ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
খুলনায় রংমিস্ত্রিকে গুলি করে হত্যা
ঘাতক প্রাইভেটকারের ভেতর ছিল বিয়ারের ক্যান-মদের বোতল
রূপালী ব্যাংকে ডাকাতি চেষ্টার ঘটনায় মামলা
ব্যাংকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা জিম্মিকাণ্ড
রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস, পিএসসির আরও দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের পাশে ছুরিকাঘাতে ২ তরুণ নিহত
শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
সক্রিয় পুরোনো সিন্ডিকেট বাগালো ৩ কোটির টেন্ডার
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘিরে এখনও সক্রিয় বিগত সরকারের আমলে গড়ে ওঠা অসাধু সিন্ডিকেট। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ৩৭ লাখ টাকায় কেনা পর্দাকাণ্ডের মতো দুর্নীতির ঘটনায় দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয় হাসপাতালটি। আলোচিত ওই পর্দাকাণ্ড ফাঁস হওয়ার পর এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসকসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবু থামেনি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য।
বর্তমান সরকারের আমলেও নানা মহলকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন কৌশলে তারা অনিয়ম-দুর্নীতি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে এই সিন্ডিকেট সর্বনিম্ন দরদাতাকে পিপিআরবহির্ভূত শর্তের অজুহাতে বাদ দিয়ে চলতি বছরের পথ্য সরবরাহের ৩ কোটি টাকার একটি টেন্ডার বাগিয়ে নিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে রোগীদের পথ্য সরবরাহ কাজের জন্য গত
২৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয়বারের মতো দরপত্র আহ্বান করে। ১৭টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শিডিউল কিনলেও জমা দেয় ছয়টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ছিদ্দিকী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২ কোটি ১৮ লাখ টাকার দর দাখিল করে সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল। কিন্তু কাজের জন্য তাদের নির্বাচিত না করে আরও ৪০ লাখ টাকা বেশি দরে অন্য প্রতিষ্ঠান মেসার্স মনিরুজ্জামান এন্টারপ্রাইজকে ঠিকাদার হিসেবে নির্বাচিত করে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি। ৪ নভেম্বর দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভার সারসংক্ষেপে বলা হয়, পথ্যসামগ্রী সরবরাহের ওই টেন্ডারে মেসার্স ছিদ্দিকী এন্টারপ্রাইজ তাদের দাখিলকৃত দরপত্রের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা সনদপত্রের মূল কপি দাখিল না করায় এবং দরপত্রের সঙ্গে দাখিলকৃত দুটি অভিজ্ঞতা সনদপত্রদাতার স্বাক্ষর একই ব্যক্তির হওয়া সত্ত্বেও
স্বাক্ষরের সুস্পষ্ট ভিন্নতা রয়েছে। বিষয়টি স্বাক্ষর জালিয়াতি বলে প্রতীয়মান হয়েছে। জানা গেছে, পথ্য সরবরাহের কাজের এই পুনঃদরপত্রের আগে গত জুলাই মাসে পথ্য সরবরাহ কাজের প্রথম দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। সেখানেও সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল ছিদ্দিকী এন্টারপ্রাইজ। সেবারও একই কায়দায় অভিজ্ঞতা সনদপত্রের অসংগতির অভিযোগে তাদের কাজ দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ছিদ্দিকী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী ১৩ নভেম্বর হাসপাতালের পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে বলেন, কোনো অনুসন্ধান না করেই রেজুলেশনে আমার কাজের অভিজ্ঞতা সনদপত্রকে জাল হিসেবে উল্লেখ করে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি তাঁর ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট করেছে। তিনি দাখিলকৃত টেন্ডারের তথ্যাদি সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে তাঁর দরপত্র গ্রহণের দাবি জানান। অনুসন্ধান বলছে, প্রায়
