ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
রাজপথে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি
আমাদের পাকঘরে উঁকি মারবেন না: ভারতকে ডা. শফিকুর রহমান
‘আওয়ামী লীগ দালাল না, ভারতেরই সরকার ছিল’
সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসছে বিএনপি
খুলনায় ‘অনুকূল’ পরিবেশে দল গোছাচ্ছে জামায়াত
বিএনপির একঝাঁক তরুণের হাতে পূর্বসূরির ঝাণ্ডা
সিলেটে আদালতে তোলার সময় আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর
সময় বলে দেবে বিএনপি-জামায়াত একসঙ্গে নির্বাচন করবে কিনা : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন বিএনপি-জামায়াত জোট নেই। নির্বাচনের আগে জনমত দেখে একসঙ্গে না ভিন্নভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। নির্বাচন যে দলকে নিয়ে করলে ভালো করা যাবে সেই দলকে নিয়ে নির্বাচনে যেতে হবে।
সম্প্রতি গুলশান কার্যালয়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। গত দুই যুগে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী জোট, আন্দোলনে দুই দলের অবস্থান, বর্তমান অবস্থার পাশাপাশি পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
আলোচনার শুরুতে দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মির্জা ফখরুল।
প্রশ্ন : জামায়াতে ইসলামী বিএনপির প্রধান রাজনৈতিক মিত্র। কিন্তু আপনি কিছু সময়ের জন্য জামায়াত থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন বলে
মনে হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্কের অবস্থান কী? মির্জা ফখরুল : জামায়াতের সঙ্গে আমাদের জোট অনেক আগেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল। কিন্তু আমরা পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে একযোগে সরকারবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। আগের শাসনের পতন পর্যন্ত এভাবেই আমাদের প্রচারণা চালিয়েছি। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আছে এবং শিগগিরই নির্বাচন হবে এই বিবেচনায় আমরা অন্যান্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তাই সামগ্রিক রাজনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন। তবে এই মুহূর্তে আমরা জোটে নেই। প্রশ্ন : আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে করার কোনো সম্ভাবনা আছে? মির্জা ফখরুল : এটি এখনই বলা যাবে না। নির্বাচনের পূর্বে জনমত দেখব। এককভাবে করলে ভালো হলে, তাই করব। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করা ভালো হলে সেটিও করতে পারি। নির্বাচনের সময় যাকে নিয়ে নির্বাচন
করলে আমরা ভালো করতে পারব, তাকে নিয়ে আমরা নির্বাচন করব। প্রশ্ন : আওয়ামী লীগের দোসর গণহত্যা উসকানি দেওয়াদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে জামায়াত এমন সমালোচনা আছে, বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? মির্জা ফখরুল : জামায়াত যদি এমন করে তাহলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রশ্ন : বিএনপি যে জাতীয় সরকারের কথা বলছে, সেই সরকারে কি জামায়াত থাকবে? মির্জা ফখরুল : আন্দোলনকারী দলগুলো এ নিয়ে চিন্তা করে দেখবে। আলোচনা করে দেখা হবে। এখনই চূড়ান্ত মন্তব্য করার সময় আসেনি। প্রশ্ন : গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের নির্বাচন করতে দেওয়া নাও হতে পারে, এমন আলোচনা আছে। আপনি কি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে? মির্জা ফখরুল : আমি শুধু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে না। কোনো রাজনৈতিক দল
নিষিদ্ধের পক্ষেই না। আমার ব্যক্তিগত মতামত গণতন্ত্রকে গণতন্ত্রের মতো চলতে দিতে হয়। গণতান্ত্রিক চর্চা রাখতে হবে। একটি ফ্যাসিবাদী দল নিষিদ্ধ করলাম। তারপর সে ভিন্ন চেহারা নিয়ে ফিরে আসতে পারে। এটা এখন পশ্চিমা বিশ্বে দেখা যাচ্ছে। তাই রাজনৈতিক চর্চা যদি থাকে, জনগণের সেটা উত্তর দিয়ে দেবে। প্রশ্ন :গণহত্যার কারণে এখন পর্যন্ত ২০০ হত্যা মামলাও হয়নি। অথচ বিএনপির ৪২২ জন শহীদ হয়েছেন। দল দেশের জন্য জীবন দেওয়া শহীদদের বিচারের বিষয়ে আপনাদের উদাসীনতার কারণ কী? মির্জা ফখরুল : মামলা নিতে হবে তো। থানাই তো ছিল না। পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হওয়ার বিষয় আছে। শহীদের বিষয়ে বিএনপি সবচেয়ে শ্রদ্ধাশীল। উদাসীনতার কোনো সুযোগ নেই। প্রশ্ন : অনেকে বলছেন, ছাত্র-জনতার
