ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
আন্দোলনের মুখে দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ ডিনের
২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে নতুন নির্দেশনা
অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা কলেজের বাস চলাচল বন্ধ
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে ত্রিমুখী সংকট
একাধিক চাকরি করলে শিক্ষকদের এমপিও বাতিল
সেই জহুরুল হক হলের প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে পাকিস্তানের পতাকা।
মধ্যরাতে শিক্ষা ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
‘শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো দেখেই মানুষ রাস্তায় নেমেছিলো, সমন্বয়কদের ডাকে নয়’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী হানিয়াম মারিয়া মনে করেন, কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনাই ছিলো গণমানুষের সড়কে নামার প্রধান কারণ— কোনো সমন্বয়কের আহ্বানে নয়।
রোববার (৩ আগস্ট) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, সাধারণ মানুষ রাজনীতির জটিল হিসাব বোঝে না।
তারা সন্তানসম শিক্ষার্থীদের গুলিতে লুটিয়ে পড়তে দেখে চুপ করে বসে থাকতে পারেনি। সে কারণেই রাজপথে নেমেছিল।
এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে অধ্যাপক মারিয়া বলেন, কয়েকজন ছাত্রছাত্রী আবেগঘন কণ্ঠে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এদের একজন, গণিত বিভাগের দেলোয়ার, বলেন— তার ডাকে আন্দোলনে এসে কেউ প্রাণ হারিয়েছে, এ কথা ভাবলেই তার অপরাধবোধ হয়।
অধ্যাপকের ভাষায়, ‘ছোট্ট একটা ছেলেমেয়ে কত কষ্ট বুকে
চেপে আছে!’ তিনি বলেন, অনেক নাম না জানা আন্দোলনকারী ছিলো, যাদের খোঁজ আর কেউ রাখেনি। যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের নামও নথিভুক্ত হয়নি। এই শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে কোনো ব্যক্তিগত লাভের আশায় আসেনি, বরং বিচার ও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা নিয়েই মাঠে নেমেছিল। অধ্যাপক আরও লেখেন, অনেকে জুলাই মাসকে এখন রাজনীতির হাতিয়ার বানালেও, আসল ত্যাগ স্বীকারকারী শিক্ষার্থীরা আজও আড়ালে রয়ে গেছে। তাদের আত্মত্যাগ যেন কিছু লোকের স্বার্থসিদ্ধির পন্থা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই কামনাও করেন তিনি। পরিশেষে তিনি লেখেন, দেলোয়ার, ফারিয়া এবং তাদের মতো নাম না জানা অন্যদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো। এই শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগ যেন কখনো বৃথা না যায়— সেটিই তাঁর প্রত্যাশা।
চেপে আছে!’ তিনি বলেন, অনেক নাম না জানা আন্দোলনকারী ছিলো, যাদের খোঁজ আর কেউ রাখেনি। যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের নামও নথিভুক্ত হয়নি। এই শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে কোনো ব্যক্তিগত লাভের আশায় আসেনি, বরং বিচার ও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা নিয়েই মাঠে নেমেছিল। অধ্যাপক আরও লেখেন, অনেকে জুলাই মাসকে এখন রাজনীতির হাতিয়ার বানালেও, আসল ত্যাগ স্বীকারকারী শিক্ষার্থীরা আজও আড়ালে রয়ে গেছে। তাদের আত্মত্যাগ যেন কিছু লোকের স্বার্থসিদ্ধির পন্থা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই কামনাও করেন তিনি। পরিশেষে তিনি লেখেন, দেলোয়ার, ফারিয়া এবং তাদের মতো নাম না জানা অন্যদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো। এই শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগ যেন কখনো বৃথা না যায়— সেটিই তাঁর প্রত্যাশা।



