
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

২০০ টাকার নতুন নোটের ডিজাইন নিয়ে যে প্রশ্ন ফাহামের

কাঁচা চামড়া রপ্তানি নিষিদ্ধ, ব্যাংক এলসি নিতে পারবে না

নদীবন্দরগুলোতে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত: ফের ঝড়ের শঙ্কা

ঝড়ো হাওয়া ও জলোচ্ছ্বাসে দূর্ভোগে উপকূলের লাখো মানুষ

এনবিআর চেয়ারম্যানকে রাজস্ব ভবনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

ঈদুল আজহায় পুলিশের একগুচ্ছ পরামর্শ

৬ জেলায় বন্যার পূর্বাভাস
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি পালন করা হবে। ৩১ মে তারা আবার নতুন করে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর ও নূরুল ইসলাম যৌথভাবে এ তথ্য জানান। এ সময় ফোরামের মহাসচিব নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তারা ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে বৈঠকৈ মিলিত হন।
কর্মচারিদের উদ্দেশ্যে বাদিউল কবীর বলেন, সরকারি কর্মচারীরা যাতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কারণ না হয় আমরা সেই বিষয়টিও বিবেচনায় এনেছি। আমরা মিছিল, সভা ও
সমাবেশের পরিবর্তে ১ ঘণ্টার কর্মবিতরি কর্মসূচি দিয়েছি। প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলেই কাঙ্ক্ষিত বিষয়ের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে। তিনি বলেন, আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে বর্তমানে রাষ্ট্র একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আপনারা জানেন সামনেই কুরবানির ঈদ এবং ২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময়। বাদিউল কবীর বলেন, আমরা সব বিষয় চিন্তা-ভাবনায় রেখে আগামী দিনগুলোতে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জরুরি সেবার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি চলতে থাকবে। মাঠ পর্যায়ে সব দপ্তর, পরিদপ্তর, অধিদপ্তর এবং ডিসি অফিস, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এবং
পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। এর আগে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এসএম সালেহ আহমেদের নেতত্বে গঠিত কমিটি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ভূমি সচিব সাংবাদিকদের জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে কর্মচারিদের দাবি ও আন্দোলনের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। তিনি শুনছেন এবং বলেছেন, তিনি বিষয়গুলো প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করবেন। বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা জাপান সফর করছেন। তিনি বলেন, আগামী ৩১ মে তিনি দেশে ফিরবেন। এরপর মন্ত্রিপরিষদ সচিব কর্মচারীদের দাবি প্রধান উপদেষ্টাকে জানাবেন। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেই আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে ভূমি সচিব বলেন, সরকারের প্রয়োজনে আইন সরকার প্রণয়ন করে। আইন
প্রণয়ন বা বাতিলের সঙ্গে কর্মচারিদের সম্পৃক্ততা তেমন নেই। এখানে কর্মচারির ইচ্ছা অনিচ্ছার কোনো গুরুত্ব থাকে না। সুতরাং আইনের বিষয়ে কর্মচারিরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সরকার প্রধান হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরে আসা পর্যন্ত কর্মচারীদের আন্দোলন না করার আবেদন জানান। বাদিউল ববীর বলেন, আমাদের ন্যায্য দাবি অবৈধ কালাকানুন তথা কালো আইন সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের বা বাতিলের ক্ষেত্রে মোটামুটি একটি সবুজ সংকেত পেয়েছি। আগামী দিনে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যে ফলাফল আসবে, আশা করি এতে আমরা সন্তুষ্ট হবো। ইতোমধ্যে অধ্যাদেশ বাতিলের বিষয়ে সরকারের উচ্চ মহলে বিচার-বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকেই বিষয়টির কুফল সম্পর্কে
অবহিত হয়েছেন। এই কালো বা নিবর্তনমূলক আইন রাষ্ট্রের সাধারণ জনগণ ও কর্মচারিদের জন্য ফলপ্রসূ নতুন কোনো কিছু বয়ে আনবে না। রাষ্ট্রের স্বার্থ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনায় রেখে কর্মচারীদের মান-মর্যাদা ও কর্মস্থলের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ অনুকূল কর্মপরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে আমরা উপদেষ্টামণ্ডলীর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। সচিব পর্যায়েও আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। সভাপতি বাদিউল কবির বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) সাতজন সচিবের সঙ্গে আমাদের যে বৈঠক হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় ওই সচিবরা আজ (বুধবার) মন্ত্রিপরিষদ সচিব সঙ্গে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করেছেন। বৈঠক শেষে পরিষ্কারভাবে কোনো সিদ্ধান্ত না জানালেও বিষয়টি আমাদের বুঝতে বাকি নেই। আশা করছি, তাদের এ আলোচনায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মহোদয় ইতিবাচক কোনো কিছু আমাদের
