
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

বাংলাদেশের আমদানির ঘোষণায় চালের দাম বাড়লো ভারতে

সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি বাংলাদেশ ব্যাংকের

প্রথমবারের মতো খেলাপি ঋণ ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়াল

ইউনূস সরকার ব্যস্ত দমন-পীড়নে: বাজারে আগুন, ভোগান্তি চরমে

দেশে বিনিয়োগে ধস: থমকে যাওয়া শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা হতাশ

তিন ঝুঁকিতে কমাচ্ছে না ডলারের দাম

জুলাইয়ের ২৬ দিনে এক টাকাও রেমিট্যান্স আসেনি যে ৯ ব্যাংকে
বেনাপোল বন্দর: এক বছরে ভ্রমণ রাজস্ব কমেছে প্রায় ৯০ কোটি

প্রতি বছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ২৫ লাখ যাত্রী ভারতে যাতায়াত করেন। তবে ভিসা না পাওয়ায় গত এক বছরে ভারতগামী যাত্রী সংখ্যা ১০ লাখের একটু বেশি। এতে ভ্রমণ খাতের রাজস্ব কমেছে প্রায় ৯০ কোটি টাকা।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রুট বেনাপোল। এখান থেকে ভারতের কলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থাও অন্য যে কোনো বন্দরের তুলনায় উন্নত। সে কারণে চিকিৎসা, ব্যবসা, ভ্রমণ ও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী এই বন্দর ব্যবহার করেন।
বন্দর সূত্র জানায়, সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ পথে ১১ লাখ ৯০ হাজার ৮২১ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করেছেন।
এর মধ্যে ভারতে গেছেন ৬ লাখ ৬ হাজার ৪১০ জন। আর ফিরেছেন ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৪১১ জন। এ থেকে সরকারের আয় হয়েছে প্রায় ১১০ কোটি টাকা। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ রুটে যাতায়াত করেছেন ২২ লাখ ৫ হাজার ৪৭৮ জন। রাজস্ব এসেছিল প্রায় ২০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে যাত্রী কমেছে ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭ জন। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি ইলিয়াস হোসেন মুন্সী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আগে প্রতিদিন সাত-আট হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করতেন। এখন এ সংখ্যা ৩০০-৪০০-তে নেমে এসেছে।’ বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘ভারতীয় নাগরিকরা সহজে বাংলাদেশী ভিসা পেলেও বাংলাদেশীদের জন্য ভারতীয় ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে বেশি
ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমাদের ব্যবসায়ীরা।’ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার মূল কারণ ভারতের ভিসা জটিলতা। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশীদের ভিসা দেয়া এক রকম বন্ধ করে দেয় ভারত। প্রায় এক বছর হতে চললেও এখন পর্যন্ত এটি স্বাভাবিক হয়নি। এ কারণে ভারতগামী যাত্রীদের চাপ কমেছে। এদিকে, সীমান্তের দুই পারের ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও বন্দর ব্যবস্থাপনা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে যাত্রীদের। দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে ছিনতাই ও প্রতারণার শিকার হওয়ার মতো নেতিবাচক অভিজ্ঞতাও রয়েছে অনেকের। এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি যাত্রীরা। অন্যদিকে, বন্দর এলাকায় নেই পর্যাপ্ত যাত্রী ছাউনিসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। শৌচাগার, বিশ্রামাগার, নিরাপত্তা ব্যবস্থা—সবকিছু নিয়েও অভিযোগ রয়েছে
যাত্রীদের ভুক্তভোগী দিলীপ দাস বলেন, ‘ভ্রমণ কর বাড়লেও সেবার মান বাড়েনি। রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।’ এ ব্যাপারে বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক কাজী রতন বলেন, ‘সেবার মান বাড়াতে বন্দরে নতুন যাত্রী ছাউনির জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। ভারতীয় অংশেও সেবার মান বাড়াতে অনুরোধ করা হয়েছে। তারা সেভাবে কাজও করছে।
এর মধ্যে ভারতে গেছেন ৬ লাখ ৬ হাজার ৪১০ জন। আর ফিরেছেন ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৪১১ জন। এ থেকে সরকারের আয় হয়েছে প্রায় ১১০ কোটি টাকা। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ রুটে যাতায়াত করেছেন ২২ লাখ ৫ হাজার ৪৭৮ জন। রাজস্ব এসেছিল প্রায় ২০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে যাত্রী কমেছে ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৭ জন। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি ইলিয়াস হোসেন মুন্সী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আগে প্রতিদিন সাত-আট হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করতেন। এখন এ সংখ্যা ৩০০-৪০০-তে নেমে এসেছে।’ বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘ভারতীয় নাগরিকরা সহজে বাংলাদেশী ভিসা পেলেও বাংলাদেশীদের জন্য ভারতীয় ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে বেশি
ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমাদের ব্যবসায়ীরা।’ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার মূল কারণ ভারতের ভিসা জটিলতা। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশীদের ভিসা দেয়া এক রকম বন্ধ করে দেয় ভারত। প্রায় এক বছর হতে চললেও এখন পর্যন্ত এটি স্বাভাবিক হয়নি। এ কারণে ভারতগামী যাত্রীদের চাপ কমেছে। এদিকে, সীমান্তের দুই পারের ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও বন্দর ব্যবস্থাপনা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে যাত্রীদের। দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে ছিনতাই ও প্রতারণার শিকার হওয়ার মতো নেতিবাচক অভিজ্ঞতাও রয়েছে অনেকের। এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি যাত্রীরা। অন্যদিকে, বন্দর এলাকায় নেই পর্যাপ্ত যাত্রী ছাউনিসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। শৌচাগার, বিশ্রামাগার, নিরাপত্তা ব্যবস্থা—সবকিছু নিয়েও অভিযোগ রয়েছে
যাত্রীদের ভুক্তভোগী দিলীপ দাস বলেন, ‘ভ্রমণ কর বাড়লেও সেবার মান বাড়েনি। রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।’ এ ব্যাপারে বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক কাজী রতন বলেন, ‘সেবার মান বাড়াতে বন্দরে নতুন যাত্রী ছাউনির জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। ভারতীয় অংশেও সেবার মান বাড়াতে অনুরোধ করা হয়েছে। তারা সেভাবে কাজও করছে।