
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

‘আমাদের বিয়ে আগামী বছর একটি উপযুক্ত সময়ে ইনশাআল্লাহ’

জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে অ্যাকশনে পুলিশ

জামায়াতকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দিতে ট্রাম্প-রুবিওকে পরামর্শ মাইকেল রুবিনের

এবার গ্রেপ্তার হলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক হাবিব

রোববার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ফের সংলাপে বসছে ঐকমত্য কমিশন

ফেইসবুকে ‘বিকৃত ছবি’ পোস্ট, চাঁদপুরে জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষে আহত ১০

পথসভায় লোক ভাড়া করে এনে টাকা না দেয়ার অভিযোগে হট্টগোল
সালাহউদ্দিনের গুম হওয়া নিয়ে যা জানালেন প্রেস সচিব

বিএনপির অন্যতম শীর্ষ নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের গুম হওয়া ও ভারতে যাওয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটা স্বার্থান্বেষী মহল। প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনামলে সালাউদ্দিনের লড়াই সংগ্রামের ইতিহাসকে। যা নিয়ে এবার কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে শেখ হাসিনার নিষ্ঠুর শাসনামলে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের লড়াই সংগ্রামের তথ্য তুলে ধরেন প্রেস সচিব।
সালাউদ্দিন আহমেদের গুম হওয়া ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ে তার লড়াই নিয়ে প্রেস সচিবের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—
যেদিন নিরাপত্তা বাহিনী সালাহউদ্দিন আহমেদকে অপহরণ করে, গুম করে সীমান্ত পেরিয়ে পাঠিয়ে দেয় আরও দূরে, তার কয়েক সপ্তাহ আগেই তিনি
বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে গোপন একটি জায়গা থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সেই সময় আওয়ামী লীগ সরকার দলটির ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালাচ্ছিল। খালেদা জিয়াকে গুলশানের কার্যালয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। দলের শীর্ষ নেতারা কেউ আত্মগোপনে চলে যান, কেউবা পুলিশের বিশেষ শাখা বা র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন। আমি ও আমার দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান ক্রিস ওটন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে গোপনে প্রবেশ করে এএফপির জন্য তার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। সিভিল পোশাকের নিরাপত্তা রক্ষীরা আমাদের ব্রিটিশ হাইকমিশনের সদস্য ভেবে ভেতরে ঢুকতে দেয়। সেই সময় প্রতিদিন আমরা সালাহউদ্দিন আহমেদের বিবৃতি পেতাম। ক্রিস ও আমি তার বিবৃতিগুলো আমাদের প্রতিবেদনে জোরালোভাবে ব্যবহার করতাম, কারণ সেই বিবৃতির লেখাগুলো
ছিল প্রচন্ড শক্তিশালী, নিখুঁত ও ক্ষুরধার ছিল। আমি সব সময়ই মনে করতাম রুহুল কবির রিজভী দেশের অন্যতম আবেগী রাজনৈতিক কর্মী। কিন্তু তার লেখা বিবৃতিগুলো ছিল জটিল ও দুর্বোধ্য। সেখান থেকে শক্তিশালী কোনো উদ্ধৃতি বের করা কঠিন হতো। কিন্তু যখন রিজভী গ্রেফতার হলেন এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ গোপন অবস্থান থেকে মুখপাত্রের দায়িত্ব নিলেন, তিনি বিএনপির ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ও অসাধারণ বিবৃতি পাঠাতে শুরু করলেন। সেগুলো ছিল বোমার মতো, যা সরাসরি শেখ হাসিনার শাসনকে চ্যালেঞ্জ করছিল। সেই বিবৃতিগুলোর ভাষা ছিল কঠোর এবং সবসময় লক্ষ্যভেদী। আমরা নিরাপদ সূত্র থেকে জানতে পারি, শেখ হাসিনা এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন যে, তিনি সালাহউদ্দিন আহমেদকে ধরতে অভিযান চালানোর নির্দেশ
দেন। সালাহউদ্দিন আহমেদের পরিণতি কী হতে পারে তা অনুমেয় ছিল। ঠিকই একদিন ২০১৫ সালের শুরুর দিকে সালাহউদ্দিন আহমেদ অপহরণ ও তারপর গুমের শিকার হন। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ তার মুক্তির দাবিতে একটি সাহসী আন্দোলন শুরু করেন। তার লড়াই ছিল চোখে পড়ার মতো ও দেশের অন্যতম সাহসী প্রচেষ্টা। মায়ের ডাক-এর হাজেরা খাতুন ও তার মেয়েদের সঙ্গে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে। সম্ভবত হাসিনা আহমেদের তৈরি করা সেই আন্দোলন ও প্রতিবাদ আংশিকভাবে হলেও নিরাপত্তা বাহিনীকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে সীমান্ত পেরিয়ে শিলং পাঠাতে বাধ্য করেছিল। আজ বিএনপির অনেক তরুণ, যারা কিনা দিন দিন আরও অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে, তাদের মতো কিছু কর্মীও এই সাহসী অধ্যায়গুলো ভুলে গেছে। আর গতকাল
