রক্ত আছে রক্ত…? – ইউ এস বাংলা নিউজ




রক্ত আছে রক্ত…?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২২ জুলাই, ২০২৫ | ৭:৫৪ 58 ভিউ
হাজার হাজার মানুষ। যে যেভাবে পারছেন ছোটাছুটি করছে। উচ্চ শব্দে সাইরেন বাজিয়ে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স যেন ছুটেছে পাগলের মতো। ব্যস্তত্রস্ত স্বেচ্ছাসেবীরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন পথ থেকে মানুষ সরিয়ে অ্যাম্বুলেন্স যাওয়ার জায়গা করে দিতে। দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করতে থাকা শত শত পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও স্বজনের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে আশপাশের এলাকা। তবে এসব কিছু পাশ কাটিয়ে একদল তরুণ-তরুণীকে খুব শান্তভাবে কিছু একটা করতে দেখা যায়। হাতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা দাঁড়িয়ে গেলেন রাস্তার দুই ধারে। মাথার ওপরে ধরে রাখা সাদা কাগজে দ্রুত এলোমেলো হাতে লেখা ‘রক্ত আছে, রক্ত…?’, ‘রক্ত লাগবে?’—এমন সব শব্দ। গতকাল সোমবার বিকেল থেকেই রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক

সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনে ছিল এমন দৃশ্য। উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনাস্থল থেকে আসা দগ্ধ ও আহতদের জন্য রক্ত সংগ্রহ করতে অভিনব এই পন্থা অবলম্বন করছিলেন এসব তরুণ-তরুণী। যাদের বেশিরভাগই স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের একজন রাসেল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দগ্ধ ও আহতদের জন্য নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের বেশ সংকটের কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমন পরিস্থিতিতে আহত ও দগ্ধদের স্বজনদের পক্ষে রক্ত সংগ্রহ করা খুবই কঠিন কাজ। তাই আগ-পিছ না ভেবে আমরাই এ দায়িত্ব নিয়েছি।’ তাদের এই উদ্যোগের যথাযথ প্রয়োজনীয়তা বোঝা গেল বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের সামনে গিয়ে। শত শত মানুষের ভিড়ে কেউ একজনকে চিৎকার করে বলতে শোনা গেল, ‘এখানে মাহমুদার কোনো

স্বজন আছেন? মাহমুদার কেউ আছেন? তার জন্য ও-নেগেটিভ রক্ত লাগবে। দ্রুত ম্যানেজ করতে হবে।’ টানা কয়েকবার তিনি এই আকুতি জানালেন। ভিড়ের মধ্যে পরিচয় পাওয়া গেল না। তবে পরনের অ্যাপ্রোন দেখে অনুমান করা গেল, চিৎকার করে মাহমুদার জন্য রক্ত চাওয়া মানুষটি বার্ন ইনস্টিটিউটের একজন সেবিকা। প্রায় অভিন্ন চিত্র ছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটের সামনে। সেখানেও জরুরি বিভাগের সামনে খুবই বিষণ্ন মনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় স্কুল ইউনিফর্ম পরিহিত দুই শিক্ষার্থীকে। ভেতরে তাদের ভাই জারিফ ফারহান আগুনে পুড়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। কোনো এক সেবিকা এসে জানালেন রক্ত লাগবে। এটা শোনার পর আর এক মুহূর্ত কালক্ষেপণ না করে তারা চলে

গেলেন রক্তের সন্ধানে। সেখানে ফারহানের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তার ভাইয়ের বন্ধু মো. আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ফারহানের অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল৷। ডাক্তাররা ব্ল্যাড ম্যানেজ করতে বলছেন। ওর মুখ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। উরু পুড়ে গেছে। দেখার মতো অবস্থা নেই।’ শুধু ঢামেক কিংবা বার্ন ইনস্টিটিউট নয়, প্ল্যাকার্ড হাতে রক্ত সংগ্রহ করতে দেখা গেছে উত্তরা আধুনিক মেফডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনেও। এসব জায়গা থেকে রক্তদাতা সংগ্রহ করে সেনা ও বিমানবাহিনীর গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল রক্ত নেওয়ার জন্য।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
এবার ভুয়া থানার সন্ধান! আইসিসি থেকে ফের দুঃসংবাদ পেলো বাংলাদেশ রাজধানীতে পার্কিং করা প্রাইভেটকারে দুই লাশ ১৫ শতাংশ রাজস্বের বিনিময়ে চীনে চিপ রপ্তানির অনুমতি পেল এনভিডিয়া ও এএমডি ইতালিতে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটে ত্রুটি, আটকা ২৬২ যাত্রী আবারও পেছালো সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন, এ নিয়ে ১২০ বার ট্রাম্পের শুল্কের প্রতিবাদ: ভারতে মার্কিন পণ্য বয়কটের ডাক সাত মাসে ‘মব সন্ত্রাসের’ শিকার হয়ে ১১১ জন নিহত : আসক পাক সেনাপ্রধানের হুমকির জবাবে যা বলল ভারত ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতা বিশ্ব দরবারে লুকিয়ে রাখতেই সাংবাদিকদের হত্যা : শিফা পরিচালক ছেলে সন্তান না থাকায় স্বামীর চাপে নবজাতক চুরি, তরুণী গ্রেপ্তার আরব সাগরে ‘মুখোমুখি’ ভারত-পাক, মিসাইল লঞ্চ নৌসেনার দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত ২, আহত ১৭ সন্তানকে নিয়ে কিয়ারার আবেগঘন বার্তা! গাজায় যেন ‘স্কুইড গেম’র মৃত্যুখেলা খেলছে ইসরাইল! গাজায় ইসরাইলি হামলায় আল জাজিরার ৫ সাংবাদিক নিহত ঢাকায় নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়তে পারে তাপমাত্রা ‘কাজ শেষ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই’, গাজা দখল পরিকল্পনা নিয়ে নেতানিয়াহু সিন্ডিকেটের থাবায় আবার অস্থির পেঁয়াজের বাজার খুলনা মৎস্য বীজ খামার দখল খুবি শিক্ষার্থীদের