জন্য এনে দিতে পারবেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা না আসা পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্যের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বাদিউল কবীর। অধ্যাদেশ বাতিলের বিষয়ে সবুজ সংকেত কিভাবে পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সার্ভিসে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অভিজ্ঞতা আছে। সেই অভিজ্ঞতার সূত্রটি আমরা অ্যাপ্লাই করেছি, কোন কাজের কোন আলোচনার কী ফলাফল আসতে পারে। কঠোর কর্মসূচিতে যাচ্ছে ২৫ ক্যাডার বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে শিগগিরই কঠোর কর্মসূচির পরিকল্পনা করছেন ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা। বুধবার দ্বিতীয় দিনের কলমবিরতি পালন শেষে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রশাসন ক্যাডার কর্তৃক বৈষম্যমূলকভাবে বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলার প্রতিবাদে
সারা দেশের বিভিন্ন দপ্তরে অত্যন্ত সফলভাবে গতকালের মতো বুধবারও কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করা হয়। দেশের বিভিন্ন দপ্তরে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা দুই দিনব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও সফলভাবে এ কর্মসূচি পালন করায় পরিষদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরে মারামারি, মিছিল ও জনপ্রশাসনে শোডাউন করেন। সংস্কার কমিশনকে আলটিমেটাম দেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি শুরু হয়। প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা বাকি ২৫টি ক্যাডারের সদস্যদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এছাড়া জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন তার প্রতিবেদনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিসংখ্যান, ডাক, পরিবার-পরিকল্পনা, কাস্টমস ও ট্যাক্স ক্যাডারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করেছে। উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০% পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করেছে, যা জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে পরিষদ মনে করে। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সঙ্গে কোনোরকম আলোচনা ছাড়া এমন সব সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
সমাবেশের পরিবর্তে ১ ঘণ্টার কর্মবিতরি কর্মসূচি দিয়েছি। প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলেই কাঙ্ক্ষিত বিষয়ের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে। তিনি বলেন, আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে বর্তমানে রাষ্ট্র একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আপনারা জানেন সামনেই কুরবানির ঈদ এবং ২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময়। বাদিউল কবীর বলেন, আমরা সব বিষয় চিন্তা-ভাবনায় রেখে আগামী দিনগুলোতে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জরুরি সেবার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি চলতে থাকবে। মাঠ পর্যায়ে সব দপ্তর, পরিদপ্তর, অধিদপ্তর এবং ডিসি অফিস, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এবং
পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। এর আগে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এসএম সালেহ আহমেদের নেতত্বে গঠিত কমিটি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ভূমি সচিব সাংবাদিকদের জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে কর্মচারিদের দাবি ও আন্দোলনের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। তিনি শুনছেন এবং বলেছেন, তিনি বিষয়গুলো প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করবেন। বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা জাপান সফর করছেন। তিনি বলেন, আগামী ৩১ মে তিনি দেশে ফিরবেন। এরপর মন্ত্রিপরিষদ সচিব কর্মচারীদের দাবি প্রধান উপদেষ্টাকে জানাবেন। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেই আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে ভূমি সচিব বলেন, সরকারের প্রয়োজনে আইন সরকার প্রণয়ন করে। আইন
