ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
গাংনীতে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার্থীর ভাইরাল ভিডিও
বরিশাল নথুল্লাবাদে অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর, আহত ৬০
জব্দ বিস্ফোরক থানায় পরীক্ষার সময় বিস্ফোরণ, নিহত ৯
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মারধরের শিকার নারী হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে
কক্সবাজারে হোটেলে পর্যটকের গোপন ভিডিও ধারণ, অভিযুক্ত কর্মচারী ও ছাত্রলীগ নেতা পলাতক
করিমগঞ্জে আ.লীগ-ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন গ্রেপ্তার, মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও
মায়ের রক্ত ঝরিয়ে ছেলেকে গ্রেফতার, নাটোরে প্রতিবাদের ঝড়
শাটডাউন ঠেকাতে ব্যাপক ধরপাকড়: আওয়ামীপন্থিদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশি
দেশজুড়ে ঘোষণা করা সর্বাত্মক শাটডাউন কর্মসূচি ঠেকাতে ইউনূস সরকারের নিয়ন্ত্রণহীন ধরপাকড় পরিস্থিতি নতুন মাত্রা পেয়েছে। শুধু নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাই নন, লীগ সমর্থক, সহানুভূতিশীল, এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইক–কমেন্ট দেওয়া সাধারণ মানুষও এখন গ্রেপ্তারের টার্গেটে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মোবাইল ফোন তল্লাশি, ফেসবুকে আওয়ামী লীগের কোনো পেইজে লাইক বা পুরোনো দলীয় ছবি থাকলেই ধরে নিয়ে যাওয়া—এমন অভিযোগ এখন বিভিন্ন জেলার মানুষের মুখে মুখে।
ইউনূস সরকারের আজ্ঞাবহ বাহিনীর এই অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে মাঠপর্যায়ের মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তারা বলছেন—এটা কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষার অভিযান নয়, এটা আওয়ামী লীগ ঘিরে এক ধরনের রাজনৈতিক ‘উচ্ছেদ অভিযান’, যা শেষ পর্যন্ত দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তিকেই জনজীবন থেকে
মুছে দেওয়ার চেষ্টা। এর আগে আওয়ামী লীগ ঘোষণা করেছিল—১৪ ও ১৫ই নভেম্বর (শুক্র–শনি) সারাদেশে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ কর্মসূচি। এরপর ১৬ ও ১৭ নভেম্বর (রবি–সোমবার) সারাদেশে সর্বাত্মক শাটডাউন চলবে। মূল দাবি একটাই—ইউনূস সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। মাঠপর্যায়ের নেতারা বলছেন, সরকারের চাপে দল সংগঠিতভাবে রাস্তা দখল করতে না পারলেও জনগণের সাড়া এখন সবচেয়ে বড় শক্তি। শাটডাউনকে কেন্দ্র করে সরকার যেভাবে সাধারণ মানুষকেও টার্গেট করছে, তা প্রমাণ করছে—ইউনূস প্রশাসন ভয় পেয়েছে। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, “যে সরকার লাইক–কমেন্ট দেখে নাগরিককে গ্রেপ্তার করে, তারা নিজেদের পতনের ভয়েই এসব করছে। রাজধানীর মুগদা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, বাড্ডা, ডেমরা—এমন নানা এলাকা থেকে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর সদস্যরা রাতের বেলায় দরজা ঠেলে ঘরে প্রবেশ করছে। মোবাইল ফোন খুলে ফেসবুকে গিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো পেজে লাইক দেওয়া, দলের কোনো নেতার ছবি সেভ থাকা, এমনকি ৫ বছর আগের কোনো পোস্টে ‘জয় বাংলা’ কমেন্ট পাওয়া গেলেও ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নাটোর, কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ, বরিশালসহ অন্তত ১৮ জেলায় একই ধরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা বলছেন—এরকম ধরপাকড় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও দেখা যায়নি; এখন যা হচ্ছে, তা সরাসরি জনগণকে ভয়ের মধ্যে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা। গোপালগঞ্জের এক কলেজ শিক্ষক বলেন, আমি কোনো রাজনীতির সঙ্গে নেই। কিন্তু মায়ের সঙ্গে তোলা পুরোনো এক অনুষ্ঠানের ছবিতে পেছনে নৌকা–সম্বলিত ব্যানার থাকায় আমাকে থানায় যেতে
হয়েছে। এটা কেমন রাষ্ট্র? এদিকে ইউনূস সরকারের দমন–পীড়নের কারণে আওয়ামী লীগ সংগঠিতভাবে কর্মসূচির প্রস্তুতি নিতে পারছে না এমন অভিযোগ থাকলেও মাঠের বাস্তব চিত্র ভিন্ন। এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, সরকার যদি মনে করে লাইক–কমেন্ট ধরে আওয়ামী লীগ দমন করা যাবে—তাহলে তারা খুব ভুল করছে। জনগণের প্রতিরোধই এখন সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি। শাটডাউনকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে—এমনটা জানিয়েছে দলীয় সূত্র। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, প্রকৃত সংখ্যা এর দ্বিগুণেরও বেশি হতে পারে। রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবার একটি দপ্তরে কর্মরত একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যেখানে সাধারণ নাগরিকও নিরাপদ নয়, সেখানে শাটডাউনের দিনে অস্থিরতা অনিবার্য। সরকার ব্যাপক
