ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ভারতের কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশে’ চলছে হাহাকার
পুতিনের নজরে এ বার অন্য প্রতিবেশী!
পুতিনের নজরে এ বার অন্য প্রতিবেশী!
৪০ বছরে বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ ইসরায়েল, মাথাপিছু আয় ৪২ লক্ষ!
৫.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ভারত
বোমা মেরে তাজমহল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি; নিরাপত্তা জোরদার
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের উত্তেজনা
ভেসে আসে হাজার টন মরা মাছ! রহস্য অধরা আজও
বন্দরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তাকালেই চোখে পড়েছিল লাখ লাখ রুপোলি মরা মাছের দেহ। ঢেউয়ের ধাক্কায় ভেসে আসছিল নির্জন তীরে। মাছের শবদেহে ছাপিয়ে যায় পুরো উপকূল। সাদা মরা মাছের ভিড়ে সমুদ্রসৈকতের অস্তিত্বই তখন খুঁজে পাওয়া ভার।
এমন অভূতপূর্ব দৃশ্য আগে কখনও দেখেননি স্থানীয়েরা। ২০২৩ সালের শেষ দিকে উত্তর জাপানের প্রধান দ্বীপের দক্ষিণ হাকোদার টোই বন্দরের এক কিলোমিটার জুড়ে তখন শুধুই মরা মাছের মিছিল।
সকালে এই দৃশ্য দেখে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন সবাই। টন টন মাছ ভেসে আসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রচুর মাছ তুলে নিয়ে যেতে শুরু করেন। যে যেমন ভাবে যতটা পেরেছেন, ততটা মাছ তুলে নিয়ে গিয়েছেন। মাছ ধরার হিড়িক পড়ে যায় স্থানীয়দের মধ্যে।
এতে অবস্থা
সঙ্গিন হতে পারে বুঝতে পেরে স্থানীয় মানুষজনকে সেই মাছ না খাওয়ার জন্য অনুরোধ করে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসনের ধারণা, কমপক্ষে এক হাজার টন সার্ডিন মাছ এবং বহু ম্যাকারেল মাছ উপকূলে ভেসে উঠেছে। পরবর্তী কালে এই পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর হঠাৎ করেই কয়েক হাজার টন মরা মাছ ভেসে রয়েছে সমুদ্রের তীরবর্তী অংশে। মরা মাছের দুর্গন্ধে টিকতে পারছিলেন না স্থানীয়েরা। কী কারণে মাছেদের এই মৃত্যু মিছিল তা আন্দাজ করা সম্ভব হয়নি। প্রশাসনের আশঙ্কা ছিল, এই মরা মাছ সমুদ্রের জলে অক্সিজেন কমিয়ে দিতে পরে। এর ফলে সামুদ্রিক পরিবেশ প্রভাবিত হতে পারে। মরা মাছ থেকে ছড়াতে পারে মারাত্মক দূষণ, আশঙ্কা করেছিলেন পরিবেশবিদেরাও। সমুদ্রবন্দরের
বিশাল এলাকা জুড়ে ভেসে থাকা মাছ সরাতে প্রচুর কর্মী নিয়োগ করে প্রশাসন। হাজার হাজার কেজি মরা মাছে সরাতে রীতিমতো হিমশিম অবস্থা হয় স্থানীয় প্রশাসনের। চাষ করা মাছের খাদ্য বা সার হিসাবেও এগুলি ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়ে দেয় মৎস্য দফতর। অনেক বাসিন্দা সতর্কতা সত্ত্বেও মরা মাছ বিক্রি বা খাওয়ার জন্য সংগ্রহ করতে শুরু করেন। স্থানীয়দের আটকাতে ভেসে আসা মাছগুলি পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। মরা মাছের কারণে বন্দরে ও আশপাশের সমুদ্রের জল দূষিত হতে শুরু করে। এত মাছের মৃত্যুর কারণ কী? জল কি বিষিয়ে গিয়েছিল? না কি মাছের মৃত্যুমিছিলের নেপথ্যে ছিল অন্য কোনও রহস্য? বিতর্ক শুরু হয় সংবাদমাধ্যম ‘ডেলি মেল’-এ একটি প্রতিবেদন
প্রকাশিত হওয়ার পর। সেই প্রতিবেদন জাপানের সরকারি কর্তারা জানিয়েছিলেন, ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রর শোধিত জলের সঙ্গে এই মড়কের সম্পর্ক থাকতে পারে। কারণ হিসাবে বলে হয়, এই পারমাণবিক প্রকল্প থেকে জল ছাড়ার পর চার মাসের মধ্যেই মরা মাছ ভাসতে দেখা গিয়েছিল। রাজধানী টোকিয়ো থেকে প্রায় ২২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওকুমা শহরে রয়েছে ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। ২০১১ সালে ভূমিকম্প এবং সুনামির জেরে ভয়াবহ পরমাণু বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ওই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। বন্ধ করে দেওয়া হয় পারমাণবিক চুল্লিটি। পারমাণবিক ধ্বংসস্তুপের উত্তাপ কমাতে পাম্পের মাধ্যমে ঠান্ডা জল প্রবাহিত করা হয়। মাটিতে জমা জল ও বৃষ্টির জল তাতে প্রবেশ করায় বর্জ্য জলের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার
