ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন হচ্ছে আরও সিএপিএফ বাহিনী
পুতিনের নিশানায় এ বার আমেরিকা, ইউরোপ
ঝাড়খণ্ডে ‘বাংলাদেশি কার্ড’ খেলেও লাভ হলো না বিজেপির
নিজেকে ‘পাহারাদার’ দাবি করে যা বললেন মমতা
বলিভিয়ায় অভ্যুত্থানে ট্রাম্পকে দায়ী করলেন মোরালেস
যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে এশিয়ার এই শহর, বাড়ছে ভিড়
পুতিনের নিশানায় এ বার আমেরিকা, ইউরোপ
ভারতে সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে হত্যা
মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পূর্ব এলাকার নির্মল নগরে কোলগেট মাঠের কাছে তাকে গুলি করে আততায়ীরা। খবর ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইর
খবরে বলা হয়েছে, ছেলের অফিস থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠার সময় বন্দুকধারীরা তাকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি ছোড়ে। এর মধ্যে চারটি গুলি আঘাত করে ৬৬ বছর বয়সী সাবেক এই মন্ত্রীকে। হামলার পর দ্রুত তাকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
নিউজ১৮-এর খবরে বলা হয়েছে, ১৫ দিন আগে খুনের হুমকি পান বাবা সিদ্দিকি। প্রাণহানির হুমকি পাওয়ার পর তাকে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তাও দেওয়া হয়৷
কী কারণে তার ওপর হামলার ঘটনা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে হামলায় জড়িত তিনজনের মধ্যে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুজন দাবি করেছেন, তারা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য। বাবা সিদ্দিককে হত্যার জন্য তাদের অগ্রিম তিন লাখ রুপি দেওয়া হয়েছিল। এই হত্যার চুক্তি নেওয়া চারজনের মধ্যে সেই অর্থ ভাগ হয়। একাধিক সূত্রের ভাষ্য, তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তি পরিকল্পিত এই হত্যার কয়েক দিন আগে কুরিয়ারের মাধ্যমে অস্ত্র হাতে পেয়েছিলেন। তিন শুটার দুই মাস ধরে মুম্বাইয়ের কুরলা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। বাসাভাড়া ছিল মাসে ১৪ হাজার রুপি। সূত্র বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুই সন্দেহভাজন দাবি করেন, তারা প্রায় এক মাস
ধরে বান্দ্রা পূর্বের শুটিং স্পটটি (গুলির স্থান) রেকি করেছিলেন। তারা বাবা সিদ্দিকির বাড়ি ও অফিস অনেক আগেই রেকি করেন। সূত্র আরও জানায়, তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তি একটি অটোরিকশায় করে শুটিং স্পটে এসেছিলেন। শুটিংয়ের আগে তারা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছিলেন। পুলিশের ধারণা, বাবা সিদ্দিকির অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য অন্য কেউ এই তিন শুটারকে দিচ্ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ত্যাগ করেন সিদ্দিকি। যোগ দেন অজিত শিবিরে। তবে তার আগে প্রায় পাঁচ দশক কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন সিদ্দিকি। সত্তরের দশকে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন থেকে মূল স্রোতের রাজনীতিতে এসেছিলেন তিনি। বাবা সিদ্দিকি ১৯৯৯ সালে প্রথম বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। বান্দ্রা এলাকার জনপ্রিয় নেতা তিনি। ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনবার ভোটে
জিতলেও ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে বান্দ্রা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে তিনি হেরে গিয়েছিলেন। বাবা সিদ্দিকি ২০০০ সালে কংগ্রেস-অবিভক্ত এনসিপি সরকারের খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ, শ্রম, খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এবং ভোক্তা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সিদ্দিকি শুধু রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত নন। বলিউডের সঙ্গে তার যোগাযোগ নিয়ে চর্চা আছে মুম্বাইয়ে। বিভিন্ন সময়ে তার দেওয়া জমকালো পার্টিতে বহু তারকাকে দেখা গেছে। ২০১৩ সালে তার পার্টিতেই অভিমান ভাঙে শাহরুখ খান এবং সালমান খানের। দুই খানকে দুপাশে নিয়ে তোলা তার ছবি স্মরণীয় হয়ে আছে।
কী কারণে তার ওপর হামলার ঘটনা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে হামলায় জড়িত তিনজনের মধ্যে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুজন দাবি করেছেন, তারা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য। বাবা সিদ্দিককে হত্যার জন্য তাদের অগ্রিম তিন লাখ রুপি দেওয়া হয়েছিল। এই হত্যার চুক্তি নেওয়া চারজনের মধ্যে সেই অর্থ ভাগ হয়। একাধিক সূত্রের ভাষ্য, তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তি পরিকল্পিত এই হত্যার কয়েক দিন আগে কুরিয়ারের মাধ্যমে অস্ত্র হাতে পেয়েছিলেন। তিন শুটার দুই মাস ধরে মুম্বাইয়ের কুরলা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। বাসাভাড়া ছিল মাসে ১৪ হাজার রুপি। সূত্র বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুই সন্দেহভাজন দাবি করেন, তারা প্রায় এক মাস
ধরে বান্দ্রা পূর্বের শুটিং স্পটটি (গুলির স্থান) রেকি করেছিলেন। তারা বাবা সিদ্দিকির বাড়ি ও অফিস অনেক আগেই রেকি করেন। সূত্র আরও জানায়, তিন সন্দেহভাজন ব্যক্তি একটি অটোরিকশায় করে শুটিং স্পটে এসেছিলেন। শুটিংয়ের আগে তারা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছিলেন। পুলিশের ধারণা, বাবা সিদ্দিকির অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য অন্য কেউ এই তিন শুটারকে দিচ্ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ত্যাগ করেন সিদ্দিকি। যোগ দেন অজিত শিবিরে। তবে তার আগে প্রায় পাঁচ দশক কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন সিদ্দিকি। সত্তরের দশকে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন থেকে মূল স্রোতের রাজনীতিতে এসেছিলেন তিনি। বাবা সিদ্দিকি ১৯৯৯ সালে প্রথম বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। বান্দ্রা এলাকার জনপ্রিয় নেতা তিনি। ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনবার ভোটে
জিতলেও ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে বান্দ্রা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে তিনি হেরে গিয়েছিলেন। বাবা সিদ্দিকি ২০০০ সালে কংগ্রেস-অবিভক্ত এনসিপি সরকারের খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ, শ্রম, খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এবং ভোক্তা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সিদ্দিকি শুধু রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত নন। বলিউডের সঙ্গে তার যোগাযোগ নিয়ে চর্চা আছে মুম্বাইয়ে। বিভিন্ন সময়ে তার দেওয়া জমকালো পার্টিতে বহু তারকাকে দেখা গেছে। ২০১৩ সালে তার পার্টিতেই অভিমান ভাঙে শাহরুখ খান এবং সালমান খানের। দুই খানকে দুপাশে নিয়ে তোলা তার ছবি স্মরণীয় হয়ে আছে।