মোনালিসার চোখের রঙ মাত্র ৫ শতাংশ মানুষের, কেন এটি বিরলতম? – ইউ এস বাংলা নিউজ




মোনালিসার চোখের রঙ মাত্র ৫ শতাংশ মানুষের, কেন এটি বিরলতম?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৪:১৫ 115 ভিউ
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় তাকে দেখা গিয়েছিল মালা বিক্রি করতে। কোনো এক নেটপ্রেমীর ক্যামেরায় বন্দি হয়ে ভাইরাল হয়ে যায় তার দুটি আয়ত চোখ। তারপর থেকে তার দুই চোখের পেছনে ছুটছে অগণিত ক্যামেরা। কুম্ভে ভাইরাল হওয়া মোনালিসা ভোঁসলের দুই চোখের মূল আকর্ষণ মণির রঙ। নীল নয়, সবুজও নয়, আবার ঠিক বাদামিও নয়। সোনালি রঙয়ের দুই মণিতে হলদেটে ভাবের ছোঁয়াই বেশি। এমন চোখ কেবল বিরল নয়, বিরলের মধ্যে বিরলতম। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের’ গবেষকেরা চোখের রঙ নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরেই গবেষণা করছেন। গবেষণায় জানা গেছে, এমন রংয়ের চোখ বিশ্বে মাত্র ৫% মানুষেরই আছে। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে মহাকুম্ভে (১৪৪ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়) মালা বিক্রির

জন্য এসেছেন ১৭ বছর বয়সি মোনালিসা। উদ্দেশ্য একটাই পুণ্য তিথিতে মালা বিক্রি করে বাড়তি উপার্জন করা। গবেষণায় জানা গেছে, মেলানিন রঞ্জকের কারণেই চোখের মণির রঙ বদলায়। এই মেলানিন তৈরি হয় মেলানোসাইটস নামের কোষ থেকে, যা থাকে চোখের মণিতে। মেলানিন যদি বেশি থাকে, তা হলে মণির রং হবে গাঢ় বাদামি। যদি মেলানিন কম থাকে, তা হলে মণির রঙ হবে হালকা। যে সব মানুষের চোখের রঙ হালকা, তাদের মেলানিন কম থাকে। ফলে বাইরের আলো সহজেই চোখ শুষে নেয়, তার পর তা প্রতিফলিত হয়। আর সে কারণেই চোখের রঙ হালকা মনে হয়। মেলানিনেরও দুটি ভাগ রয়েছে—ইউমেলানিন ও ফিয়োমেলানিন। ইউমেলানিনের ভাগ বেশি হলে চোখের মণির রঙ

হবে কালচে বাদামি। আর ফিয়োমেলানিনের মাত্রা বাড়লে মণির রং বদলে হবে লালচে হলুদ। এই ফিয়োমেলানিনের মাত্রার হেরফেরেই চোখের মণির রং হলদেটে সোনালি বা মেটে সোনালি হতে পারে। তবে গবেষকেরা বলছেন, অ্যাম্বার রঙয়ের চোখ যদি হয়, তা হলে তাতে ইউমেলানিন ও ফিয়োমেলানিন দুই-ই থাকবে, কেবল তাদের মাত্রার হেরফের হবে। এই ধরনের চোখে কিন্তু সবুজের কণামাত্রও থাকে না। পান্না-সবুজ চোখ অনেকেরই থাকে, তবে তার কারণ আলাদা। আবার সমুদ্রনীল চোখ নিয়ে যারা সৌন্দর্যপিয়াসিদের মুগ্ধ করেন, তাদের চোখের মণিতে কিন্তু মেলানিন থাকে না বললেই চলে। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, যাদের চোখ বাদামি, তাদের চোখে মাত্রাতিরিক্ত মেলানিন থাকে। ফলে বাইরের আলো কম প্রবেশ করে। আবার যাদের চোখ দেখে মনে হয়

নীল, তাদের ক্ষেত্রে মেলানিন থাকে না বললেই চলে। ফলে বাইরের আলো শুষে নিতে পারে না, কিন্তু প্রতিফলন হয় অনেক বেশি। মেলানিন কমবে না বাড়বে, তা নিয়ন্ত্রণ করে জিন। কার চোখের মণির রং কী হবে, তা নিয়ন্ত্রণ করে ওসিএ২ এবং এইচআরসি২ নামক দুই জিন। এর মধ্যে ওসিএ১ জিনের কারণেই চোখের মণিতে মেলানিনের হেরফের বেশি হয়। ফলে কারও চোখ বাদামি, কারও নীল আবার কারও মেটে সোনালি হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ডিম ও সবজির দামে অস্বস্তি লিপুর আবেগ বলছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হবে, যুক্তিতে পথটা ‘দুর্গম’ আমাকেও বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে: অমর্ত্য সেন ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, সবাই ঢাকার আঘাতের চিহ্ন নেই সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহে, স্বজনের কাছে হস্তান্তর টেকনাফ সীমান্তে ফের গোলার শব্দ, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর বিজিবি নির্বাচক লিপুর দৃষ্টিতে সাইফ একের ভিতর চার কুমিল্লায় বাবা-মা ও ২ সন্তান নিহত: বন্ধ হচ্ছে বিপজ্জনক সেই ইউটার্ন উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার ১ মাস পর আরেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু ভাড়াটিয়া সেজে গৃহকর্ত্রীকে খুন, পরে মামলা তুলে নিতে হুমকি নিউমার্কেটে ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১০ শ্বশুরবাড়িতে মদপানে জামাইয়ের মৃত্যু ‘প্রযুক্তি সরঞ্জাম সংকট, আইন প্রয়োগে ধীরগতি’ মোমেনকে নিয়ে হজম করতে চেয়েছিলেন ডিসি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে নতুন উদ্যোগ ঋণপ্রবাহের গতি সর্বনিম্ন নিরাপদ ক্যাম্পাসের প্রতিশ্রুতি প্রার্থীদের লাগামহীন খেলাপি ঋণ, কমছে সম্পদের পরিমাণ রাজধানীতে নামে-বেনামে অর্ধশতাধিক ‘সিসা বার’ আজকের মুদ্রার রেট: ২৩ আগস্ট ২০২৫