চাপের মধ্যে আছে—এটা স্পষ্ট। ১৬ ও ১৭ই নভেম্বরের শাটডাউনের আগে যে দমননীতি চলছে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন—আগামী ৪৮ ঘণ্টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শাটডাউন সফল হলে সরকারের ওপর চাপ বহুগুণ বাড়বে; ব্যর্থ হলে ধরপাকড় আরও বাড়তে পারে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখনো র্যান্ডম গ্রেপ্তার চলছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে, আওয়ামী লীগপন্থিরা ক্ষুব্ধ, আর পুরো রাষ্ট্র যেন এক অস্থির, টানটান অপেক্ষার দিকে এগোচ্ছে।
মুছে দেওয়ার চেষ্টা। এর আগে আওয়ামী লীগ ঘোষণা করেছিল—১৪ ও ১৫ই নভেম্বর (শুক্র–শনি) সারাদেশে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ কর্মসূচি। এরপর ১৬ ও ১৭ নভেম্বর (রবি–সোমবার) সারাদেশে সর্বাত্মক শাটডাউন চলবে। মূল দাবি একটাই—ইউনূস সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। মাঠপর্যায়ের নেতারা বলছেন, সরকারের চাপে দল সংগঠিতভাবে রাস্তা দখল করতে না পারলেও জনগণের সাড়া এখন সবচেয়ে বড় শক্তি। শাটডাউনকে কেন্দ্র করে সরকার যেভাবে সাধারণ মানুষকেও টার্গেট করছে, তা প্রমাণ করছে—ইউনূস প্রশাসন ভয় পেয়েছে। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, “যে সরকার লাইক–কমেন্ট দেখে নাগরিককে গ্রেপ্তার করে, তারা নিজেদের পতনের ভয়েই এসব করছে। রাজধানীর মুগদা, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, বাড্ডা, ডেমরা—এমন নানা এলাকা থেকে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর সদস্যরা রাতের বেলায় দরজা ঠেলে ঘরে প্রবেশ করছে। মোবাইল ফোন খুলে ফেসবুকে গিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো পেজে লাইক দেওয়া, দলের কোনো নেতার ছবি সেভ থাকা, এমনকি ৫ বছর আগের কোনো পোস্টে ‘জয় বাংলা’ কমেন্ট পাওয়া গেলেও ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নাটোর, কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ, বরিশালসহ অন্তত ১৮ জেলায় একই ধরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা বলছেন—এরকম ধরপাকড় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও দেখা যায়নি; এখন যা হচ্ছে, তা সরাসরি জনগণকে ভয়ের মধ্যে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা। গোপালগঞ্জের এক কলেজ শিক্ষক বলেন, আমি কোনো রাজনীতির সঙ্গে নেই। কিন্তু মায়ের সঙ্গে তোলা পুরোনো এক অনুষ্ঠানের ছবিতে পেছনে নৌকা–সম্বলিত ব্যানার থাকায় আমাকে থানায় যেতে
হয়েছে। এটা কেমন রাষ্ট্র? এদিকে ইউনূস সরকারের দমন–পীড়নের কারণে আওয়ামী লীগ সংগঠিতভাবে কর্মসূচির প্রস্তুতি নিতে পারছে না এমন অভিযোগ থাকলেও মাঠের বাস্তব চিত্র ভিন্ন। এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, সরকার যদি মনে করে লাইক–কমেন্ট ধরে আওয়ামী লীগ দমন করা যাবে—তাহলে তারা খুব ভুল করছে। জনগণের প্রতিরোধই এখন সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি। শাটডাউনকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে—এমনটা জানিয়েছে দলীয় সূত্র। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, প্রকৃত সংখ্যা এর দ্বিগুণেরও বেশি হতে পারে। রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবার একটি দপ্তরে কর্মরত একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যেখানে সাধারণ নাগরিকও নিরাপদ নয়, সেখানে শাটডাউনের দিনে অস্থিরতা অনিবার্য। সরকার ব্যাপক
চাপের মধ্যে আছে—এটা স্পষ্ট। ১৬ ও ১৭ই নভেম্বরের শাটডাউনের আগে যে দমননীতি চলছে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন—আগামী ৪৮ ঘণ্টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শাটডাউন সফল হলে সরকারের ওপর চাপ বহুগুণ বাড়বে; ব্যর্থ হলে ধরপাকড় আরও বাড়তে পারে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখনো র্যান্ডম গ্রেপ্তার চলছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে, আওয়ামী লীগপন্থিরা ক্ষুব্ধ, আর পুরো রাষ্ট্র যেন এক অস্থির, টানটান অপেক্ষার দিকে এগোচ্ছে।