সংরক্ষণ ও পরিশোধনের প্রয়োজন ছিল। এখনও সেখানে পরমাণু বর্জ্য, জ্বালানি এবং ১০ লক্ষ টনেরও বেশি তেজস্ক্রিয় জল রয়েছে। সেই জল পরিশোধনের পরও তাতে অল্প পরিমাণে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ট্রিটিয়াম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তেজস্ক্রিয় মেশানো জল প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা অবশ্য এতে তেমন গুরুতর কিছু দেখেনি। তারা জানিয়েছে, পরিশোধিত জল মহাসাগরে ফেললে তা মানুষ ও পরিবেশের ওপর তেমন প্রভাব ফেলে না। জাপানি মৎস্য সংস্থার এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা অপ্রমাণিত তথ্য নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। কারণ সমুদ্রের জলের পরীক্ষার ফলাফলে কোনও অস্বাভাবিকতা পাওয়া যায়নি। কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণের উপর ভিত্তি না করে ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেছেন। জাপানি পরিবেশ বিশ্লেষকেরা
জানিয়েছিলেন, এই মাছগুলি মূলত জাপানি সার্ডিন ও ম্যাকারেল জাতীয়। সার্ডিনগুলি দৈর্ঘ্যে ১৫ থেকে ২২ সেন্টিমিটার ও ম্যাকারেলগুলি ২৭ থেকে ৩৭ সেন্টিমিটার লম্বা। জাপানের মৎস্য গবেষণাগারের আধিকারিকদের মতে, এই মাছগুলি দক্ষিণে হোনশুর দ্বীপের দিকে এগোচ্ছিল। সম্ভবত হঠাৎ ঠান্ডা জলে ঢুকে পড়ে বিশাল মাছের ঝাঁক। সমুদ্রের জলের তাপমাত্রার হেরফেরের ফলে সেগুলি মারা গিয়েছে। বড় মাছ তাড়া করার সময় মাছগুলো ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে অথবা বিশাল ঝাঁক বেঁধে চলার সময় অক্সিজেনের অভাব হতে পারে, এমনটাও জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে মাছগুলোর মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও অজানা। ২৫ বছর ধরে এই বন্দরে মাছ ধরার কাজ করছেন মাইনিচি শিম্বুন। তিনি জানিয়েছিলেন, এই ধরনের ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি। বিপুল
পরিমাণ মরা মাছ ভেসে আসার ঘটনায় সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের পরিবর্তন ঘটার আশঙ্কা করেছেন তিনি।
সঙ্গিন হতে পারে বুঝতে পেরে স্থানীয় মানুষজনকে সেই মাছ না খাওয়ার জন্য অনুরোধ করে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসনের ধারণা, কমপক্ষে এক হাজার টন সার্ডিন মাছ এবং বহু ম্যাকারেল মাছ উপকূলে ভেসে উঠেছে। পরবর্তী কালে এই পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর হঠাৎ করেই কয়েক হাজার টন মরা মাছ ভেসে রয়েছে সমুদ্রের তীরবর্তী অংশে। মরা মাছের দুর্গন্ধে টিকতে পারছিলেন না স্থানীয়েরা। কী কারণে মাছেদের এই মৃত্যু মিছিল তা আন্দাজ করা সম্ভব হয়নি। প্রশাসনের আশঙ্কা ছিল, এই মরা মাছ সমুদ্রের জলে অক্সিজেন কমিয়ে দিতে পরে। এর ফলে সামুদ্রিক পরিবেশ প্রভাবিত হতে পারে। মরা মাছ থেকে ছড়াতে পারে মারাত্মক দূষণ, আশঙ্কা করেছিলেন পরিবেশবিদেরাও। সমুদ্রবন্দরের
