফিল সিমন্স। কারণ

লঙ্কান দলের শীর্ষ ছয় ব্যাটারের একজন মাত্র বাঁহাতি। ডানহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে বাঁহাতি বোলারদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রিশাদ, মিরাজের বাইরে শামীম হোসেনের অফ স্পিনকেও কাজে লাগাতে পারবেন অধিনায়ক।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
যেভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন ঐকমত্য না হওয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষই বাদের চিন্তা সকল দায় ঢাকার ওপর চাপাতে চায় জাতিসংঘ ‘কোথায় থাকব, কে আশ্রয় দেবে জানি না’ সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের চাকরি জীবনে একবার গুরুদণ্ড পেলে ওসি হতে পারবেন না পাহাড়ে ফলের নতুন ভান্ডার সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ভারতের মোহাম্মদপুরের গ্যাং প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৪২ সৌদিতে নারী যাত্রীদের জন্য বিশেষ সেবা আনছে উবার নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে গত মাসে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে জয়ী হয়েছেন জোহরান মামদানি। এটি শহরটির অনেক মানুষের জন্য আনন্দের খবর হলেও কপালে উদ্বেগের ভাঁজ পড়েছে আবাসন ব্যাবসায়ীদের। তারা ক্ষতির ঝুঁকি দেখছেন। এরই মধ্যে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন খাতসংশ্লিষ্ট অনেকে। তারা বলছেন, পরিবর্তনশীল এ সময়ে গ্রাহকরা ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না; তারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। নিউইয়র্কে আবাসন ব্যবসার ব্রোকার জে বাত্রা জানান, তাঁর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ম্যানহাটানে লাখ লাখ ডলারের সম্পত্তির দুই পৃথক ক্লায়েন্ট বাত্রাকে জানিয়েছেন, তারা নিউইয়র্কের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করতে চান। বাত্রার উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল সোমবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক ধনী ও বিলাসবহুল ক্রেতা একটু বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন। মামদানি যত বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন, ততই তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে– ‘হায়, শহরটি কোথায় যাচ্ছে!’ ৩৩ বছর বয়সী গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক মামদানি গত জুনের শেষ দিকে নিউইয়র্কের মেয়র প্রাইমারিতে জয়লাভ করেন। এর পর থেকে বেশ কয়েকজন পেশাদার আবাসন ব্যবসায়ী সিএনএনকে জানান, উচ্চস্তরের ক্রেতারা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ বন্ধ করতে শুরু করেছেন। মামদানির প্রস্তাবিত নীতিগুলোর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে অনিশ্চিত। তারা আরও বলেন, মামদানির জয়ের ফলে তাঁর রাজনীতির সঙ্গে একমত না হওয়া নিউইয়র্কের কিছু ধনী বাসিন্দা শহর ত্যাগের পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করেছেন। মামদানি ১০ লাখ ডলারের বেশি আয়কারী নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের ওপর ২ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন। তাঁর কাছে আবাসন প্রস্তাবের একটি তালিকাও আছে, যার মধ্যে রয়েছে– ভাড়া স্থির করার প্রতিশ্রুতি, ব্যাপক পাবলিক হাউজিং নির্মাণ ও সংস্কার এবং কঠোর তদারকি। মার্কিন গণমাধ্যমটি বলছে, মামদানি মেয়র হলেও তাঁর প্রস্তাবগুলো বাস্তবে পরিণত নাও হতে পারে। এর অনেক কারণ রয়েছে। তবুও তাঁর প্রাথমিক জয় বাত্রার কিছু ক্লায়েন্টকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। কেউই আসলে তাদের কর বাড়ুক, এমনটা চান না। নিউইয়র্ক সিটি বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল আবাসন বাজারের আবাসস্থল। এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে ঝলমলে বিলাসবহুল টাওয়ারের লোকেরা শ্রমিক শ্রেণির বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাস করেন। এ শ্রমজীবী শ্রেণির মানুষ ক্রমবর্ধমান ভাড়া ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে লড়াই করছেন। শহরের আবাসন খাতের অবস্থা চরম। নিউইয়র্ক শহরের আপার ইস্ট সাইড এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ যাচাই করে সিএনএন জানাতে পেরেছে, ওই এলাকার বাসিন্দারা বেনামে মামদানির প্রাথমিক জয়ের পর শহর ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু এখনও এসব গল্প কাল্পনিক। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক ফল পছন্দ না হলে স্থানান্তরিত হওয়ার হুমকি দেওয়ার একটি দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য রয়েছে। মামদানির আবাসন ও অর্থনৈতিক প্রস্তাবগুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন নিউইয়র্কের ভাড়া ক্রমাগত বাড়ছে। রিয়েলেটর ডটকমের মতে, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে শহরে গড় চাওয়া ভাড়া ছিল ৩ হাজার ৩৯৭ ডলার, যা এক বছরের আগের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এটা ২০২০ সালের শুরু থেকে ১৮ শতাংশ বেশি। বাত্রা জানান, কিছু ক্লায়েন্ট যারা ভাড়া আয়ের জন্য ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ভবন কেনার পরিকল্পনা করছিলেন, তারা এখন প্রস্তাবিত ভাড়া স্থগিত করার কারণে পুনর্বিবেচনা করছেন। নিউইয়র্কের এ পরিস্থিতির সুবিধা পেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রেরই ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য। সেখানে আবাসন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকে জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক ছেড়ে আবারও ফ্লোরিডায় আসতে পারেন অনেকে। এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। মামদানির জয়ে নিউইয়র্কের আবাসন খাতে আতঙ্ক ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে বিভক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন একই অভিযোগে এনবিআরের আরও ৬ কর্মকর্তা বরখাস্ত শান্তির হ্যাটট্রিকে দুই ভেন্যুর ম্যাচে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয় জবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর কেন ইমাম হুসাইনের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন হিন্দুরা? সরাসরি কাবার ওপর সূর্য, বিরল মহাজাগতিক ঘটনা গাড়ি থামিয়ে ঘুষের অভিযোগ, ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার