ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স                            
                        আরও খবর
                                দেশে হিন্দু ৩ কোটি হলেও বিএনপির মনোনয়ন পেলেন মাত্র ২ জন, বাদ পড়লেন অনেক হিন্দু নেতা
                                গয়েশ্বরের হুঁশিয়ারি: বিএনপি মাঠে নামলে ইউনূস সরকার টিকবে কিনা সন্দেহ
                                খুলনায় বিএনপি অফিসে গুলি-বোমা হামলা, নিহত ১
                                বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
                                আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা কারাগারে
                                গণভোট ইস্যুতে মুখোমুখি বিএনপি-জামায়াত
                                বিএনপির একজন নেতার চাঁদাবাজির টাকা দিয়েই গণভোট আয়োজন সম্ভব: পাটওয়ারী
রাজনৈতিক কৌশলে পরাজিত বিএনপি কি জামায়াতকে নিষিদ্ধের পথে হাঁটবে!
                             
                                               
                    
                         জামায়াতে ইসলামীকে ১৯৭১ সালের গণহত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
আওয়ামী লীগের মতো জামায়াতকেও নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন ও ভোট কারচুপির জন্য আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যায়, তাহলে ১৯৭১ সালের গণহত্যা ও নির্যাতনের জন্য জামায়াতকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে গত শনিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি তোলেন। সেখানে তিনি আরও বলেন, বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় ঐক্য রক্ষাকারী শক্তিগুলোকে জামায়াতের ভূমিকা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে এবং প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তার এই মন্তব্যের পর বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কারণ জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন 
বিএনপির সহযোগী দল হিসেবে রাজনীতিতে ভূমিকা রেখেছে। ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের জোট একাধিকবার ক্ষমতায় অংশীদার ছিল। জামায়াত-বিএনপির রাজনৈতিক সম্পর্কের সদ্ভাব থেকে বৈরিতা স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ধর্মভিত্তিক দল নিষিদ্ধ করা হয়। তবে ১৯৭৯ সালে সামরিক শাসক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন। ফলে জামায়াতে ইসলামী পুনরায় রাজনীতিতে ফেরে। এরপর থেকেই জামায়াত বিএনপির ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী হিসেবে অবস্থান নিতে শুরু করে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ১৪০ আসনে জেতার পরে সরকার গঠন করতে ১৫১ আসন প্রয়োজন হলে জামায়াতে ইসলামীর সাথে জোট করে ক্ষমতায় আসে। সে নির্বাচনে সংসদে জামায়াতের
১৮টি আসন ছিল। এমনকি নির্বাচনের আগেও জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি’র অনানুষ্ঠানিক জোট ছিল। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হলে ১৯৯৫ সালে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে জামায়াতে ইসলামী। এরপর ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী আলাদাভাবে নির্বাচন করলে ভরাডুবি ঘটে দুই দলেরই। বিএনপি’র ২৪ আসন কমে গিয়ে পায় ১১৬ আসন আর জামায়াতে ইসলামী পায় মাত্র ৩টি আসন। এরপরই রাজনৈতিক প্রয়োজনে ১৯৯৯ সালের ৬ই জানুয়ারি চার দলীয় জোট গঠন করে। ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট গঠন করে ভূমিধ্বস জয় পায় এবং সরকার পরিচালনা করে। তৎকালীন জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় জামায়াতে ইসলামীর দুই শীর্ষ
নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মতিউর রহমান নিজামী, যারা একাত্তর সালের মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত ছিলেন তাদেরকে মন্ত্রী বানায় বিএনপি। এরপর ২০১৩ সালে উচ্চ আদালতের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, দলটির গঠনতন্ত্র দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এরপর থেকে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না, তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী বা অন্য পরিচয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে নিবন্ধনহীন জামায়াতে ইসলামী ধানের শীষ প্রতিকে নির্বাচন করে। এরপর ২০২৪ সালের আগস্টে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বিএনপি পুনরায় রাজনীতিতে সক্রিয় হলেও জামায়াতের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ধরণ স্পষ্ট নয়। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রকাশ্য কোনো কাঠামো এখন সক্রিয় নেই। তবু উভয় দলই সমান্তরালভাবে
