‘ভাবিনি এমন জয় দেখে যেতে পারব’
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করা পরিপূর্ণ তৃপ্তি দেয়নি অনেককেই। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাওয়া টেস্ট জয়েও লেগে ছিল দেশের মাটিতে পছন্দের উইকেটে খেলার তকমা। টেস্ট জয়ের সত্যিকারের তৃপ্তি দিয়েছিল মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ঐতিহাসিক জয়। কিউইদের বিপক্ষে সিলেট টেস্টের পারফরম্যান্সও মুগ্ধ করেছে। কিন্তু অতীতের সব ছাপিয়ে গেছে পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করা।
দেশি-বিদেশি ক্রিকেট বিশ্লেষকদের কাছে যেটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের সেরা সাফল্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু তো আবেগি হলেন আরও বেশি। তিনি বলেছেন, কখনও ভাবতে পারেননি এ জীবনে এমন সাফল্য দেখতে পাব।
বাংলাদেশ খুব বেশি টেস্ট ম্যাচ জেতেনি। ২৫ বছরে ১৪৪ টেস্ট ম্যাচ খেলে ২১টিতে জয়।
৯টি সিরিজ জয়ের তিনটি বিদেশে। এক ম্যাচে ভালো খেললে পরের ম্যাচে ব্যর্থতা দেখতে হয়েছে। এই প্রথম কোনো প্রতিকূলতা বাংলাদেশের ধারাবাহিক ভালো খেলায় বাধা হতে পারেনি। প্রিয় দলের এমন সাফল্য দেখে আপ্লুত বিসিবির সাবেক প্রধান নির্বাচক নান্নু, ‘একটি ভারসাম্য টেস্ট দল গড়ে তুলতে আমরা অনেক দিন ধরে চেষ্টা করেছি। টেস্ট ক্রিকেটারদের আলাদা করছি। বিদেশের জন্য ফাস্ট বোলার তৈরি করেছি। দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বল করার জন্য সক্ষম করে গড়ে তোলা হয়েছে। ধাপে ধাপে উন্নতি হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে বলব, ঐতিহাসিক সিরিজ জয়। এটা যে দেখে যেতে পারব, ভাবিনি। নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে, দেখে যেতে পারলাম পাকিস্তানের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়।
আমি খেলোয়াড়দের জন্য গর্বিত।’ স্মৃতির ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখার মতো এই পারফরম্যান্সের কৃতিত্ব কোনো একটি বিভাগকে দিতে চান না নান্নু, ‘খেলোয়াড়রা একটি মুহূর্তের জন্য ফোকাস হারায়নি। মনেই হয়নি তারা পাকিস্তানের মাটিতে খেলছে। আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং করেছে। শারীরিক ভাষা ছিল ইতিবাচক। খুবই বুদ্ধি দিয়ে খেলেছে। ৩৬ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর গেম বদলে দিয়েছে। সবার জন্য অফুরান ভালোবাসা।’ রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়ামের অনার্স বোর্ডে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের চার ক্রিকেটারের নাম– মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন কুমার দাস ও হাসান মাহমুদ। তাদের বাইরে একজন নাম লিখেছেন পাকিস্তানি ব্যাটারদের হৃদয়ে। তিনি হলেন, ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা। টাইগার এ ফাস্ট বোলার ভেঙেছেন অগ্রজ
