
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর রাজধানীর ঐতিহাসিক স্থাপনা

ঈদের ছুটিতে সাদা পাথরে পর্যটকের সমাগম

সাদাপাথরে বেড়াতে এসে কিশোরীর মৃত্যু

২১ ফেব্রুয়ারির ছুটিতে লাখো পর্যটকের সমাগম কুয়াকাটায়

আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক বনভোজন

যাচ্ছে না বাংলাদেশিরা, শিলিগুড়িতে হাহাকার

এবার ভারতের মালদহে বাংলাদেশিদের হোটেল ভাড়া বন্ধ ঘোষণা
লম্বা ছুটি, তবু নেই আশানুরূপ পর্যটক

পবিত্র ঈদুল আজহায় এবার লম্বা ছুটি মিলেছে। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা এবার অনেক পাওয়া বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন। তারা প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন সেভাবে। তবে এবার আশানুরূপ পর্যটক পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে। বান্দরবান ও জাফলংয়ে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।
বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, বান্দরবানে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরও ঈদের লম্বা ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটকের আগমন ঘটেনি। জেলায় হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট গেস্টগাউজ গুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রুম বুকিং হয়নি এ কদিনে। তবে স্থানীয় ও আশপাশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটন স্পটগুলো।
সরেজমিনে সোম ও রোববার ঘুরে দেখা গেছে, জেলার অন্যতম পর্যটন স্পট নীলাচল, মেঘলা, প্রান্তিকলেক, শৈলপ্রপাত, বুড্ডিস্ট ট্যাম্পল, বাংলার দার্জিলিং খ্যাত চিম্বুক পাহাড় এবং নীলগিরি
সড়কের ডাবল হেন্ডস ভিউ, টাইটানিক ভিউ পয়েন্ট'সহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে পাহাড়ে প্রকৃতির নির্মল ছোঁয়া পেতে পাহাড়ের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। অনেকেই মেঘলা লেকের পানিতে প্যাডেল বোট ও ইঞ্জিন নৌকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঝুলন্ত সেতু'তে দলবদ্ধ ছবি তোলার আনন্দে মেতেছে। নোয়াখালী থেকে বেড়াতে আসা দম্পতি অলিক ভৌমিক ও জুই সাহা বলেন, প্রথমবার বান্দরবান ভ্রমণে এসে ভালোই লাগছে। এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পর্যটন স্পটগুলোর শৈল্পিকতায় আমরা মুগ্ধ। আসার আগে নানা শঙ্কার কথা শুনলেও বেড়াতে এসে কোনো ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি। অন্যদের উদ্দেশ্যে আমরা বলবো, ভ্রমণের জন্য বান্দরবান অসাধারণ একটি জায়গা। এখানের সার্বিক পরিস্থিতিও পর্যটক বান্ধব। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও চোখে পড়ার মতো। এদিকে দীর্ঘদিনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার
ধাক্কা কাটিয়ে পাহাড়ের পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে এমনটি প্রত্যাশা পর্যটন ব্যবসায়ীদের। বৈচিত্র্যময় জেলা বান্দরবান রয়েছে চোখ জুড়ানো সব সৌন্দর্য। পাহাড়ের প্রকৃতি এবং শৈল্পিক ছোঁয়ায় সাজানো দর্শনীয় স্থান নীলাচল, বাংলার দার্জিলিং খ্যাত চিম্বুক, নীলগিরি, নীল দিগন্ত, ডিম পাহাড়, মেঘলা, প্রান্তিকলেক, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান স্বর্ণ মন্দির, রামাজাদী, গৌতম বুদ্ধের মূর্তি, শৈলপ্রপাত, পাহাড়ের ভিতরে তৈরি টানেলসহ দৃষ্টিনন্দন সব পর্যটন স্পট মুখরিত হয়ে উঠেছে দর্শনার্থীদের ভিড়ে। মেঘলায় লেকের উপরে আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতু, অসংখ্য ঝর্ণা ধারা, রহস্যে ঘেরা দেবতাখুম, আলীর সুরঙ্গের মতন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর দূরদূরান্তের দর্শনীয় স্থানগুলোতেও ভিড় জমাচ্ছে ভ্রমণ পিপাসুরা। ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটকদের আনাগোনায় জমে উঠেছে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বাণিজ্যও। দীর্ঘদিন