আন্দোলনের পুরো অবদান ছাত্রদের। অথচ বিএনপির ৪২২ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। তাহলে কী দাঁড়াল? মির্জা ফখরুল : আমি মনে করি, সবার অবদান আছে। সাধারণ জনগণ পরিবর্তন চেয়েছে। তারা সরকারের ওপরে বিরক্ত ছিল। আমরা এই আন্দোলনের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলাম, বিশাল আকারে ছিলাম। তার মানে এই নয়, বিএনপি সব করে ফেলেছে, সে কথা তো বলছি না। আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের হয়েছে বলে আমার জানা নেই। যারা এখন ক্রেডিট নেওয়ার জন্য বলে বেড়াচ্ছেন এটা একটা সংকীর্ণ রাজনীতি। কারণ এই আন্দোলনে এমন পরিবারের সদস্যরা রাস্তায় নেমেছেন যারা কখনো কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে যাননি। এটি ছিল জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। প্রশ্ন : নির্বাচনের
জন্য বিএনপি কতটা প্রস্তুত? মির্জা ফখরুল : বিএনপি নির্বাচনের জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকা দল। কারণ, এই দল তো ক্ষমতায় যাওয়ার দল, ক্ষমতায় যাবে। প্রতি আসনে দলের চার থেকে দশজন পর্যন্ত প্রার্থী থাকে। প্রশ্ন : আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না, রাজনৈতিক মহলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আপনার মতামত কী? মির্জা ফখরুল : নির্বাচন করতে না দেওয়ার বিষয়ে আমি একমত নই। জনগণ বিচার করবে আওয়ামী লীগ থাকবে কি-থাকবে না। এই যে রাজনীতিতে একটি প্রবণতা তৈরি হয়েছে, এ নির্বাচন করতে পারবে না, ওই নির্বাচন করতে পারবে না। ওকে নিষিদ্ধ করতে হবে। যেমন জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করল। এটা কখনো ঠিক হয়নি। তার প্রমাণ হলো, জামায়াত তো
আবার সামনে চলে এলো। তাহলে লাভটা কী? চিন্তা চাপিয়ে দেওয়া কখনো ঠিক হবে না। তবে আমি আওয়ামী লীগকে যতটুকু বুঝি, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। ১৯৭৫ সালের পরও তারা নির্বাচন বর্জন করেনি। আমি মনে করি, ওই একটা দিক থেকে আওয়ামী লীগের কৌশল সঠিক। এ ধরনের দলগুলোর নির্বাচন বর্জন সবসময় সঠিক হয় না। দল যখন খারাপ অবস্থায় থাকে তখন তাকে টেনে তোলার জন্য নির্বাচন একটি রাস্তা। প্রশ্ন : আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? মির্জা ফখরুল : আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা রাজনীতিতে আবার ফিরে আসতে পারে, নির্বাচনেও আসতে পারে। কিন্তু জনগণের মধ্যে ফেরার সম্ভাবনা অদূর ভবিষ্যতে কম দেখছি। প্রশ্ন : ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায়। এ বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন? মির্জা ফখরুল : বাংলাদেশে এর আগে এ ধরনের চেষ্টা বহুবার করা হয়েছে। রাজনৈতিক দল সাধারণত আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে উঠে আসে। এটা তার মূল ভিত্তি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দল গঠন করতে হলে আলাদা বিপ্লবের বিষয় থাকে। কিন্তু এখানে দল গঠনের মূল ভিত্তি হওয়া উচিত জনগণের সমর্থন। প্রশ্ন : বর্তমান সরকারের কী স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করা উচিত বলে মনে করেন? মির্জা ফখরুল : এই সরকারের উচিত হবে শুধু জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা। প্রশ্ন : সংবিধান পরিবর্তনের কথা উঠেছে। এ বিষয়ে আপনি কী মনে করেন? মির্জা ফখরুল : সংবিধান তো অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। এই সংবিধান তো একেবারে শেষ করে ফেলেছে আওয়ামী লীগ। সংবিধানের যে অবস্থা তাতে নতুন করে লেখা উচিত। কিন্তু এই সংশোধনী করবে নির্বাচিত সরকার। প্রশ্ন : সরকারের সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে আপনার মতামত কী? মির্জা ফখরুল : এখন সরকার যে সংস্কার ঘোষণা করেছে সেগুলো প্রয়োজন, নিশ্চিতভাবে দরকার। আমরাও ২ বছর আগে ৩১ দফা দিয়ে ওইসব সংস্কারের কথা বলেছি। সংস্কার কমিটিতে যাদের দিয়েছেন তারা যোগ্য মানুষ। একই সঙ্গে জনগণ কী চায় সেটা তাদের দেখতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলতে হবে। জানতে হবে কী প্রস্তাব তাদের আছে-না আছে। এ বিষয়ে একটি ঐকমত্য তৈরি করতে হবে। সেই ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা সংস্কাগুলো চাই। কারণ, সংস্কারগুলো তো পরে সংবিধানে আনতে হবে। সেই পরিবর্তিত বিষয় সংবিধানে আনতে হলে একটা নির্বাচন দরকার হবে, সংসদ দরকার হবে।
মনে হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্কের অবস্থান কী? মির্জা ফখরুল : জামায়াতের সঙ্গে আমাদের জোট অনেক আগেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল। কিন্তু আমরা পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে একযোগে সরকারবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। আগের শাসনের পতন পর্যন্ত এভাবেই আমাদের প্রচারণা চালিয়েছি। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আছে এবং শিগগিরই নির্বাচন হবে এই বিবেচনায় আমরা অন্যান্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তাই সামগ্রিক রাজনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন। তবে এই মুহূর্তে আমরা জোটে নেই। প্রশ্ন : আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে করার কোনো সম্ভাবনা আছে? মির্জা ফখরুল : এটি এখনই বলা যাবে না। নির্বাচনের পূর্বে জনমত দেখব। এককভাবে করলে ভালো হলে, তাই করব। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করা ভালো হলে সেটিও করতে পারি। নির্বাচনের সময় যাকে নিয়ে নির্বাচন
করলে আমরা ভালো করতে পারব, তাকে নিয়ে আমরা নির্বাচন করব। প্রশ্ন : আওয়ামী লীগের দোসর গণহত্যা উসকানি দেওয়াদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে জামায়াত এমন সমালোচনা আছে, বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? মির্জা ফখরুল : জামায়াত যদি এমন করে তাহলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রশ্ন : বিএনপি যে জাতীয় সরকারের কথা বলছে, সেই সরকারে কি জামায়াত থাকবে? মির্জা ফখরুল : আন্দোলনকারী দলগুলো এ নিয়ে চিন্তা করে দেখবে। আলোচনা করে দেখা হবে। এখনই চূড়ান্ত মন্তব্য করার সময় আসেনি। প্রশ্ন : গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের নির্বাচন করতে দেওয়া নাও হতে পারে, এমন আলোচনা আছে। আপনি কি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে? মির্জা ফখরুল : আমি শুধু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে না। কোনো রাজনৈতিক দল
নিষিদ্ধের পক্ষেই না। আমার ব্যক্তিগত মতামত গণতন্ত্রকে গণতন্ত্রের মতো চলতে দিতে হয়। গণতান্ত্রিক চর্চা রাখতে হবে। একটি ফ্যাসিবাদী দল নিষিদ্ধ করলাম। তারপর সে ভিন্ন চেহারা নিয়ে ফিরে আসতে পারে। এটা এখন পশ্চিমা বিশ্বে দেখা যাচ্ছে। তাই রাজনৈতিক চর্চা যদি থাকে, জনগণের সেটা উত্তর দিয়ে দেবে। প্রশ্ন :গণহত্যার কারণে এখন পর্যন্ত ২০০ হত্যা মামলাও হয়নি। অথচ বিএনপির ৪২২ জন শহীদ হয়েছেন। দল দেশের জন্য জীবন দেওয়া শহীদদের বিচারের বিষয়ে আপনাদের উদাসীনতার কারণ কী? মির্জা ফখরুল : মামলা নিতে হবে তো। থানাই তো ছিল না। পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হওয়ার বিষয় আছে। শহীদের বিষয়ে বিএনপি সবচেয়ে শ্রদ্ধাশীল। উদাসীনতার কোনো সুযোগ নেই। প্রশ্ন : অনেকে বলছেন, ছাত্র-জনতার