সরকারের নীতির বিরোধিতা করে আসছিল। এই পরিস্থিতিতে বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি ওঠায় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে এই বক্তব্য এসেছে এমন সময়ে, যখন জামায়াত নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী শক্তির বিচার ইস্যু পুনরায় আলোচনায় এসেছে। জামায়াতের পক্ষ থেকে বিএনপি নেতার বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম এক বিবৃতিতে দাবি করেন বলেন, “আলালের বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ১৯৭১ সালের গণহত্যা বা নির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রোপাগান্ডা।” বিএনপি ও জামায়াতের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সম্পর্কের প্রেক্ষিতে এই বক্তব্য অনেকের কাছে দলীয় অবস্থানের পরিবর্তনের ইঙ্গিত হিসেবেও দেখা হচ্ছে। তবে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে এ
বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তরের একাধিক নেতা বলেন, আলালের বক্তব্য “ব্যক্তিগত মত” হতে পারে, এটি দলের সিদ্ধান্ত নয়। অন্যদিকে, জামায়াত বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধের দাবি করা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী। তারা মনে করে, বিএনপির কোনো নেতা এ ধরনের বক্তব্য দিলে তা জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করতে পারে। ২০০৬ সালের পর থেকে বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক সহযোগিতা বিভিন্ন সময়ে ভাঙাগড়া হয়েছে। ২০১৩ সালের যুদ্ধাপরাধের বিচার ও শাহবাগ আন্দোলনের সময় জামায়াতের অবস্থান নিয়ে বিএনপির মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি দেখা দেয়। একাংশ মনে করত, জামায়াতের কারণে বিএনপির আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে, জামায়াত মনে করে, বিএনপি তাদের ব্যবহার করে কিন্তু দায়ভার নেয় না। ২০১৮ সালের
নির্বাচন এবং পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় জামায়াত দৃশ্যত বিএনপির ছায়াতেই রাজনীতি করেছে। কিন্তু বিএনপি কখনোই তাদের প্রকাশ্য জোটভুক্ত করেনি, বরং “বিচার ও জাতীয় ঐক্য”র প্রশ্নে দূরত্ব বজায় রেখেছে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশে জামায়াতে ইসলামী আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত না হলেও দেশজুড়ে সাংগঠনিকভাবে সক্রিয়। মাঠপর্যায়ে অনেক স্থানে তারা বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে। তবে বিএনপি নেতৃত্ব এখন পর্যন্ত জামায়াতের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের দিকনির্দেশনা ঘোষণা করেনি। আলালের সাম্প্রতিক বক্তব্য সেই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
                    
                                                          
                    
                    
                                    বিএনপির সহযোগী দল হিসেবে রাজনীতিতে ভূমিকা রেখেছে। ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের জোট একাধিকবার ক্ষমতায় অংশীদার ছিল। জামায়াত-বিএনপির রাজনৈতিক সম্পর্কের সদ্ভাব থেকে বৈরিতা স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ধর্মভিত্তিক দল নিষিদ্ধ করা হয়। তবে ১৯৭৯ সালে সামরিক শাসক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন। ফলে জামায়াতে ইসলামী পুনরায় রাজনীতিতে ফেরে। এরপর থেকেই জামায়াত বিএনপির ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী হিসেবে অবস্থান নিতে শুরু করে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ১৪০ আসনে জেতার পরে সরকার গঠন করতে ১৫১ আসন প্রয়োজন হলে জামায়াতে ইসলামীর সাথে জোট করে ক্ষমতায় আসে। সে নির্বাচনে সংসদে জামায়াতের