আমরা তার বিরুদ্ধে কিছু ঘৃণ্য অপপ্রচার দেখলাম। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, এই সংগ্রামগুলোই শেখ হাসিনার সবচেয়ে নিষ্ঠুর শাসনামলে তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, অধিকাংশ মানুষ আমাদের রাজনৈতিক সংগ্রামের সেই গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় ভুলে গেছে। ভালো সময় যেন সব খারাপ স্মৃতিই মুছে দিয়েছে।
বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে গোপন একটি জায়গা থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সেই সময় আওয়ামী লীগ সরকার দলটির ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালাচ্ছিল। খালেদা জিয়াকে গুলশানের কার্যালয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। দলের শীর্ষ নেতারা কেউ আত্মগোপনে চলে যান, কেউবা পুলিশের বিশেষ শাখা বা র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন। আমি ও আমার দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান ক্রিস ওটন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে গোপনে প্রবেশ করে এএফপির জন্য তার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। সিভিল পোশাকের নিরাপত্তা রক্ষীরা আমাদের ব্রিটিশ হাইকমিশনের সদস্য ভেবে ভেতরে ঢুকতে দেয়। সেই সময় প্রতিদিন আমরা সালাহউদ্দিন আহমেদের বিবৃতি পেতাম। ক্রিস ও আমি তার বিবৃতিগুলো আমাদের প্রতিবেদনে জোরালোভাবে ব্যবহার করতাম, কারণ সেই বিবৃতির লেখাগুলো
ছিল প্রচন্ড শক্তিশালী, নিখুঁত ও ক্ষুরধার ছিল। আমি সব সময়ই মনে করতাম রুহুল কবির রিজভী দেশের অন্যতম আবেগী রাজনৈতিক কর্মী। কিন্তু তার লেখা বিবৃতিগুলো ছিল জটিল ও দুর্বোধ্য। সেখান থেকে শক্তিশালী কোনো উদ্ধৃতি বের করা কঠিন হতো। কিন্তু যখন রিজভী গ্রেফতার হলেন এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ গোপন অবস্থান থেকে মুখপাত্রের দায়িত্ব নিলেন, তিনি বিএনপির ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ও অসাধারণ বিবৃতি পাঠাতে শুরু করলেন। সেগুলো ছিল বোমার মতো, যা সরাসরি শেখ হাসিনার শাসনকে চ্যালেঞ্জ করছিল। সেই বিবৃতিগুলোর ভাষা ছিল কঠোর এবং সবসময় লক্ষ্যভেদী। আমরা নিরাপদ সূত্র থেকে জানতে পারি, শেখ হাসিনা এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন যে, তিনি সালাহউদ্দিন আহমেদকে ধরতে অভিযান চালানোর নির্দেশ
দেন। সালাহউদ্দিন আহমেদের পরিণতি কী হতে পারে তা অনুমেয় ছিল। ঠিকই একদিন ২০১৫ সালের শুরুর দিকে সালাহউদ্দিন আহমেদ অপহরণ ও তারপর গুমের শিকার হন। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ তার মুক্তির দাবিতে একটি সাহসী আন্দোলন শুরু করেন। তার লড়াই ছিল চোখে পড়ার মতো ও দেশের অন্যতম সাহসী প্রচেষ্টা। মায়ের ডাক-এর হাজেরা খাতুন ও তার মেয়েদের সঙ্গে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে। সম্ভবত হাসিনা আহমেদের তৈরি করা সেই আন্দোলন ও প্রতিবাদ আংশিকভাবে হলেও নিরাপত্তা বাহিনীকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে সীমান্ত পেরিয়ে শিলং পাঠাতে বাধ্য করেছিল। আজ বিএনপির অনেক তরুণ, যারা কিনা দিন দিন আরও অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে, তাদের মতো কিছু কর্মীও এই সাহসী অধ্যায়গুলো ভুলে গেছে। আর গতকাল
আমরা তার বিরুদ্ধে কিছু ঘৃণ্য অপপ্রচার দেখলাম। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, এই সংগ্রামগুলোই শেখ হাসিনার সবচেয়ে নিষ্ঠুর শাসনামলে তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, অধিকাংশ মানুষ আমাদের রাজনৈতিক সংগ্রামের সেই গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় ভুলে গেছে। ভালো সময় যেন সব খারাপ স্মৃতিই মুছে দিয়েছে।