আন্দোলনের পুরো অবদান ছাত্রদের। অথচ বিএনপির ৪২২ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। তাহলে কী দাঁড়াল? মির্জা ফখরুল : আমি মনে করি, সবার অবদান আছে। সাধারণ জনগণ পরিবর্তন চেয়েছে। তারা সরকারের ওপরে বিরক্ত ছিল। আমরা এই আন্দোলনের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলাম, বিশাল আকারে ছিলাম। তার মানে এই নয়, বিএনপি সব করে ফেলেছে, সে কথা তো বলছি না। আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের হয়েছে বলে আমার জানা নেই। যারা এখন ক্রেডিট নেওয়ার জন্য বলে বেড়াচ্ছেন এটা একটা সংকীর্ণ রাজনীতি। কারণ এই আন্দোলনে এমন পরিবারের সদস্যরা রাস্তায় নেমেছেন যারা কখনো কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে যাননি। এটি ছিল জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। প্রশ্ন : নির্বাচনের
জন্য বিএনপি কতটা প্রস্তুত? মির্জা ফখরুল : বিএনপি নির্বাচনের জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকা দল। কারণ, এই দল তো ক্ষমতায় যাওয়ার দল, ক্ষমতায় যাবে। প্রতি আসনে দলের চার থেকে দশজন পর্যন্ত প্রার্থী থাকে। প্রশ্ন : আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না, রাজনৈতিক মহলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আপনার মতামত কী? মির্জা ফখরুল : নির্বাচন করতে না দেওয়ার বিষয়ে আমি একমত নই। জনগণ বিচার করবে আওয়ামী লীগ থাকবে কি-থাকবে না। এই যে রাজনীতিতে একটি প্রবণতা তৈরি হয়েছে, এ নির্বাচন করতে পারবে না, ওই নির্বাচন করতে পারবে না। ওকে নিষিদ্ধ করতে হবে। যেমন জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করল। এটা কখনো ঠিক হয়নি। তার প্রমাণ হলো, জামায়াত তো
আবার সামনে চলে এলো। তাহলে লাভটা কী? চিন্তা চাপিয়ে দেওয়া কখনো ঠিক হবে না। তবে আমি আওয়ামী লীগকে যতটুকু বুঝি, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। ১৯৭৫ সালের পরও তারা নির্বাচন বর্জন করেনি। আমি মনে করি, ওই একটা দিক থেকে আওয়ামী লীগের কৌশল সঠিক। এ ধরনের দলগুলোর নির্বাচন বর্জন সবসময় সঠিক হয় না। দল যখন খারাপ অবস্থায় থাকে তখন তাকে টেনে তোলার জন্য নির্বাচন একটি রাস্তা। প্রশ্ন : আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? মির্জা ফখরুল : আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা রাজনীতিতে আবার ফিরে আসতে পারে, নির্বাচনেও আসতে পারে। কিন্তু জনগণের মধ্যে ফেরার সম্ভাবনা অদূর ভবিষ্যতে কম দেখছি। প্রশ্ন : ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায়। এ বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন? মির্জা ফখরুল : বাংলাদেশে এর আগে এ ধরনের চেষ্টা বহুবার করা হয়েছে। রাজনৈতিক দল সাধারণত আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে উঠে আসে। এটা তার মূল ভিত্তি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দল গঠন করতে হলে আলাদা বিপ্লবের বিষয় থাকে। কিন্তু এখানে দল গঠনের মূল ভিত্তি হওয়া উচিত জনগণের সমর্থন। প্রশ্ন : বর্তমান সরকারের কী স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করা উচিত বলে মনে করেন? মির্জা ফখরুল : এই সরকারের উচিত হবে শুধু জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা। প্রশ্ন : সংবিধান পরিবর্তনের কথা উঠেছে। এ বিষয়ে আপনি কী মনে করেন? মির্জা ফখরুল : সংবিধান তো অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। এই সংবিধান তো একেবারে শেষ করে ফেলেছে আওয়ামী লীগ। সংবিধানের যে অবস্থা তাতে নতুন করে লেখা উচিত। কিন্তু এই সংশোধনী করবে নির্বাচিত সরকার। প্রশ্ন : সরকারের সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে আপনার মতামত কী? মির্জা ফখরুল : এখন সরকার যে সংস্কার ঘোষণা করেছে সেগুলো প্রয়োজন, নিশ্চিতভাবে দরকার। আমরাও ২ বছর আগে ৩১ দফা দিয়ে ওইসব সংস্কারের কথা বলেছি। সংস্কার কমিটিতে যাদের দিয়েছেন তারা যোগ্য মানুষ। একই সঙ্গে জনগণ কী চায় সেটা তাদের দেখতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলতে হবে। জানতে হবে কী প্রস্তাব তাদের আছে-না আছে। এ বিষয়ে একটি ঐকমত্য তৈরি করতে হবে। সেই ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা সংস্কাগুলো চাই। কারণ, সংস্কারগুলো তো পরে সংবিধানে আনতে হবে। সেই পরিবর্তিত বিষয় সংবিধানে আনতে হলে একটা নির্বাচন দরকার হবে, সংসদ দরকার হবে।