মাস্কের নাগরিকত্ব বাতিল চান দেড় লাখ কানাডিয়ান – ইউ এস বাংলা নিউজ




মাস্কের নাগরিকত্ব বাতিল চান দেড় লাখ কানাডিয়ান

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৬:০৭ 28 ভিউ
বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের কানাডার নাগরিকত্ব বাতিল করতে দেশটির দেড় লাখের বেশি নাগরিক একটি পার্লামেন্টারি পিটিশনে সই করেছেন। তাদের যুক্তি, মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র, আর ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে কানাডার স্বাধীনতা হুমকির মুখে ফেলে দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার হুমকি দিয়ে আসছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার লেখক কোয়ালিয়া রিড এ পিটিশনটি কানাডার হাউস অব কমন্সে উত্থাপন করেন। নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির এমপি ও মাস্কের সমালোচক চার্লি অ্যাঙ্গাসের অর্থায়নে এ পিটিশনটি পরিচালিত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া মাস্ক বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি টেসলা, স্পেসএক্স এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এর প্রধান। তার মায়ের সূত্র ধরে

তিনি কানাডার নাগরিক। মাস্কের মায়ের জন্মস্থান কানাডার সাসকাচোওয়ান প্রদেশের রাজধানী রেজিনা। ইলন মাস্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরামর্শদাতার পাশাপাশি মার্কিন সরকারের নতুন অঙ্গ সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের আকার কমানোর পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প বারবার কানাডার সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করে আসছেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি দাখিল করা রিডের পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছে, মাস্ক ‘ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে কানাডার জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত’ হয়েছেন। ট্রাম্প কানাডার পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটি সংযুক্ত করার বিষয়ে প্রকাশ্যে দম্ভোক্তি করে

কানাডার ৪ কোটি মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছেন। পিটিশনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া মানে মাস্ক এমন এক ‘বিদেশি সরকারের সদস্য, যারা কানাডার সার্বভৌমত্ব মুছে ফেলতে চায়।’ এই পিটিশনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কাছে মাস্কের নাগরিকত্ব অবিলম্বে বাতিল করার এবং তাঁর কানাডীয় পাসপোর্ট প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়েছে। ট্রাম্প আগেও ট্রুডোকে ব্যঙ্গ করে ‘গভর্নর’ বলেছেন। এই শব্দটি সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রধান নির্বাহীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, ট্রুডো লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর মাস্ক এক্সে ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। কানাডার সংবাদমাধ্যম কানাডীয় প্রেস জানিয়েছে, সাধারণত এ ধরনের পিটিশনটি স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য কমপক্ষে ৫০০ স্বাক্ষর প্রয়োজন, যাতে এটি হাউস অব কমন্সে

উপস্থাপন করা যায় এবং সরকারিভাবে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। রিডের পিটিশন সহজেই এই শর্ত পূরণ করেছে এবং রোববার রাত পর্যন্ত এতে প্রায় ১ লাখ ৫৭ হাজার স্বাক্ষর পড়েছে এবং ক্রমাগত বাড়ছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
১০ বছরের সাজায় ১৯ বছর পলাতক, তবুও… আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নতুন কর্মসূচি দিল এনসিপি তোমার নানাকে বইলো লাখ পাঁচেক টাকা দিতে এনসিপি নেতা গাজী সালাউদ্দিনকে অব্যাহতি ইয়েমেনের পাল্টা হামলা বন্ধ করা অসম্ভব কেন? জানালেন মার্কিন বিশ্লেষক পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ৬ দফা, চট্টগ্রামে আমরণ অনশন কর্মসূচির হুঁ আমরণ অনশনে চবির চারুকলার শিক্ষার্থীরা গণিত পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় হাজীগঞ্জে কেন্দ্র ভাঙচুর আইজিপির সঙ্গে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ ভোলা-বরিশাল সেতুর দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ নতুন পোপ নির্বাচনে ভ্যাটিকানের রহস্যঘেরা প্রক্রিয়া ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় যেসব নির্দেশনা মানতে হবে গাজার ‘ভয়াবহ অবিচার’ হচ্ছে, বললেন মিসরের কপটিক পোপ ‘বিসিবি আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিয়েছে’ ১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড উচ্চতায় সোনার দাম, প্রভাব পড়বে বাংলাদেশেও! দ্বিতীয় দিন শেষে ২৫ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ সালাহ-ভিনিরা পিছিয়ে গেছেন, ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে এখন এগিয়ে কারা সরাসরি ঢাকা থেকে রিয়াদে ফ্লাইট চালু করল ইউএস-বাংলা শিগগিরই বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