মুবারক হো মাহে রমজান – ইউ এস বাংলা নিউজ




মুবারক হো মাহে রমজান

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৯ মার্চ, ২০২৫ | ৪:৪৭ 82 ভিউ
মানব জীবনে ধৈর্যাবলম্বনই হলো দুঃখ-কষ্ট ও বিপদাপদের একমাত্র প্রতিষেধক। দু’টি কারণে এই প্রতিষেধকের আয়োজন করার প্রয়োজন দেখা দেয়। প্রথমত, ইবাদত বন্দেগীর জন্য সর্বতোভাবে প্রস্তুত হতে হলে এর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। মানব জীবনে যা কিছু চাওয়া পাওয়া রয়েছে সবকিছু ইবাদতের মাধ্যমেই সম্পন্ন হতে পারে। মূলতঃ সিয়াম সাধনা ছাড়াও অন্যসব ইবাদতের জন্যও ধৈর্যের দারকার। অধৈর্য ব্যক্তি ইবাদতের কোন স্তরেই কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে উন্নীত হতে পারে না। ইবাদত আদায়কারী ব্যক্তিদের সামনে কয়েক ধরনের বাধা-বিপত্তি ও দুঃখ-কষ্ট এসে হাজির হয়। এতদপ্রসঙ্গে ইমাম আবু হামিদ গাজ্জালী (রহঃ) এই বাধাগুলোর শ্রেণী বিন্যাস এ ভাবে করেছেন। যেমনÑ এক ঃ এমন কোন ইবাদত নেই যাতে কোন কষ্ট থাকে না। এ জন্যই

ইবাদতের জন্য এত তাকীদ রয়েছে এবং তার বিনিময়ে সওয়াব ও পুণ্যদানের অঙ্গীকার করা হয়েছে। ইবাদতের জন্য কামনা-বাসনা বর্জন করতে হয় এবং কু-প্রবৃত্তির প্ররোচনা দমন করতে হয়। এ দুটো কাজ ইবাদত গুজার লোকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই ঃ মানুষের কষ্টার্জিত পুণ্য-অটুট রাখাও তার জন্য অপরিহার্য। এজন্য সর্বদা তাকওয়া অবলম্বন করে চলতে হয় এবং এটাও ইবাদতকারীর জন্য কঠিন কাজ বটে। তিন ঃ দুনিয়া ফেতনা-ফাসাদে ভরপুর। দুনিয়াবাসীদের নানা ধরনের দুঃখ কষ্ট ও বিপদাপদের সম্মুখীন হতে হয়। যেমন- স্বজন বিয়োগ, রোগ-ব্যাধি, মান-সম্মানের হানি, চলাফেরার অসুবিধা, হিংসা, কুৎসা কিংবা লোভ লালসার শিকার হওয়া ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রেও ধৈর্যের প্রয়োজন। নতুবা অস্থিরচিত্ত নিয়ে যথাযথভাবে ইবাদত আদায় করা সম্ভবপর হয়

না। চার ঃ পারলৌকিক মুক্তিকামীর জন্য বিশেষভাবে নানারূপ দুঃখ-কষ্টের সম্মুখীন হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। বিবিধ পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তাকে উত্তীর্ণ হতে হয়। যে লোক যতবেশী আল্লাহর প্রিয় হতে চায় তাকে ততবেশী বিপদাপন্ন হতে হয়। তার সামনে পাহাড়তুল্য বাধা এসে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) আরও বলেনÑ তোমরা কি নূর নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এই বাণী শুননি? তিনি বলেছেনÑ মানুষের মধ্যে পরীক্ষার কঠিনতর স্তর আসে নবীদের জন্য। তৎপরবর্তী স্তর আসে আলেমদের জন্য। তারপর মানুষের স্তর অনুযায়ী পরীক্ষা চলে। সুতরাং যখনই কেউ ভালো কাজের ইচ্ছা করে এবং পারলৌকিক মুক্তির পথে পা বাড়ায়, তখনই তার সামনে কঠিন বিপদাপদের পরীক্ষা এসে হাজির হয়ে যায়। ধৈর্যের অনুপস্থিতিতে সে

তখন পথভ্রষ্ট হয় এবং পুণ্যের পথ বিচ্যুত হয়। ফলে তার মূল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে যায়। মহান আল্লাহ তায়ালা দুঃখ ক্লেশ ও বিপদাপদ সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকার জন্য আমাদেরকে আহ্বান জানিয়েছেন এবং এ সবের মাধ্যমে যে পরীক্ষা হয়, তাও সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেনÑ তোমরা অবশ্যই জান ও মালের পরীক্ষার সম্মুখীন হবে এবং তোমাদের আগেকার আহলে কিতাবও মুশরিকদের তরফ হতে অবশ্যই অনেক কষ্টদায়ক কথা শুনবে। আল্লাহপাক অন্যত্র ইরশাদ করেছেনÑ আর তোমরা যদি ধৈর্য ধারণ কর তাকওয়া অবলম্বন করে চল, তাহলে অবশ্যই তা বহু হিম্মতের কাজ বলে গণ্য হবে। মোট কথা, আল্লাহ পাক যেন আগেই সতর্ক করে দিচ্ছেন যে, আল্লাহর পথ বড়ই বিপদসংকুল। পরীক্ষার

কঠিনতর স্তরে এসে বান্দাকে বিপর্যস্ত করে দেয়া খুবই স্বাভাবিক। সুতরাং তাতে ধৈর্যাবলম্বনকারীরাই হলো প্রকৃত মানুষ। কেননা, বুঝতে হবে যে, মানবীয় দৃঢ়তা ও সংকল্পে স্থিরতা তার মধ্যে বিদ্যমান। তাই, আল্লাহর পথে যে পা বাড়াতে চায়, তাকে প্রথমেই ধরে নিতে হবে যে, সে কঠিন ঝুঁকি মাথায় নিচ্ছে। শুধু তাই নয়, আমরণ তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে পর্যায়ক্রমে আগত সকল প্রকার বিপদাপদ ও দুঃখ ক্লেশ সহ্য করার জন্য। নতুবা তার ইবাদতের ইচ্ছা শুধু ইচ্ছা হয়েই থাকবে। কোন আমল করাই তার পক্ষে সম্ভব হবে না। হযরত ফেজিয়েল ইবনে আয়াজ (রহঃ) বলেনÑ যে ব্যক্তি আখেরাতের পথে পা বাড়াতে চায়, সে যেন নিজের মধ্যে চার ধরনের মৃত্যুর অনুভূতি

নিয়ে অগ্রসর হয়। তাহলো (১) সাদা মৃত্যু (২) লাল মৃত্যু (৩) কালো মৃত্যু এবং (৪) পান্ডুর মৃত্যু। সাদা মৃত্যু হলো ক্ষুধার যাতনা। লাল মৃত্যু হলো শয়তানের বিরুদ্ধে সংগ্রামের কষ্ট। কালো মৃত্যু হলো পাপ বর্জনের ক্লেশ এবং পান্ডুর মৃত্যু হলো একের পর এক পার্থিব দুঃখ-কষ্ট, দুর্ঘটনা প্রভৃতি। এ চার ধরনের মৃত্যুর স্বাদ যে গ্রহণ করতে পারবে, তার পক্ষেই কেবল পারলৌকিক সাফল্যের পথে অগ্রসর হওয়া চলে। মহান আল্লাহপাক আমাদেরকে এর পরিপূর্ণ শক্তি ও সামর্থ্য দান করুন, আমীন!

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ভারতের ৯ প্রতিষ্ঠান ও ৮ ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা গাজায় প্রবেশ করেছে ১৫৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক: রেড ক্রিসেন্ট সাভারে কোটি টাকার বিষ্ণুমূর্তিসহ গ্রেপ্তার ১ ১০ মিনিটে মানসিক চাপ কমাতে পারে ৬ অভ্যাস বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বড় ছাঁটাই আসছে বাজারে সবজির সেঞ্চুরি: ১০০ টাকার নিচে মিলছে না কিছুই রাজনৈতিক অস্থিরতায় রপ্তানিতে ধাক্কা, বিনিয়োগে স্থবিরতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি: ভয়াবহ সংকটে অর্থনীতি পুলিশি বাধায় চারুকলার পর গেণ্ডারিয়াতেও পণ্ড ‘শরৎ উৎসব’: ১৯ বছরের ধারাবাহিকতায় ছেদ তালেবান মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কাবুলে দূতাবাস চালুর ঘোষণা ভারতের, ভারতকে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ আখ্যা আওয়ামী লীগ কি সশস্ত্র সংগ্রাম করবে? কারাবন্দীদের উপর নির্যাতন: সংবিধান ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন দেশের সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি বেবিচকের এ কেমন সংস্কার! দুদকের মামলার একদিন পরই আসামী উল্টো পুরস্কৃত, পেলেন আরও বড় দায়িত্ব নৃশংস বর্বরতা আর নরকীয়তার ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল – নূরুল মজিদ হুমায়ূনের নিথর দেহে হাতকড়া লাগিয়ে। ন্যায়বিচারের পথে এক ধাপ এগোল বাংলাদেশ ট্রাম্প নয় শান্তিতে নোবেল পেলেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া ট্রাম্পকে হারিয়ে নোবেল জেতা কে এই মাচাদো? শিশুদের ‘নোবেল’ শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত সাতক্ষীরার তরুণ সুদীপ্ত শাহজালাল বিমানবন্দরে ৬৫ ভরি স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার ২ টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