১৮টি আসন ছিল। এমনকি নির্বাচনের আগেও জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি’র অনানুষ্ঠানিক জোট ছিল। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হলে ১৯৯৫ সালে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে জামায়াতে ইসলামী। এরপর ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী আলাদাভাবে নির্বাচন করলে ভরাডুবি ঘটে দুই দলেরই। বিএনপি’র ২৪ আসন কমে গিয়ে পায় ১১৬ আসন আর জামায়াতে ইসলামী পায় মাত্র ৩টি আসন। এরপরই রাজনৈতিক প্রয়োজনে ১৯৯৯ সালের ৬ই জানুয়ারি চার দলীয় জোট গঠন করে। ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট গঠন করে ভূমিধ্বস জয় পায় এবং সরকার পরিচালনা করে। তৎকালীন জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় জামায়াতে ইসলামীর দুই শীর্ষ
নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মতিউর রহমান নিজামী, যারা একাত্তর সালের মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত ছিলেন তাদেরকে মন্ত্রী বানায় বিএনপি। এরপর ২০১৩ সালে উচ্চ আদালতের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, দলটির গঠনতন্ত্র দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এরপর থেকে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না, তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী বা অন্য পরিচয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে নিবন্ধনহীন জামায়াতে ইসলামী ধানের শীষ প্রতিকে নির্বাচন করে। এরপর ২০২৪ সালের আগস্টে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বিএনপি পুনরায় রাজনীতিতে সক্রিয় হলেও জামায়াতের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ধরণ স্পষ্ট নয়। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রকাশ্য কোনো কাঠামো এখন সক্রিয় নেই। তবু উভয় দলই সমান্তরালভাবে
সরকারের নীতির বিরোধিতা করে আসছিল। এই পরিস্থিতিতে বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি ওঠায় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে এই বক্তব্য এসেছে এমন সময়ে, যখন জামায়াত নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী শক্তির বিচার ইস্যু পুনরায় আলোচনায় এসেছে। জামায়াতের পক্ষ থেকে বিএনপি নেতার বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম এক বিবৃতিতে দাবি করেন বলেন, “আলালের বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ১৯৭১ সালের গণহত্যা বা নির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রোপাগান্ডা।” বিএনপি ও জামায়াতের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সম্পর্কের প্রেক্ষিতে এই বক্তব্য অনেকের কাছে দলীয় অবস্থানের পরিবর্তনের ইঙ্গিত হিসেবেও দেখা হচ্ছে। তবে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে এ
বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তরের একাধিক নেতা বলেন, আলালের বক্তব্য “ব্যক্তিগত মত” হতে পারে, এটি দলের সিদ্ধান্ত নয়। অন্যদিকে, জামায়াত বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধের দাবি করা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী। তারা মনে করে, বিএনপির কোনো নেতা এ ধরনের বক্তব্য দিলে তা জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করতে পারে। ২০০৬ সালের পর থেকে বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক সহযোগিতা বিভিন্ন সময়ে ভাঙাগড়া হয়েছে। ২০১৩ সালের যুদ্ধাপরাধের বিচার ও শাহবাগ আন্দোলনের সময় জামায়াতের অবস্থান নিয়ে বিএনপির মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি দেখা দেয়। একাংশ মনে করত, জামায়াতের কারণে বিএনপির আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে, জামায়াত মনে করে, বিএনপি তাদের ব্যবহার করে কিন্তু দায়ভার নেয় না। ২০১৮ সালের
নির্বাচন এবং পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় জামায়াত দৃশ্যত বিএনপির ছায়াতেই রাজনীতি করেছে। কিন্তু বিএনপি কখনোই তাদের প্রকাশ্য জোটভুক্ত করেনি, বরং “বিচার ও জাতীয় ঐক্য”র প্রশ্নে দূরত্ব বজায় রেখেছে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশে জামায়াতে ইসলামী আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত না হলেও দেশজুড়ে সাংগঠনিকভাবে সক্রিয়। মাঠপর্যায়ে অনেক স্থানে তারা বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে। তবে বিএনপি নেতৃত্ব এখন পর্যন্ত জামায়াতের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের দিকনির্দেশনা ঘোষণা করেনি। আলালের সাম্প্রতিক বক্তব্য সেই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।



