
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

রাশিয়ায় ৬শ’ বছর পর জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সুনামি সতর্কতা

যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি উড়িয়ে রাশিয়ার তেলে নির্ভরতা চালিয়ে যাবে ভারত

রাফাল ধ্বংসে চীনা প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহার পাকিস্তানের

যেভাবে ‘তীব্র আকাশযুদ্ধে’ ভারতের রাফাল ভূপাতিত করে পাকিস্তান

পাকিস্তানে খনিজ তেলের বিশাল ভাণ্ডার : ডোনাল্ড ট্রাম্প

ট্রাম্পের তোপে চরম অস্বস্তিতে নয়াদিল্লি

পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৫ শিশু নিহত
মায়ের সঙ্গে প্রেম করে মেয়েকে বিয়ে, পরে দু’জনকেই পুড়িয়ে হত্যা!

মায়ের সঙ্গে প্রেম করে মেয়েকে বিয়ে, পরে দু’জনকেই শ্বাসরোধ করে খুনের পর পুড়িয়ে হত্যা করেন প্রেমিক। এ ঘটনার ৫ বছর পর চার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। ৪৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের শেষে মা-মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দেওয়া হল।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, রমা নামের চল্লিশার্ধ্বো এক নারী তার পূর্ব পরিচিত সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে ওই মহিলা এবং তাঁর তরুণী মেয়ের থাকার জন্য তিনি বাড়ি ভাড়া করেন। কিন্তু মায়ের সঙ্গে প্রণয়ের পর তার মেয়ে রিয়ার প্রেমে পড়েন সাদ্দাম। পরে বিয়েও করেন তাকে। বিয়ের পর রিয়ার নাম হয় জেসিকা।
কিন্তু মা ও মেয়ের সঙ্গে ‘জটিল’ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর সেখান থেকে বেরোতে চাইছিলেন সাদ্দাম। তিনি ঠিক করেন স্ত্রী এবং শাশুড়িকে খুন করবেন। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি ফার্স্ট ফুডের দোকান থেকে খাবার কিনে এনেছিলেন সাদ্দাম। খাবারে প্রচুর পরিমাণে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ‘দুই প্রেমিকা’কে খাওয়ান। তার পর শ্বাসরোধ করে মা-মেয়েকে খুন করেন তিনি। প্রমাণ লোপাটের জন্য দু’টি দেহ নিজের গাড়িতে তোলেন। তার পর একটি ইটভাটায় নিয়ে গিয়ে দুটো দেহ পোড়ানোর চেষ্টা করেন। সাদ্দামের ব্যবহৃত গাড়ি এবং সেই ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। ঘটনাক্রমে সাদ্দামের সহযোগীদের নামও জানা যায়। তাঁরা হলেন মঞ্জুর আলম মল্লিক,
শুকদেব দাস ওরফে শিবু এবং আমিনুর হোসেন ওরফে ছিন্টু। চার জনকেই গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন এবং প্রমাণ লোপাটের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে ধৃতদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগই প্রমাণিত হয়। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে নদীর ধারে একটি ইটভাটায় কিছু পোড়ানো হচ্ছে দেখে স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা সেখানে এগিয়ে যান। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা চমকে ওঠেন। দেখেন, দুই মহিলাকে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে! সঙ্গে সঙ্গে ওই খবর ছড়িয়ে যায়। স্থানীয় কাউন্সিলর ওই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দগ্ধ দুই মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। সেই সঙ্গে ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাদ্দামকে পাকড়াও
করে পুলিশ। তার ব্যবহৃত গাড়ি এবং সেই ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। ঘটনাক্রমে সাদ্দামের সহযোগী মঞ্জুর আলম মল্লিক, শুকদেব দাস ওরফে শিবু এবং আমিনুর হোসেন ওরফে সিন্টুর নামও জানা যায়। দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) এবং ২০১ (প্রমাণ লোপাট) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ভারতের পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার ঝিকুড়খালিতে সংঘটিত এ নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে যাবজ্জীবন সাজা দেয় তমলুক আদালত।
কিন্তু মা ও মেয়ের সঙ্গে ‘জটিল’ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর সেখান থেকে বেরোতে চাইছিলেন সাদ্দাম। তিনি ঠিক করেন স্ত্রী এবং শাশুড়িকে খুন করবেন। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি ফার্স্ট ফুডের দোকান থেকে খাবার কিনে এনেছিলেন সাদ্দাম। খাবারে প্রচুর পরিমাণে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ‘দুই প্রেমিকা’কে খাওয়ান। তার পর শ্বাসরোধ করে মা-মেয়েকে খুন করেন তিনি। প্রমাণ লোপাটের জন্য দু’টি দেহ নিজের গাড়িতে তোলেন। তার পর একটি ইটভাটায় নিয়ে গিয়ে দুটো দেহ পোড়ানোর চেষ্টা করেন। সাদ্দামের ব্যবহৃত গাড়ি এবং সেই ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। ঘটনাক্রমে সাদ্দামের সহযোগীদের নামও জানা যায়। তাঁরা হলেন মঞ্জুর আলম মল্লিক,
শুকদেব দাস ওরফে শিবু এবং আমিনুর হোসেন ওরফে ছিন্টু। চার জনকেই গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন এবং প্রমাণ লোপাটের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে ধৃতদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগই প্রমাণিত হয়। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে নদীর ধারে একটি ইটভাটায় কিছু পোড়ানো হচ্ছে দেখে স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা সেখানে এগিয়ে যান। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা চমকে ওঠেন। দেখেন, দুই মহিলাকে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে! সঙ্গে সঙ্গে ওই খবর ছড়িয়ে যায়। স্থানীয় কাউন্সিলর ওই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দগ্ধ দুই মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। সেই সঙ্গে ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাদ্দামকে পাকড়াও
করে পুলিশ। তার ব্যবহৃত গাড়ি এবং সেই ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। ঘটনাক্রমে সাদ্দামের সহযোগী মঞ্জুর আলম মল্লিক, শুকদেব দাস ওরফে শিবু এবং আমিনুর হোসেন ওরফে সিন্টুর নামও জানা যায়। দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) এবং ২০১ (প্রমাণ লোপাট) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ভারতের পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার ঝিকুড়খালিতে সংঘটিত এ নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে যাবজ্জীবন সাজা দেয় তমলুক আদালত।