বিশাল এলাকা জুড়ে ভেসে থাকা মাছ সরাতে প্রচুর কর্মী নিয়োগ করে প্রশাসন। হাজার হাজার কেজি মরা মাছে সরাতে রীতিমতো হিমশিম অবস্থা হয় স্থানীয় প্রশাসনের। চাষ করা মাছের খাদ্য বা সার হিসাবেও এগুলি ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়ে দেয় মৎস্য দফতর। অনেক বাসিন্দা সতর্কতা সত্ত্বেও মরা মাছ বিক্রি বা খাওয়ার জন্য সংগ্রহ করতে শুরু করেন। স্থানীয়দের আটকাতে ভেসে আসা মাছগুলি পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। মরা মাছের কারণে বন্দরে ও আশপাশের সমুদ্রের জল দূষিত হতে শুরু করে। এত মাছের মৃত্যুর কারণ কী? জল কি বিষিয়ে গিয়েছিল? না কি মাছের মৃত্যুমিছিলের নেপথ্যে ছিল অন্য কোনও রহস্য? বিতর্ক শুরু হয় সংবাদমাধ্যম ‘ডেলি মেল’-এ একটি প্রতিবেদন
প্রকাশিত হওয়ার পর। সেই প্রতিবেদন জাপানের সরকারি কর্তারা জানিয়েছিলেন, ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রর শোধিত জলের সঙ্গে এই মড়কের সম্পর্ক থাকতে পারে। কারণ হিসাবে বলে হয়, এই পারমাণবিক প্রকল্প থেকে জল ছাড়ার পর চার মাসের মধ্যেই মরা মাছ ভাসতে দেখা গিয়েছিল। রাজধানী টোকিয়ো থেকে প্রায় ২২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওকুমা শহরে রয়েছে ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। ২০১১ সালে ভূমিকম্প এবং সুনামির জেরে ভয়াবহ পরমাণু বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ওই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। বন্ধ করে দেওয়া হয় পারমাণবিক চুল্লিটি। পারমাণবিক ধ্বংসস্তুপের উত্তাপ কমাতে পাম্পের মাধ্যমে ঠান্ডা জল প্রবাহিত করা হয়। মাটিতে জমা জল ও বৃষ্টির জল তাতে প্রবেশ করায় বর্জ্য জলের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার
সংরক্ষণ ও পরিশোধনের প্রয়োজন ছিল। এখনও সেখানে পরমাণু বর্জ্য, জ্বালানি এবং ১০ লক্ষ টনেরও বেশি তেজস্ক্রিয় জল রয়েছে। সেই জল পরিশোধনের পরও তাতে অল্প পরিমাণে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ট্রিটিয়াম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তেজস্ক্রিয় মেশানো জল প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা অবশ্য এতে তেমন গুরুতর কিছু দেখেনি। তারা জানিয়েছে, পরিশোধিত জল মহাসাগরে ফেললে তা মানুষ ও পরিবেশের ওপর তেমন প্রভাব ফেলে না। জাপানি মৎস্য সংস্থার এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা অপ্রমাণিত তথ্য নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। কারণ সমুদ্রের জলের পরীক্ষার ফলাফলে কোনও অস্বাভাবিকতা পাওয়া যায়নি। কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণের উপর ভিত্তি না করে ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেছেন। জাপানি পরিবেশ বিশ্লেষকেরা
জানিয়েছিলেন, এই মাছগুলি মূলত জাপানি সার্ডিন ও ম্যাকারেল জাতীয়। সার্ডিনগুলি দৈর্ঘ্যে ১৫ থেকে ২২ সেন্টিমিটার ও ম্যাকারেলগুলি ২৭ থেকে ৩৭ সেন্টিমিটার লম্বা। জাপানের মৎস্য গবেষণাগারের আধিকারিকদের মতে, এই মাছগুলি দক্ষিণে হোনশুর দ্বীপের দিকে এগোচ্ছিল। সম্ভবত হঠাৎ ঠান্ডা জলে ঢুকে পড়ে বিশাল মাছের ঝাঁক। সমুদ্রের জলের তাপমাত্রার হেরফেরের ফলে সেগুলি মারা গিয়েছে। বড় মাছ তাড়া করার সময় মাছগুলো ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে অথবা বিশাল ঝাঁক বেঁধে চলার সময় অক্সিজেনের অভাব হতে পারে, এমনটাও জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে মাছগুলোর মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও অজানা। ২৫ বছর ধরে এই বন্দরে মাছ ধরার কাজ করছেন মাইনিচি শিম্বুন। তিনি জানিয়েছিলেন, এই ধরনের ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি। বিপুল
পরিমাণ মরা মাছ ভেসে আসার ঘটনায় সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের পরিবর্তন ঘটার আশঙ্কা করেছেন তিনি।