প্রণয়ন বা বাতিলের সঙ্গে কর্মচারিদের সম্পৃক্ততা তেমন নেই। এখানে কর্মচারির ইচ্ছা অনিচ্ছার কোনো গুরুত্ব থাকে না। সুতরাং আইনের বিষয়ে কর্মচারিরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সরকার প্রধান হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরে আসা পর্যন্ত কর্মচারীদের আন্দোলন না করার আবেদন জানান। বাদিউল ববীর বলেন, আমাদের ন্যায্য দাবি অবৈধ কালাকানুন তথা কালো আইন সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের বা বাতিলের ক্ষেত্রে মোটামুটি একটি সবুজ সংকেত পেয়েছি। আগামী দিনে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যে ফলাফল আসবে, আশা করি এতে আমরা সন্তুষ্ট হবো। ইতোমধ্যে অধ্যাদেশ বাতিলের বিষয়ে সরকারের উচ্চ মহলে বিচার-বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকেই বিষয়টির কুফল সম্পর্কে
অবহিত হয়েছেন। এই কালো বা নিবর্তনমূলক আইন রাষ্ট্রের সাধারণ জনগণ ও কর্মচারিদের জন্য ফলপ্রসূ নতুন কোনো কিছু বয়ে আনবে না। রাষ্ট্রের স্বার্থ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনায় রেখে কর্মচারীদের মান-মর্যাদা ও কর্মস্থলের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ অনুকূল কর্মপরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে আমরা উপদেষ্টামণ্ডলীর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। সচিব পর্যায়েও আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। সভাপতি বাদিউল কবির বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) সাতজন সচিবের সঙ্গে আমাদের যে বৈঠক হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় ওই সচিবরা আজ (বুধবার) মন্ত্রিপরিষদ সচিব সঙ্গে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করেছেন। বৈঠক শেষে পরিষ্কারভাবে কোনো সিদ্ধান্ত না জানালেও বিষয়টি আমাদের বুঝতে বাকি নেই। আশা করছি, তাদের এ আলোচনায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মহোদয় ইতিবাচক কোনো কিছু আমাদের
জন্য এনে দিতে পারবেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা না আসা পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্যের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বাদিউল কবীর। অধ্যাদেশ বাতিলের বিষয়ে সবুজ সংকেত কিভাবে পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সার্ভিসে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অভিজ্ঞতা আছে। সেই অভিজ্ঞতার সূত্রটি আমরা অ্যাপ্লাই করেছি, কোন কাজের কোন আলোচনার কী ফলাফল আসতে পারে। কঠোর কর্মসূচিতে যাচ্ছে ২৫ ক্যাডার বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে শিগগিরই কঠোর কর্মসূচির পরিকল্পনা করছেন ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা। বুধবার দ্বিতীয় দিনের কলমবিরতি পালন শেষে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রশাসন ক্যাডার কর্তৃক বৈষম্যমূলকভাবে বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলার প্রতিবাদে
সারা দেশের বিভিন্ন দপ্তরে অত্যন্ত সফলভাবে গতকালের মতো বুধবারও কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করা হয়। দেশের বিভিন্ন দপ্তরে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা দুই দিনব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও সফলভাবে এ কর্মসূচি পালন করায় পরিষদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরে মারামারি, মিছিল ও জনপ্রশাসনে শোডাউন করেন। সংস্কার কমিশনকে আলটিমেটাম দেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি শুরু হয়। প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা বাকি ২৫টি ক্যাডারের সদস্যদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এছাড়া জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন তার প্রতিবেদনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিসংখ্যান, ডাক, পরিবার-পরিকল্পনা, কাস্টমস ও ট্যাক্স ক্যাডারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করেছে। উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০% পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করেছে, যা জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে পরিষদ মনে করে। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সঙ্গে কোনোরকম আলোচনা ছাড়া এমন সব সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।