রুবেল হোসেনের জোরে বোলিংয়ের রেকর্ড। নিজের রেকর্ড হারিয়েও খুশি রুবেল, ‘রানার সঙ্গে আমি যখন বিপিএলে খেলি, তখনই ওকে বলেছিলাম, আমার রেকর্ড তুমি ভাঙবে। ও বলেছে, ভাইয়ো দোয়া কইরেন। আমি বলেছি, অবশ্যই দোয়া করব (হাসি)। ও সত্যিই জোরে বল করে। ১৫২ কিলোমিটার গতি সামান্য বিষয় না। ও পেস দিয়ে ব্যাটারদের পরাস্ত করেছে। ও গতির ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয় না।’ জাতীয় দলের সাবেক এ পেসার মনে করেন, পেস বোলিং কাজে লাগিয়ে বিশ্বের যে কোনো দেশে টেস্ট ম্যাচ জয়ের সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। জাতীয় দলের আরেক সাবেক ফাস্ট বোলার হাসিবুল হোসেন শান্ত পুরো দলকেই কৃতিত্ব দিলেন। তিন বিভাগের উন্নতি এবং সমন্বিত পারফরম্যান্স পাকিস্তানে
সিরিজ জয় সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
৯টি সিরিজ জয়ের তিনটি বিদেশে। এক ম্যাচে ভালো খেললে পরের ম্যাচে ব্যর্থতা দেখতে হয়েছে। এই প্রথম কোনো প্রতিকূলতা বাংলাদেশের ধারাবাহিক ভালো খেলায় বাধা হতে পারেনি। প্রিয় দলের এমন সাফল্য দেখে আপ্লুত বিসিবির সাবেক প্রধান নির্বাচক নান্নু, ‘একটি ভারসাম্য টেস্ট দল গড়ে তুলতে আমরা অনেক দিন ধরে চেষ্টা করেছি। টেস্ট ক্রিকেটারদের আলাদা করছি। বিদেশের জন্য ফাস্ট বোলার তৈরি করেছি। দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বল করার জন্য সক্ষম করে গড়ে তোলা হয়েছে। ধাপে ধাপে উন্নতি হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে বলব, ঐতিহাসিক সিরিজ জয়। এটা যে দেখে যেতে পারব, ভাবিনি। নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে, দেখে যেতে পারলাম পাকিস্তানের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়।
আমি খেলোয়াড়দের জন্য গর্বিত।’ স্মৃতির ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখার মতো এই পারফরম্যান্সের কৃতিত্ব কোনো একটি বিভাগকে দিতে চান না নান্নু, ‘খেলোয়াড়রা একটি মুহূর্তের জন্য ফোকাস হারায়নি। মনেই হয়নি তারা পাকিস্তানের মাটিতে খেলছে। আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং করেছে। শারীরিক ভাষা ছিল ইতিবাচক। খুবই বুদ্ধি দিয়ে খেলেছে। ৩৬ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর গেম বদলে দিয়েছে। সবার জন্য অফুরান ভালোবাসা।’ রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়ামের অনার্স বোর্ডে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের চার ক্রিকেটারের নাম– মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন কুমার দাস ও হাসান মাহমুদ। তাদের বাইরে একজন নাম লিখেছেন পাকিস্তানি ব্যাটারদের হৃদয়ে। তিনি হলেন, ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা। টাইগার এ ফাস্ট বোলার ভেঙেছেন অগ্রজ
রুবেল হোসেনের জোরে বোলিংয়ের রেকর্ড। নিজের রেকর্ড হারিয়েও খুশি রুবেল, ‘রানার সঙ্গে আমি যখন বিপিএলে খেলি, তখনই ওকে বলেছিলাম, আমার রেকর্ড তুমি ভাঙবে। ও বলেছে, ভাইয়ো দোয়া কইরেন। আমি বলেছি, অবশ্যই দোয়া করব (হাসি)। ও সত্যিই জোরে বল করে। ১৫২ কিলোমিটার গতি সামান্য বিষয় না। ও পেস দিয়ে ব্যাটারদের পরাস্ত করেছে। ও গতির ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয় না।’ জাতীয় দলের সাবেক এ পেসার মনে করেন, পেস বোলিং কাজে লাগিয়ে বিশ্বের যে কোনো দেশে টেস্ট ম্যাচ জয়ের সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। জাতীয় দলের আরেক সাবেক ফাস্ট বোলার হাসিবুল হোসেন শান্ত পুরো দলকেই কৃতিত্ব দিলেন। তিন বিভাগের উন্নতি এবং সমন্বিত পারফরম্যান্স পাকিস্তানে
সিরিজ জয় সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।