ভারতীয় ভিসা বন্ধে বিরূপ প্রভাব ভ্রমণ খাতে – ইউ এস বাংলা নিউজ




ভারতীয় ভিসা বন্ধে বিরূপ প্রভাব ভ্রমণ খাতে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:২৫ 16 ভিউ
ভারতীয় ভিসা প্রাপ্তিতে নানা প্রতিবন্ধকতায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে দুই দেশের মধ্যে একেবারে কমে এসেছে পাসপোর্টধারী চলাচল। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে ভ্রমণ খাতে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের ক্ষতির পাশাপাশি অচলাবস্থা নেমে এসেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পেও। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে ভারতে গেছেন ১৪৭১ জন পাসপোর্টধারী। এর মধ্যে বাংলাদেশি ছিলেন ১ হাজার ১৯৪ জন, ভারতীয় ২৭৪, জাপানের ২ ও একজন পাসপোর্টধারী ছিলেন নেপালের। এদিকে খুলনা-কলকাতা রুটে ‘বন্ধন’ রেলে যাত্রীসেবা এখনও বন্ধ থাকায় নিরাপদ যাতায়াতে বেড়েছে ভোগান্তি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ যান চিকিৎসা ও দর্শনীয় স্থান ঘুরতে। আর যেসব ভারতীয় নাগরিক

বাংলাদেশে আসেন, তাদের একটি বড় অংশ আসেন কম খরচে মেডিকেল শিক্ষার জন্য। জানা যায়, বর্তমানে দেশের ১০৮টি মেডিকেল কলেজে ১০ হাজারের বেশি বিদেশি অধ্যয়নরত, যাদের বেশিরভাগ ভারতীয়। এছাড়া ট্যুরিস্ট ও ওয়ার্ক ভিসায় দেশে প্রায় ১০ লাখের মতো ভারতীয় চাকরি করছেন। তবে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভিসা সীমিত ও দু’দেশের মধ্যে রেলপথে যাত্রী সেবা বন্ধ করে দেয় ভারত। বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরলেও নানান অজুহাত দেখিয়ে এখনও স্বাভাবিক ভিসা প্রদান ও রেল পথে বেনাপোল রুটে যাত্রী সেবা বন্ধ রেখেছে মোদি সরকার। এতে একদিকে ভিসা না পেয়ে যাত্রী যাতায়াত যেমন কমে এসেছে, তেমনি স্বাভাবিক সময়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করে দুদেশের মধ্যে ৮

থেকে ১০ হাজার পাসপোর্টধারী যাতায়াত করলেও এখন তা কমে দেড় হাজারের ঘরে নেমেছে। রহমত আলী নামে ভারতগামী এক পাসপোর্টধারী বলেন, ‘আগের ভিসায় যাচ্ছি। ডিসেম্বরে ভিসা শেষ হয়ে যাবে। ভারতীয়রা ভিসা পেলেও, বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে এখনও বাধা সৃষ্টি করছে ভারতীয় দূতাবাস।’ ভারতীয় পাসপোর্টধারী অনিল বিশ্বাস জানান, তাদের ভিসা পেতে বা যাতায়াতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কিছু মানুষ উসকানিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছে। তবে ভিসা বন্ধে বাংলাদেশিদের ভারতে আসা কমে যাওয়ায় কলকাতার হোটেল-রেস্তোরাঁ ও হাসপাতালগুলোয় প্রায় শূন্য অবস্থা। বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জানান, কেবল বেনাপোল রুটে ভ্রমণ খাতে ভিসা ফি বাবদ বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আয় করে থাকে ভারতীয় দূতাবাস।

তবে এখনও ‘বন্ধন’ রেল পরিষেবা বন্ধ থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে এপথে যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারীদের। এতে, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্রে দুই দেশেই ক্ষতির শিকার হচ্ছে। ভিসা স্বাভাবিক না থাকায় যাত্রী একেবারে কমে এসেছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল স্থলবন্দর প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ইনচার্জ আব্দুল হাফিজ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কাউন্সিল ছিল ‘পাতানো এবং নাটকপূর্ণ’ ঢাকায় বায়ুদূষণ: একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছানো অনিশ্চিত ২০২৪ সালে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নতুন বছরের উল্লাস ও শোক: বিশ্বব্যাপী বর্ষবরণ নতুন পাঠ্যবইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পরিবর্তন যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করেই নিয়োগ পরীক্ষায় শিবির সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানের পতাকা: এক বিতর্কের জন্ম ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি চীনের অর্থনীতিকে কি দুর্বল করবে? সংসার খরচ আরও বাড়বে সুপ্রিমকোর্টের হেল্পলাইনে অনিয়ম ঘুস অবহেলার ৫৫ অভিযোগ উত্তরে কনকনে শীত, জনজীবন বিপর্যস্ত ব্যাংকে ডলারের দাম আরও ২ টাকা বাড়ল ৬৫ ডিআইজি পুলিশ সুপারকে রদবদল এক বছরে টাকার মান কমেছে ১২.৭২% গডফাদার বাদ চুনোপুঁটি নিয়ে টানাটানি চার বছরে অগ্নিনিরাপত্তার সব প্রস্তাব ফেরত ছুটছে খেলাপি ঋণের পাগলা ঘোড়া বড় শিল্পে ঋণ বিতরণ নীতিমালা শিথিল