১৫ বছর ধরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেন্ডার বাণিজ্য ঘিরে একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার ছোট ভাই। এবার যারা কাজ পেয়েছে সেই মনিরুজ্জামান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মনিরুজ্জামান মনি বিশ্বাস। তবে কার্যত মনিরুজ্জামানের নামে মূলত কাজটি বাগিয়ে নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম ইশতিয়াক আরিফের ছোট ভাই আসিফ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আসিফ ইমতিয়াজ। এই সিন্ডিকেটে মনিরুজ্জামান এন্টারপ্রাইজ ও আসিফ এন্টারপ্রাইজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের বাইরে রয়েছে কুষ্টিয়ার অমিত এন্টারপ্রাইজ নামে আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার স্বত্বাধিকারী অমিত কুমার দত্ত। গত ১৫ বছর ধরে ঘুরেফিরে এরাই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সব টেন্ডার হাতিয়ে নিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালে এই সিন্ডিকেটের
হয়ে দাপ্তরিকভাবে নানা মহলের সঙ্গে যোগাযোগের কাজ করেন প্রধান সহকারী ও বর্তমানে প্রধান হিসাবরক্ষকের দায়িত্বরত মহিউদ্দিন চৌধুরী সোহান। তাঁর সহযোগী হাসপাতালের অফিস সহকারী প্রকাশ বিশ্বাস ও মোবাশ্বের হোসেন। অবশ্য সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগটি অস্বীকার করে সোহান দাবি করেন, টেন্ডার প্রক্রিয়ার বিষয়গুলো সব ওপরের স্যাররা দেখভাল করেন। তারা এসব বিষয়ে কিছু জানেন না। তবে মোবাশ্বের হোসেন ও প্রকাশ বিশ্বাসের বক্তব্য জানা যায়নি। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি ডা. আব্দুল গনি আহসান বলেন, তথ্যাদি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য অতিরিক্ত সময়ক্ষেপণ হয়। এ জন্য অভিজ্ঞতা সনদের মূল কপি দিতে বলা হয়েছিল। আর অভিজ্ঞতা সনদের স্বাক্ষরে মিল না থাকায় তাদের কাছে সেটি জালিয়াতি মনে হয়েছে। এ কারণে
দ্বিতীয় ও তিন সর্বনিম্ন দরদাতাকে রেসপনসিভ বিবেচনা করা হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. হুমায়ন কবীর বলেন, নিয়ম অনুযায়ী পিপিআর মেনেই টেন্ডার ডকুমেন্টসে মূল কপি যুক্ত করতে বলা হয়। তবে ছিদ্দিকী এন্টারপ্রাইজ মূল কপির পরিবর্তে সত্যায়িত সনদপত্র দাখিল করে। সেটি আসল না জাল, তা জানার দায়িত্ব আমাদের নয়। আমরা মূল কপি চেয়েছি; তারা দেয়নি। হাসপাতাল ঘিরে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা উল্টো সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছি। আমি এখানে এসেই নার্সদের একটি সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছি।
২৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয়বারের মতো দরপত্র আহ্বান করে। ১৭টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শিডিউল কিনলেও জমা দেয় ছয়টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ছিদ্দিকী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২ কোটি ১৮ লাখ টাকার দর দাখিল করে সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল। কিন্তু কাজের জন্য তাদের নির্বাচিত না করে আরও ৪০ লাখ টাকা বেশি দরে অন্য প্রতিষ্ঠান মেসার্স মনিরুজ্জামান এন্টারপ্রাইজকে ঠিকাদার হিসেবে নির্বাচিত করে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি। ৪ নভেম্বর দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভার সারসংক্ষেপে বলা হয়, পথ্যসামগ্রী সরবরাহের ওই টেন্ডারে মেসার্স ছিদ্দিকী এন্টারপ্রাইজ তাদের দাখিলকৃত দরপত্রের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা সনদপত্রের মূল কপি দাখিল না করায় এবং দরপত্রের সঙ্গে দাখিলকৃত দুটি অভিজ্ঞতা সনদপত্রদাতার স্বাক্ষর একই ব্যক্তির হওয়া সত্ত্বেও
