সব ধরণের সঞ্চয়পত্রে সুদহার কমছে – ইউ এস বাংলা নিউজ




সব ধরণের সঞ্চয়পত্রে সুদহার কমছে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১ জুলাই, ২০২৫ | ৬:৫৪ 5 ভিউ
সব ধরণের সঞ্চয়পত্রে সুদহার কমছে। নতুনভাবে এ হার পুনর্নির্ধারণ করছে সরকার। ধরন অনুযায়ী প্রথম ধাপে সাড়ে ৭ লাখ টাকার নিচে বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদহার ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপ সাড়ে সাত লাখ টাকার ওপরে বিনিয়োগকারীদের জন্য এ হার ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ থেকে কমে ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা পহেলা জুলাই থেকে কার্যকর করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ট্রেজারি ও ঋণ অনুবিভাগ অনুমোদন দিয়েছে। নতুন সুদহার নির্ধারণের আদেশ জারি করতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে (আইআরডি) অনুরোধ করেছে অর্থ বিভাগ। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। এর আগে গত জানুয়ারিতে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে

১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছিল। যার মেয়াদ ৩০ জুন সোমবার শেষ হয়েছে। প্রথম দফায় সুদহার জানুয়ারিতে বাড়ানো হলেও অন্তর্বর্তী সরকার দ্বিতীয় দফায় এ হার কমিয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে দেওয়া ৪৭০ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে কয়েকটি শর্তের মধ্যে একটি হচ্ছে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ কমানো। পাশাপাশি এর সুদহার নির্ধারণের ফর্মুলা হবে বাজারভিত্তিক। ফলে সরকার আইএমএফ’র শর্ত বাস্তবায়নের দিকে হাঁটতে গিয়ে সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমাচ্ছে। একই কথা বলছেন বিশেষজ্ঞমহল। তাদের মতে, সুদহার হ্রাস করার ফলে এ খাত থেকে সরকার ঋণ কম পাবে। কারণ ব্যাংকগুলো এখন আমানত ও ফিক্সডিপোজিটের ওপর ভালো সুদ দিচ্ছে। এমন হতে পারে, এখন সুবিধাভোগীরা সঞ্চয়পত্রে টাকা না

রেখে ব্যাংকমুখী হবে। ফলে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণের টান পড়তে পারে। পুনর্নির্ধারিত হারের ক্ষেত্রে ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীদের বর্তমান সুদহার ১২ দশমকি ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছে। আর দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগকারীদের সুদহার ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ থেকে কমে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কিনতে গেলে প্রথম বছরে সুদ পাওয়া যেত ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ হারে, সেখানে নতুন হার ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ করা হয়েছে। ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের সুদহার প্রথম ধাপের বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্বিতীয়

ধাপের জন্য এ হার ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশে নেমে আসবে। পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সুদহার ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগে সুদহার ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ থেকে নেমে ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ হয়েছে। নতুন হার অনুযায়ী প্রথম বছরে এ স্কিমে সুদহার নির্ধারণ করা হয় ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা আগে ছিল ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ। এছাড়া পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের সুদহারও কমছে। এ স্কিমের সুদহার প্রথম ধাপের বিনিয়োগের জন্য ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের ক্ষেত্রে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ থেকে

কমে এ সুদের হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ ঠিক করা হয়। সর্বশেষ পোস্ট অফিস ফিক্সডিপোজিটের সুদহার প্রথম ধাপের জন্য ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ৭৭ শতাংশে আনা হয়েছে। আর দ্বিতীয় ধাপের বিনিয়োগের জন্য ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে কমে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। নতুন সুদহার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি সুদহার কমছে ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক ও পোস্ট অফিস ফিক্সডিপোজিডের ক্ষেত্রে। এই দুটি স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করলে প্রথম বছরে যেখানে আগে সুদ পেত ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ, এখন পাবেন ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ইরানকে কিছুই দিচ্ছি না, তাদের সঙ্গে আলোচনাও করছি না: ট্রাম্প সব ধরণের সঞ্চয়পত্রে সুদহার কমছে শাহজালাল বিমানবন্দরে বাড়তি নিরাপত্তা ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন ইরানে স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহারে মৃত্যুদণ্ডের বিধান গাজাযুদ্ধে ৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের ৩১ হাজার ভবন ধ্বংস চালের বাজারে আগুন, বিপাকে নিম্ন-মধ্যবিত্তরা ছাত্রদল-শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি: কে ছাত্র, কে অছাত্র? মতিঝিলে ডিবি পরিচয়ে ৩০ লাখ টাকা ছিনতাই ‘আমি যাই করি না কেন, মানুষ মন্তব্য করবেই’ পারিশ্রমিক বাড়ালেন শ্রীলীলা অবশেষে শুটিংয়ে ফিরছেন শাবনূর যে ৫টি জিনিস আবিষ্কৃত হয়েছিল স্রেফ ভুলের কারণে! পারমাণবিক অস্ত্র: শাসনের হাতিয়ার, শান্তির শত্রু মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় ৩৮ বিশিষ্ট নাগরিকের নিন্দা, বিচার দাবি হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের লাশ: প্রশ্ন অনেক, উত্তর খুঁজছে পুলিশ মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় ৩৮ বিশিষ্ট নাগরিকের নিন্দা, বিচার দাবি গাজার ত্রাণকেন্দ্র যেন ‘বধ্যভূমি’