পর সবগুলো উপজেলা ভ্রমণের জন্য খুলে দেয়ায় পর্যটকদের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে৷ পরিবার পরিজন নিয়ে এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বান্দরবান ঘুরতে এসে প্রকৃতির নির্মল ছোঁয়া পেতে পাহাড়ের দূরদূরান্তে ছুটে বেড়াচ্ছে পর্যটকেরা। জেলার হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, ভ্রমণে এখন আর কোনো বাধা নেই। সবগুলো উপজেলায় পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে বেড়াতে পারছে পর্যটকেরা। শঙ্কামুক্ত বান্দরবান জেলায় এবারের ঈদের ছুটিতে এখনো পর্যন্ত আশানুরূপ বুকিং হয়নি হোটেলগুলোতে। আগামী দিনগুলোতে পর্যটকদের আগমন আরও বাড়বে। নিষেধাজ্ঞার ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে পাহাড়ের পর্যটন শিল্প এমনটাই প্রত্যাশা সবার। বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনজুরুল হক বলেন, ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য বর্তমানে উন্মুক্ত গোটা বান্দরবান। নিরাপত্তাগত কোনো সমস্যাও
নেই, পর্যটকরা নিরাপদে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াতে পারছেন পছন্দের পর্যটন স্পটগুলোতে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন'সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেনাবাহিনীর পরামর্শে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে প্রশাসন। অপরদিকে জেলায় পর্যটকদের সেবায় রয়েছে শতাধিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট গেস্ট হাউস। এছাড়াও পর্যটক পরিবহনে রয়েছে তিন শতাধিকের অধিক ট্যুরিস্ট গাড়ি। সব মিলিয়ে গোটা জেলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৩০ হাজার মানুষ পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি জানান, পবিত্র ঈদুল আযহার লম্বা ছুটিতে ভিড় দেখা গেছে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। হাজারো পর্যটকের আগমনে কর্মচাঞ্চল্য দেখা গেছে পর্যটক সংশ্লিষ্টদের মাঝে। তবে, অন্যান্য ঈদের চাইতে এ বছর জাফলংয়ে ঈদের দিন থেকেই প্রত্যাশা অনুযায়ী
আশানুরূপ পর্যটক আসতে দেখা যায়নি। স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের দিন থেকে জাফলংয়ে কম পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। আশা করছি আগামীকাল থেকে পর্যটক বাড়তে পারে। সিলেটের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র জাফলং ছাড়াও বিছনাকান্দি ও রাতারগুলসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোতেও এবার প্রত্যাশার চেয়ে অনেকটাই কম দর্শনার্থী বেড়াতে এসেছেন। ভারতের মেঘালয়ের সবুজ পাহাড়, পাথর আর ঝর্ণা দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতি বছরের ঈদ মৌসুমে বিপুল পরিমাণ পর্যটক বেড়াতে আসেন জাফলংয়ে। এ বছরও নানা বয়সের পর্যটকরা ছুটে এসেছেন। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী এখানে পর্যটক কম এসেছেন বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। ঈদের দিন থেকে শুরু করে সোমবার ঈদের তৃতীয় দিন দিন পর্যন্ত হাজারো পর্যটক সিলেটের গোয়াইনঘাটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণে এসেছেন। এর
মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র প্রকৃতি কন্যা জাফলংয়ে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ঘুরতে এসেছেন। এছাড়াও প্রকৃতির অপ্সরাখ্যাত বিছনাকান্দি ও জলারবন রাতারগুলেও ছিল পর্যটক। সকালে সরেজমিনে জাফলংয়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই দলবেঁধে পর্যটকরা ঘুরতে বের হয়েছেন। মেঘালয়ের পাহাড়, পাথর আর ঝর্ণার স্বচ্ছ জলের সমাহার দেখে যেন তারা মুগ্ধ হন। পরিবার পরিজন ও বন্ধু বান্ধব নিয়ে ঘুরছেন আর ছবি তুলছেন। কেউ কেউ নৌকা নিয়ে মায়াবী ঝর্ণা, খাসিয়া পল্লি আর চা-বাগানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। জাফলংয়ের মায়াবী ঝর্ণায় কথা হয় রাজশাহী থেকে সপরিবারে বেড়াতে আসা শাহাদত হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি পেয়ে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এখানকার চারপাশের পরিবেশ খুব চমৎকার। জাফলংয়ের মায়াবী ঝর্ণা যেন মন কেড়ে নিয়েছে। খুব সুন্দর একটি যায়গা। খুব ভালো লাগলো। জাফলং পর্যটনকেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হোসেন মিয়া বলেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকরা বেড়াতে এসেছেন। তবে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পর্যটক তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম। আশা করছি সামনের দিন থেকে পর্যটক বাড়তে পারে। গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী জানান, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারের ঈদেও পর্যটকদের নিরাপত্তায় থানা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও রোভার স্কাউটের সদস্যরা কাজ করছে।
সড়কের ডাবল হেন্ডস ভিউ, টাইটানিক ভিউ পয়েন্ট'সহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে পাহাড়ে প্রকৃতির নির্মল ছোঁয়া পেতে পাহাড়ের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। অনেকেই মেঘলা লেকের পানিতে প্যাডেল বোট ও ইঞ্জিন নৌকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঝুলন্ত সেতু'তে দলবদ্ধ ছবি তোলার আনন্দে মেতেছে। নোয়াখালী থেকে বেড়াতে আসা দম্পতি অলিক ভৌমিক ও জুই সাহা বলেন, প্রথমবার বান্দরবান ভ্রমণে এসে ভালোই লাগছে। এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পর্যটন স্পটগুলোর শৈল্পিকতায় আমরা মুগ্ধ। আসার আগে নানা শঙ্কার কথা শুনলেও বেড়াতে এসে কোনো ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি। অন্যদের উদ্দেশ্যে আমরা বলবো, ভ্রমণের জন্য বান্দরবান অসাধারণ একটি জায়গা। এখানের সার্বিক পরিস্থিতিও পর্যটক বান্ধব। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও চোখে পড়ার মতো। এদিকে দীর্ঘদিনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার
ধাক্কা কাটিয়ে পাহাড়ের পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে এমনটি প্রত্যাশা পর্যটন ব্যবসায়ীদের। বৈচিত্র্যময় জেলা বান্দরবান রয়েছে চোখ জুড়ানো সব সৌন্দর্য। পাহাড়ের প্রকৃতি এবং শৈল্পিক ছোঁয়ায় সাজানো দর্শনীয় স্থান নীলাচল, বাংলার দার্জিলিং খ্যাত চিম্বুক, নীলগিরি, নীল দিগন্ত, ডিম পাহাড়, মেঘলা, প্রান্তিকলেক, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান স্বর্ণ মন্দির, রামাজাদী, গৌতম বুদ্ধের মূর্তি, শৈলপ্রপাত, পাহাড়ের ভিতরে তৈরি টানেলসহ দৃষ্টিনন্দন সব পর্যটন স্পট মুখরিত হয়ে উঠেছে দর্শনার্থীদের ভিড়ে। মেঘলায় লেকের উপরে আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতু, অসংখ্য ঝর্ণা ধারা, রহস্যে ঘেরা দেবতাখুম, আলীর সুরঙ্গের মতন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর দূরদূরান্তের দর্শনীয় স্থানগুলোতেও ভিড় জমাচ্ছে ভ্রমণ পিপাসুরা। ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটকদের আনাগোনায় জমে উঠেছে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বাণিজ্যও। দীর্ঘদিন
পর সবগুলো উপজেলা ভ্রমণের জন্য খুলে দেয়ায় পর্যটকদের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে৷ পরিবার পরিজন নিয়ে এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বান্দরবান ঘুরতে এসে প্রকৃতির নির্মল ছোঁয়া পেতে পাহাড়ের দূরদূরান্তে ছুটে বেড়াচ্ছে পর্যটকেরা। জেলার হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, ভ্রমণে এখন আর কোনো বাধা নেই। সবগুলো উপজেলায় পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে বেড়াতে পারছে পর্যটকেরা। শঙ্কামুক্ত বান্দরবান জেলায় এবারের ঈদের ছুটিতে এখনো পর্যন্ত আশানুরূপ বুকিং হয়নি হোটেলগুলোতে। আগামী দিনগুলোতে পর্যটকদের আগমন আরও বাড়বে। নিষেধাজ্ঞার ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে পাহাড়ের পর্যটন শিল্প এমনটাই প্রত্যাশা সবার। বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনজুরুল হক বলেন, ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য বর্তমানে উন্মুক্ত গোটা বান্দরবান। নিরাপত্তাগত কোনো সমস্যাও
