যেভাবে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে কারাগারে – ইউ এস বাংলা নিউজ




যেভাবে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে কারাগারে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৭ আগস্ট, ২০২৫ | ১১:০৭ 27 ভিউ
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেই এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের দিক উন্মোচিত হয়েছে গণমাধ্যমের সাহসী উদ্যোগে। জুলাই দাঙ্গার পর থেকে একটি অভিন্ন নিদারুণ ছবি ফুটে উঠছে যার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে যে, কিভাবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কারাগারে প্রবেশ করার পর পরই কিভাবে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন। পুলিশ বা কারা কর্তৃপক্ষের বর্ণনা অনুযায়ী তারা হার্ট অ্যাটাকে মারা যাচ্ছেন। তবে পরিবার, সহকর্মী এবং স্বাধীন অনুসন্ধানকারীদের বরাতে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এগুলো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। গ্রেপ্তার হওয়ার পর জেলে তাদের ওপর নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়, খাবারের সাথে অজানা ক্যামিকেল এবং মেডিসিন মিশিয়ে অথবা জোর করে খাওয়ানো হয়। যদি কেউ অস্বীকৃতি

জানায়, তাহলেই তার উপর নেমে আসে মধ্যযুগীয় বর্বরোচিত নির্যাতন। এই হত্যার পদ্ধতি এতোই নিখুঁত যে, তা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাহায্য ছাড়া বোঝার কোনো উপায়ই নেই বাইরে থেকে দেখে। ডিজিটালিস গ্রুপের ওষুধ, যেমন ডিজক্সিন Digoxin বা Digitoxin, মূলত Foxglove গাছ থেকে তৈরি এবং ডাক্তাররা হার্টের রোগ, বিশেষ করে হার্ট ফেইলিওর বা অ্যারিদমিয়া নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করেন। এই ওষুধ হার্টকে শক্তভাবে সংকুচিত হতে সাহায্য করে, যা সঠিক মাত্রায় নেওয়া হলে জীবন রক্ষাকারী। কিন্তু মাত্রা একটু বেশি হলেই হার্টবিট অনিয়মিত হয়ে যায়, যা অ্যারিদমিয়া নামে পরিচিত। বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, দৃষ্টির অস্বাভাবিকতা—এই লক্ষণগুলোও দেখা দেয়। যদি এই ওষুধ সামান্য বেশি ডোজ দেওয়া হয়,

তাহলে ধীরে ধীরে শরীরে জমে কয়েকদিন পর হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ঘটতে পারে। বাইরের দিকে কোনো চিহ্ন থাকে না। ডিজিটালিস বা ডিজক্সিন অতিরিক্ত ডোজ দিলে শরীরে শোষিত হয়ে প্রভাব কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয়। খুব বেশি ডোজ হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গুরুতর অ্যারিদমিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট দেখা দিতে পারে, আবার ধীরে ধীরে জমলে কয়েকদিন পর লক্ষণ প্রকাশ পায়। ফরেনসিক বা টক্সিকোলজি টেস্ট না থাকলে এসব মৃত্যু প্রায়ই প্রাকৃতিক কার্ডিয়াক অ্যাটাকের মতো মনে হয়। এই ওষুধগুলোকে বন্দীদের খাবারের সাথে মিশিয়ে অজান্তে বা জোরপূর্বক খাওয়ানো হয়। তিন দিনের মধ্যে, কখনও বা ৮-২৪ ঘন্টার মধ্যে, তারা মারা যায়। সূত্র বলছে,

এরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় কোনো দৃশ্যমান চিহ্ন থাকে না, কোনো ক্ষতি বোঝা যায় না, সবকিছু সাজানো এবং নিখুঁত। এই নৃশংস কৌশলের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা মোহাম্মদ ইউনূস এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেনাপ্রধান ওয়াকার। দেশের নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতা দখলের জন্য তারা যে ভয়ঙ্কর পরিকল্পনার নমুনা দেখিয়েছে তার স্মৃতি এখনো তাড়া করে ফেরে দেশের জনগণকে। আর এই পরিকল্পনারই দ্বিতীয় অধ্যায় এখন রাজনৈতিক বন্দীদের কারাজীবনেও ছড়িয়ে পড়েছে। ১৯৭৫ সালে জাতীয় চার নেতাকে কারাগারে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করার পথ নকশা করেছিলেন মোশতাক। আজ একই পথ অনুসরণ করা হচ্ছে, এবার শুধু গুলি নেই,

