 
                                                        
                                ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স                            
                        আরও খবর
 
                                আসিফ নজরুল প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
 
                                সংকট তীব্র, ক্ষুব্ধ বিএনপি
 
                                শেষ ১৪ মাস উদ্বাস্তু জীবন: বাবার মৃত্যুতে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রীর মর্মস্পর্শী স্ট্যাটাস, দেশের পরিস্থিতির ওপর ক্ষোভ
 
                                জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ব্লাফ দিয়েছে ইউনূস সরকার, বিএনপির ক্ষোভ
 
                                লগি-বইঠার অগ্নিশপথ থেকে প্রতিরোধ-পর্ব: আওয়ামী লীগের নীরবতা নয়, এ এক নতুন রণহুঙ্কার
 
                                বেগম খালেদা জিয়ার স্ট্রোকের খবর ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’: স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া বিজ্ঞপ্তি প্রচারের অভিযোগ বিএনপির
 
                                জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও স্বতন্ত্র এমপি জাহেদী চান বিএনপির মনোনয়ন
মুচলেকায় ছাড়িয়ে আনা হান্নান মাসউদের সেই ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ক রাব্বি আবারও চাঁদাবাজিকালে আটক
 
                             
                                               
                    
                         রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় আবারও ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে। একটি বেসরকারি হাসপাতালকে কেন্দ্র করে সংঘটিত এই ঘটনায় সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করে পাঁচজনকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে অন্যতম চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও কথিত সমন্বয়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বিও (২৮) আছে। এর আগেও চাঁদাবাজির ঘটনায় তার নাম উঠে এসেছিল, তখনও তাকে থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়েছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। রাব্বি হান্নান মাসউদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে।
এসব ঘটনায় জন্ম নিয়েছে তীব্র সমালোচনা। নেটিজেনরা এহেন ঘটনাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র (বৈছা) সমন্বয়কদের ‘নয়া বন্দোবস্ত’ এবং ‘বৈছা ভাই থেকে চাঁদা ভাই’-তে রূপান্তর আখ্যা দিয়েছেন। বলছেন- আন্দোলনের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার নেপথ্যে এই চাঁদাবাজ-মব সন্ত্রাসীদের 
উদ্দেশ্যই ছিল নিজেদের পকেট ভারী করার চিরস্থায়ী ব্যবস্থা করা। জানা যায়, গতকাল ২৮শে সেপ্টেম্বর, রোববার রাত ৯টার দিকে বসিলা এলাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে একটি মৃত শিশু জন্ম নেওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয় নাটকীয়তা। বৈছা সমন্বয়করা এসে হাসপাতাল মালিক শিল্পী আক্তারের কাছে চাঁদা দাবি করে এবং পরিবেশ উত্তপ্ত করার চেষ্টা চালায়। চাঁদা না দেওয়ায় হুমকি-ধামকির মাত্রা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে ফোন করলে তারা ঘটনাস্থলে এসে পাঁচজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন সাইফুল ইসলাম রাব্বি (২৮), হাসিবুর রহমান ফরহাদ (৩১), আবদুর রহমান মানিক (৩৭), আবু সুফিয়ান (২৯) ও মো. শাহিন (৩৮)। হাসপাতালের মালিক বলেন, ‘একটি দুঃখজনক ঘটনার সুযোগ নিয়ে তারা আমাকে এবং আমার ছেলেকে বারবার চাঁদা
দিতে চাপ দিচ্ছিল। আমি অস্বীকৃতি জানালে তারা আরো লোকজন নিয়ে আসে। তখন বাধ্য হয়ে সেনাবাহিনীকে ফোন করি।’ মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক বলেন, ‘সেনাবাহিনী পাঁচজনকে আটক করে আমাদের কাছে হস্থান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। একজন হাসপাতাল মালিক তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, যার ভিত্তিতে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’ উল্লেখ্য, আটক সাইফুল ইসলাম রাব্বি এর আগেও তার সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির সময় মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের হাতে আটক হন। তখন এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ নিজে থানায় গিয়ে মুচলেকার মাধ্যমে তাকে ছাড়িয়ে আনেন। পুলিশের ভাষ্যমতে, তাকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে না জড়ানোর শর্তে মুক্তি দেওয়া হলেও সে কথা রাখেনি। তাকে মুচলেকা দেওয়া
হান্নান মাসউদও কথা রাখেননি। অভিযোগ আছে সমন্বয়ক রাব্বীর চাঁদাবাজির টাকার ভাগ পান হান্নান মাসউদও। জানা গেছে, গত ১৯শে মে হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়রম্যান গোলাম মোস্তফার বাসা ঘেরাও ও ভেতরে ঢোকার চেষ্টার ঘটনায়ও রাব্বির নাম উঠে আসে। ওই সময় বৈছার নেতাকর্মীরা গোলাম মোস্তফার বাসার সামনে জড়ো হয়ে সহিংসতা সৃষ্টি করে। পুলিশ এসে রাব্বিসহ কয়েকজনকে আটক করে। তবে পরদিন ধানমন্ডি থানায় গিয়ে এই চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষক হান্নান মাসউদ মুচলেকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে আনেন। এভাবে নিয়মিত সমন্বয়ক পদের ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। তাদের দাবি, সমন্বয়করা বারবার যেভাবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। প্রশাসনের উচিত
এসব কথিত সমন্বয়কদের বিররুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।
                    
