
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

সচিবালয়ের সামনে লাঠিপেটায় আহত ৪৩ শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেলে

আই ডোন্ট কেয়ার ইয়োর প্রোপাগান্ডা, আই ডোন্ট গিভ আ ফাক টু ইয়োর ফ্রেমড ন্যারেটিভ

মান বিধ্বস্ত: ছাত্রলীগের মানবিক ভূমিকায় প্রশংসা, চিকিৎসা বিঘ্নকারীদের বিরুদ্ধে জনরোষ

মাইলস্টোনে প্রেস সচিবসহ দুই উপদেষ্টা অবরুদ্ধ, “ভুয়া ভুয়া স্লোগান

এ মুহূর্তে দগ্ধদের জন্য যা করণীয়

মাইলস্টোনে উৎসুক মানুষের ভিড়

রাষ্ট্রীয় শোক আজ, সারাদেশে বিশেষ প্রার্থনা
‘মা হাসপাতাল এত দূরে কেন’

‘মা হাসপাতাল এত দূরে কেন? হাসপাতাল কাছাকাছি হতে পারে না। আমাকে তোমরা চিকিৎসা করাতে বিদেশে নিয়ে যাও।’ এটা ছিল ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ ছামীমের (১৩) শেষ কথা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ কথা জানান আব্দুল্লাহর মা জুলেখা বেগম। আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘আমার বাবাটা বাঁচতে চাইছিল। কেন তাকে এভাবে চলে যেতে হলো। ওর বাবা মারা গেল সাত মাস আগে। আমি এই শোক কীভাবে সহ্য করব।’
আব্দুল্লাহ ছামীম শরীয়তপুরের সখিপুর উপজেলার ডিএমখালী মাঝিকান্দি এলাকার মৃত আবুল কালাম মাঝির ছেলে। সোমবার দুপুরে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় সে। সহপাঠীদের সঙ্গে তাকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়।
রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকালে মরদেহ গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের ডিএমখালী মাঝি কান্দিতে আনা হয়। সকাল ৯টায় ডিএমখালী চরভয়রা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার পাশে সমাহিত করা হয়। আব্দুল্লাহর এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজন ও এলাকাবাসী। জানা গেছে, আবুল কালাম মাঝি ও জুলেখা বেগম দম্পতির সন্তান আব্দুল্লাহ ছামীম। পরিবারের সঙ্গে ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ী খালপাড় এলাকায় থাকত সে। ভাইবোনদের মধ্যে সবার ছোট আব্দুল্লাহর স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। মাদ্রাসায় শিক্ষাজীবন শুরু করলেও পড়াশোনায় ভালো হওয়ায় তাকে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি করে পরিবার। গত ডিসেম্বর মাসে সৌদিতে মারা যান বাবা আবুল কালাম মাঝি। এর সাত
মাস না পেরোতেই চলে গেল পরিবারের আদরের ছোট্ট আব্দুল্লাহ। আব্দুল্লাহ ছামীমের মামাতো ভাই বারেক বলেন, সবার আদরের ছিল আব্দুল্লাহ। সাত মাস আগে সৌদি আরবে ওর বাবা মারা যান। সেই শোক কাটাতে না কাটাতে সে আমাদের ছেড়ে চলে গেল। সবাই দোয়া করবেন, যাতে আল্লাহ ওকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন। আব্দুল্লাহর মামা সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম বলেন, আব্দুল্লাহর প্রবাসী বাবার স্বপ্ন ছিল সে চিকিৎসক হবে। বাবার মৃত্যুর পর ওকে সবাই আগলে রেখেছিলাম। আমরা তাকে রক্ষা করতে পারলাম না। তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো না। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। ভেদরগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মোহাম্মদ মোজাহেরুল হক বলেন, একটি মর্মান্তিক ঘটনায় ঝরে
গেল আব্দুল্লাহসহ অনেক শিশুর জীবন। আমরা আব্দুল্লাহর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। যে কোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে আছি।
রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকালে মরদেহ গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের ডিএমখালী মাঝি কান্দিতে আনা হয়। সকাল ৯টায় ডিএমখালী চরভয়রা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার পাশে সমাহিত করা হয়। আব্দুল্লাহর এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজন ও এলাকাবাসী। জানা গেছে, আবুল কালাম মাঝি ও জুলেখা বেগম দম্পতির সন্তান আব্দুল্লাহ ছামীম। পরিবারের সঙ্গে ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ী খালপাড় এলাকায় থাকত সে। ভাইবোনদের মধ্যে সবার ছোট আব্দুল্লাহর স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। মাদ্রাসায় শিক্ষাজীবন শুরু করলেও পড়াশোনায় ভালো হওয়ায় তাকে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি করে পরিবার। গত ডিসেম্বর মাসে সৌদিতে মারা যান বাবা আবুল কালাম মাঝি। এর সাত
মাস না পেরোতেই চলে গেল পরিবারের আদরের ছোট্ট আব্দুল্লাহ। আব্দুল্লাহ ছামীমের মামাতো ভাই বারেক বলেন, সবার আদরের ছিল আব্দুল্লাহ। সাত মাস আগে সৌদি আরবে ওর বাবা মারা যান। সেই শোক কাটাতে না কাটাতে সে আমাদের ছেড়ে চলে গেল। সবাই দোয়া করবেন, যাতে আল্লাহ ওকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন। আব্দুল্লাহর মামা সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম বলেন, আব্দুল্লাহর প্রবাসী বাবার স্বপ্ন ছিল সে চিকিৎসক হবে। বাবার মৃত্যুর পর ওকে সবাই আগলে রেখেছিলাম। আমরা তাকে রক্ষা করতে পারলাম না। তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো না। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। ভেদরগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মোহাম্মদ মোজাহেরুল হক বলেন, একটি মর্মান্তিক ঘটনায় ঝরে
গেল আব্দুল্লাহসহ অনেক শিশুর জীবন। আমরা আব্দুল্লাহর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। যে কোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে আছি।