বরং নীরবে, কেমিক্যাল-মেডিসিনের মাধ্যমে। উদ্দেশ্য আছে সেই একই অবিচল : রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিঃশব্দে নির্মূল করা এবং কোনো বাধাঁ বা প্রমাণ ছাড়াই সেটা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দায়মুক্ত পাওয়া। এই হত্যার নেপথ্য তথ্য প্রকাশিত হলেও রাষ্ট্র বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো সঠিক তদন্ত করছে না। কতজন কর্মকর্তা দায়ী হয়েছে, কতজনের বিচার হয়েছে - প্রায় কিছুই নয়। যারা অভিযোগ করতে চায়, তারা হয়রানি, ভীতি, আর সামাজিক ও আর্থিক চাপে ভুগে। ফলাফল স্বাভাবিক - প্রতি মৃত্যুতে সরকারি বর্ণনা “হার্ট অ্যাটাক” আর সত্যি প্রমাণ বের হয়নি। কিন্তু ডিজিটালিসের প্রযুক্তিগত ব্যাখ্যা, পরিবার ও স্বাধীন অনুসন্ধানকারীর প্রাপ্ত প্রমাণ মিলিয়ে দেখা যায়, এটি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত শিরোনাম আর

ভুক্তভোগীদের স্বজনদের বর্ণনা স্পষ্ট করছে, এটি এক পরিকল্পিত রাজনৈতিক নিধন কর্মসূচি। রাষ্ট্রের হেফাজতে থাকা বন্দীদের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, বরং এটি পরিকল্পিত এবং ষড়যন্ত্রমূলক। সম্প্রতি ঘটনা এমন কিছু ঘটনা জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক, জনকণ্ঠ ও ডয়চেভেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক হার্ট অ্যাটাক করেছেন। বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। গত ডিসেম্বরে ‘হার্ট অ্যাটাকে’ বগুড়া কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিন ওরফে মিঠুর মৃত্যু হয়। এর আগে নভেম্বরে বগুড়ায় কারাগারে হার্ট অ্যাটাক (হৃদরোগে আক্রান্ত) হওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড

কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাহাদত আলম ঝুনু (৬০) মারা যান। জানা গেছে, গত নভেম্বর ডিসেম্বরে বগুড়ায় কারাগারে চার আওয়ামী লীগ নেতার হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, “কারাগারে এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু যদি সত্যিই পরিকল্পিতভাবে ঘটে থাকে, তাহলে এটি শুধু এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, বরং রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর গভীর আঘাত। এটি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতার জন্য বড় ইঙ্গিত। সরকারের উচিত অবিলম্বে স্বচ্ছ এবং স্বাধীন তদন্ত নিশ্চিত করা।”

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কারা বেশি নারী বিদ্বেষী, ছবি বিকৃতির মাধ্যমে তা প্রমাণ হয়েছে ঢাকা–ইসলামাবাদের ঘনিষ্ঠতা: দক্ষিণ এশিয়ার নতুন সমীকরণ, উদ্বেগে নয়াদিল্লি কুশিয়ারার সাদা বালি হরিলুট যেভাবে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে কারাগারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ বুয়েটের শিক্ষার্থীদের যমুনায় যেতে বাধা দেওয়ায় আট পুলিশ সদস্য আহত চীনা নাগরিকের ওয়ালেট চুরি, গ্রেপ্তার ২ আরও ভয়ংকর হচ্ছে উত্তর কোরিয়া গাজায় একদিনে নিহত আরও ৬৪, ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ গেল ১৩ জনের বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে পাকিস্তানি আলেম আলি মির্জা গ্রেফতার ভোটযুদ্ধে প্রাণবন্ত ক্যাম্পাস ইসরাইলের সঙ্গে আব্রাহাম চুক্তির সম্ভাবনা নাকচ করল সিরিয়া উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ ১০ কারণে দারিদ্র্য বৃদ্ধি ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী আজ সংকটাপন্ন ৫ ব্যাংকে ভুগছে তৈরি পোশাক খাত গাজায় একদিনে নিহত আরও ৬৪, ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ গেল ১৩ জনের আজারবাইজানের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে গ্যাস আনবে ইরান বিটিভির নাটকে গাইলেন পপি-রিফাত আরও ২৯২ যুদ্ধবন্দি বিনিময় করল রাশিয়া-ইউক্রেন