                                                          
                    
                    
                                    উদ্দেশ্যই ছিল নিজেদের পকেট ভারী করার চিরস্থায়ী ব্যবস্থা করা। জানা যায়, গতকাল ২৮শে সেপ্টেম্বর, রোববার রাত ৯টার দিকে বসিলা এলাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে একটি মৃত শিশু জন্ম নেওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয় নাটকীয়তা। বৈছা সমন্বয়করা এসে হাসপাতাল মালিক শিল্পী আক্তারের কাছে চাঁদা দাবি করে এবং পরিবেশ উত্তপ্ত করার চেষ্টা চালায়। চাঁদা না দেওয়ায় হুমকি-ধামকির মাত্রা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে ফোন করলে তারা ঘটনাস্থলে এসে পাঁচজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন সাইফুল ইসলাম রাব্বি (২৮), হাসিবুর রহমান ফরহাদ (৩১), আবদুর রহমান মানিক (৩৭), আবু সুফিয়ান (২৯) ও মো. শাহিন (৩৮)। হাসপাতালের মালিক বলেন, ‘একটি দুঃখজনক ঘটনার সুযোগ নিয়ে তারা আমাকে এবং আমার ছেলেকে বারবার চাঁদা
দিতে চাপ দিচ্ছিল। আমি অস্বীকৃতি জানালে তারা আরো লোকজন নিয়ে আসে। তখন বাধ্য হয়ে সেনাবাহিনীকে ফোন করি।’ মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক বলেন, ‘সেনাবাহিনী পাঁচজনকে আটক করে আমাদের কাছে হস্থান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। একজন হাসপাতাল মালিক তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, যার ভিত্তিতে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’ উল্লেখ্য, আটক সাইফুল ইসলাম রাব্বি এর আগেও তার সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির সময় মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের হাতে আটক হন। তখন এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ নিজে থানায় গিয়ে মুচলেকার মাধ্যমে তাকে ছাড়িয়ে আনেন। পুলিশের ভাষ্যমতে, তাকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে না জড়ানোর শর্তে মুক্তি দেওয়া হলেও সে কথা রাখেনি। তাকে মুচলেকা দেওয়া
হান্নান মাসউদও কথা রাখেননি। অভিযোগ আছে সমন্বয়ক রাব্বীর চাঁদাবাজির টাকার ভাগ পান হান্নান মাসউদও। জানা গেছে, গত ১৯শে মে হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়রম্যান গোলাম মোস্তফার বাসা ঘেরাও ও ভেতরে ঢোকার চেষ্টার ঘটনায়ও রাব্বির নাম উঠে আসে। ওই সময় বৈছার নেতাকর্মীরা গোলাম মোস্তফার বাসার সামনে জড়ো হয়ে সহিংসতা সৃষ্টি করে। পুলিশ এসে রাব্বিসহ কয়েকজনকে আটক করে। তবে পরদিন ধানমন্ডি থানায় গিয়ে এই চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষক হান্নান মাসউদ মুচলেকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে আনেন। এভাবে নিয়মিত সমন্বয়ক পদের ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। তাদের দাবি, সমন্বয়করা বারবার যেভাবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। প্রশাসনের উচিত
এসব কথিত সমন্বয়কদের বিররুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।