স্বাক্ষরের সুস্পষ্ট ভিন্নতা রয়েছে। বিষয়টি স্বাক্ষর জালিয়াতি বলে প্রতীয়মান হয়েছে। জানা গেছে, পথ্য সরবরাহের কাজের এই পুনঃদরপত্রের আগে গত জুলাই মাসে পথ্য সরবরাহ কাজের প্রথম দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। সেখানেও সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল ছিদ্দিকী এন্টারপ্রাইজ। সেবারও একই কায়দায় অভিজ্ঞতা সনদপত্রের অসংগতির অভিযোগে তাদের কাজ দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ছিদ্দিকী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী ১৩ নভেম্বর হাসপাতালের পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে বলেন, কোনো অনুসন্ধান না করেই রেজুলেশনে আমার কাজের অভিজ্ঞতা সনদপত্রকে জাল হিসেবে উল্লেখ করে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি তাঁর ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট করেছে। তিনি দাখিলকৃত টেন্ডারের তথ্যাদি সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে তাঁর দরপত্র গ্রহণের দাবি জানান। অনুসন্ধান বলছে, প্রায়
১৫ বছর ধরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেন্ডার বাণিজ্য ঘিরে একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার ছোট ভাই। এবার যারা কাজ পেয়েছে সেই মনিরুজ্জামান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মনিরুজ্জামান মনি বিশ্বাস। তবে কার্যত মনিরুজ্জামানের নামে মূলত কাজটি বাগিয়ে নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম ইশতিয়াক আরিফের ছোট ভাই আসিফ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আসিফ ইমতিয়াজ। এই সিন্ডিকেটে মনিরুজ্জামান এন্টারপ্রাইজ ও আসিফ এন্টারপ্রাইজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের বাইরে রয়েছে কুষ্টিয়ার অমিত এন্টারপ্রাইজ নামে আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার স্বত্বাধিকারী অমিত কুমার দত্ত। গত ১৫ বছর ধরে ঘুরেফিরে এরাই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সব টেন্ডার হাতিয়ে নিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালে এই সিন্ডিকেটের
হয়ে দাপ্তরিকভাবে নানা মহলের সঙ্গে যোগাযোগের কাজ করেন প্রধান সহকারী ও বর্তমানে প্রধান হিসাবরক্ষকের দায়িত্বরত মহিউদ্দিন চৌধুরী সোহান। তাঁর সহযোগী হাসপাতালের অফিস সহকারী প্রকাশ বিশ্বাস ও মোবাশ্বের হোসেন। অবশ্য সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগটি অস্বীকার করে সোহান দাবি করেন, টেন্ডার প্রক্রিয়ার বিষয়গুলো সব ওপরের স্যাররা দেখভাল করেন। তারা এসব বিষয়ে কিছু জানেন না। তবে মোবাশ্বের হোসেন ও প্রকাশ বিশ্বাসের বক্তব্য জানা যায়নি। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি ডা. আব্দুল গনি আহসান বলেন, তথ্যাদি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য অতিরিক্ত সময়ক্ষেপণ হয়। এ জন্য অভিজ্ঞতা সনদের মূল কপি দিতে বলা হয়েছিল। আর অভিজ্ঞতা সনদের স্বাক্ষরে মিল না থাকায় তাদের কাছে সেটি জালিয়াতি মনে হয়েছে। এ কারণে
দ্বিতীয় ও তিন সর্বনিম্ন দরদাতাকে রেসপনসিভ বিবেচনা করা হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. হুমায়ন কবীর বলেন, নিয়ম অনুযায়ী পিপিআর মেনেই টেন্ডার ডকুমেন্টসে মূল কপি যুক্ত করতে বলা হয়। তবে ছিদ্দিকী এন্টারপ্রাইজ মূল কপির পরিবর্তে সত্যায়িত সনদপত্র দাখিল করে। সেটি আসল না জাল, তা জানার দায়িত্ব আমাদের নয়। আমরা মূল কপি চেয়েছি; তারা দেয়নি। হাসপাতাল ঘিরে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা উল্টো সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছি। আমি এখানে এসেই নার্সদের একটি সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছি।