মিসরের পথে ইসরায়েলি আলোচকরা – ইউ এস বাংলা নিউজ




মিসরের পথে ইসরায়েলি আলোচকরা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৫:০৪ 50 ভিউ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা চলতি সপ্তাহেও চলবে। সেই আলোচনায় অংশ নিতে ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল কায়রোর উদ্দেশে রওনা হয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্য সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর হামাসকে নিয়ে করা মন্তব্যে নতুন করে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ লক্ষ্যকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন রুবিও। তিনি বলেছেন, ‘হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল করতে হবে’, যা ইতোমধ্যেই নাজুক যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। মধ্যপ্রাচ্য সফরের সূচনায় রোববার জেরুজালেমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অতীতের ক্লান্তিকর নীতিগুলোর পুনরাবৃত্তি না

করে কিছু নতুন প্রস্তাব এনেছেন। নেতানিয়াহু ট্রাম্পের এ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে একে ‘সাহসী’ উল্লেখ করে বলেন, তিনি ও ট্রাম্প ‘গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে অভিন্ন কৌশল’ অনুসরণ করছেন। এরই মধ্যে তেলআবিব থেকে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন মধ্যপ্রাচ্য সফরে থাকা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যেখানে তিনি রিয়াদে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিজের প্রথম সফরে আরব নেতাদের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে পারেন রুবিও। বিশেষ করে ট্রাম্পের বিতর্কিত গাজা পরিকল্পনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের নেতারা। গাজার ফিলিস্তিনি জনগণকে উচ্ছেদ করে অঞ্চলটি যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানায় পুনর্গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই পরিকল্পনাকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে অভিহিত করেছে। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক

বাস্তুচ্যুত করার জন্য ট্রাম্পের পরিকল্পনার নিন্দা করেছেন হিজবুল্লাহ মহাসচিব শেখ নাইম কাসেম। ট্রাম্পের এমন কঠোর নীতি রুখে দিতে আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রোববার টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তৃতায় কাসেম বলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজায় ১৫ মাসব্যাপী নৃশংস যুদ্ধ চালিয়েছেন। এখন নতুন করে ট্রাম্পের অবস্থান একটি ‘রাজনৈতিক গণহত্যা’ উপস্থাপন করে। অন্যদিকে, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী সোমবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরে নতুন করে সামরিক অভিযান চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ইসরায়েলি বাহিনী নাবলুসের পুরাতন শহর এলাকায় ঢুকে বেশ কয়েকটি বাড়ি তল্লাশি চালিয়েছে। সোমবার তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী ওই

এলাকায় একটি ফিলিস্তিনি গাড়ি জব্দ করার পর সেখান থেকে চলে যায়। এর আগেও রোববার নাবলুসের পুরাতন শহরে সামরিক অভিযান চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজায় ধ্বংসস্তূপে প্রতিদিনই মিলছে লাশ, বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে রোববার আরও ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকর্মীরা এ কথা জানিয়েছেন। এ নিয়ে গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৪৮ হাজার ২৭১ জনে পৌঁছেছে বলে রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় ৮০ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনিকে মানবঢাল হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করেছিল। তাঁর গলায় বিস্ফোরক বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কথামতো কাজ না করলে তাঁর মাথা উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ইসরায়েলি গণমাধ্যম ‘দ্য হটেস্ট

প্লেস ইন হেল’-এর অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর আলজাজিরা, বিবিসি ও রয়টার্সের।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
অঙ্কুশ নয়, বিক্রমের সঙ্গেই ঐন্দ্রিলাকে দেখতে চান সবাই লন্ডনের রাস্তায় পথচারীর সঙ্গে গল্প করলেন বিরাট-আনুশকা মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির ৫ দিনের রিমান্ডে জেলেনস্কিকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আশা ছাড়তে হবে: ট্রাম্প এনবিআরের আরও ৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত পুতিন ও জেলেনস্কিকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের উদ্যোগ ট্রাম্পের নির্বাচনের তারিখ জানাল মিয়ানমারের সামরিক সরকার মোদির তিন মন্ত্র কি ট্রাম্পের শুল্কঝড় সামলাতে পারবে? ভারতে পাচার হওয়া বাংলাদেশি তরুণী উদ্ধার, ৩ পাচারকারী গ্রেফতার পুরুষেরা শিকারি, ওরা নারীকে অন্তঃসত্ত্বা করে পালিয়ে যেতে পারে: কঙ্গনা হৃতিক বনাম রজনীকান্ত—কে কাকে টেক্কা দিচ্ছেন? স্বর্ণের অভিশাপে মৃত্যুপুরী তানজানিয়ার গ্রাম ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে যারা সৌদি যাবেন, তাদের জন্য সুখবর ট্রাম্প-জেলেনস্কির বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন জার্মানি ও ইইউ নেতারাও ফিটনেসবিহীন গাড়ি-অসুস্থ চালকে বাড়ছে দুর্ঘটনা নিউইয়র্কে ক্লাবে বন্দুকধারীর গুলি, নিহত ৩ চাঁপাইনবাবগঞ্জে তেলবাহী ট্রেনের ৫টি ওয়াগন লাইনচ্যুত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশ ‘এরিন’ কখন কোথায় আঘাত হানবে? মিয়ানমারের নির্বাচন ঘিরে ভারত–চীন প্রতিযোগিতা, নজর গোটা অঞ্চলের