নেই, পর্যটকরা নিরাপদে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াতে পারছেন পছন্দের পর্যটন স্পটগুলোতে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন'সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেনাবাহিনীর পরামর্শে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে প্রশাসন। অপরদিকে জেলায় পর্যটকদের সেবায় রয়েছে শতাধিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট গেস্ট হাউস। এছাড়াও পর্যটক পরিবহনে রয়েছে তিন শতাধিকের অধিক ট্যুরিস্ট গাড়ি। সব মিলিয়ে গোটা জেলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৩০ হাজার মানুষ পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি জানান, পবিত্র ঈদুল আযহার লম্বা ছুটিতে ভিড় দেখা গেছে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। হাজারো পর্যটকের আগমনে কর্মচাঞ্চল্য দেখা গেছে পর্যটক সংশ্লিষ্টদের মাঝে। তবে, অন্যান্য ঈদের চাইতে এ বছর জাফলংয়ে ঈদের দিন থেকেই প্রত্যাশা অনুযায়ী
আশানুরূপ পর্যটক আসতে দেখা যায়নি। স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের দিন থেকে জাফলংয়ে কম পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। আশা করছি আগামীকাল থেকে পর্যটক বাড়তে পারে। সিলেটের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র জাফলং ছাড়াও বিছনাকান্দি ও রাতারগুলসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোতেও এবার প্রত্যাশার চেয়ে অনেকটাই কম দর্শনার্থী বেড়াতে এসেছেন। ভারতের মেঘালয়ের সবুজ পাহাড়, পাথর আর ঝর্ণা দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতি বছরের ঈদ মৌসুমে বিপুল পরিমাণ পর্যটক বেড়াতে আসেন জাফলংয়ে। এ বছরও নানা বয়সের পর্যটকরা ছুটে এসেছেন। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী এখানে পর্যটক কম এসেছেন বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। ঈদের দিন থেকে শুরু করে সোমবার ঈদের তৃতীয় দিন দিন পর্যন্ত হাজারো পর্যটক সিলেটের গোয়াইনঘাটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণে এসেছেন। এর
মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র প্রকৃতি কন্যা জাফলংয়ে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ঘুরতে এসেছেন। এছাড়াও প্রকৃতির অপ্সরাখ্যাত বিছনাকান্দি ও জলারবন রাতারগুলেও ছিল পর্যটক। সকালে সরেজমিনে জাফলংয়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই দলবেঁধে পর্যটকরা ঘুরতে বের হয়েছেন। মেঘালয়ের পাহাড়, পাথর আর ঝর্ণার স্বচ্ছ জলের সমাহার দেখে যেন তারা মুগ্ধ হন। পরিবার পরিজন ও বন্ধু বান্ধব নিয়ে ঘুরছেন আর ছবি তুলছেন। কেউ কেউ নৌকা নিয়ে মায়াবী ঝর্ণা, খাসিয়া পল্লি আর চা-বাগানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। জাফলংয়ের মায়াবী ঝর্ণায় কথা হয় রাজশাহী থেকে সপরিবারে বেড়াতে আসা শাহাদত হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি পেয়ে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এখানকার চারপাশের পরিবেশ খুব চমৎকার। জাফলংয়ের মায়াবী ঝর্ণা যেন মন কেড়ে নিয়েছে। খুব সুন্দর একটি যায়গা। খুব ভালো লাগলো। জাফলং পর্যটনকেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হোসেন মিয়া বলেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকরা বেড়াতে এসেছেন। তবে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পর্যটক তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম। আশা করছি সামনের দিন থেকে পর্যটক বাড়তে পারে। গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী জানান, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারের ঈদেও পর্যটকদের নিরাপত্তায় থানা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও রোভার স্কাউটের সদস্যরা কাজ করছে।