বিয়ের দাবিতে তিন সন্তানের জনকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক প্রেমিকা। পাঁচদিন ধরে ওই বাড়িতে রয়েছেন ওই নারী। ঘটনাটি উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের দহিসারা গ্রামের।
অভিযুক্ত কামরুজ্জামান ওরফে ইসরাইল মুন্সী (৩৫) ওই গ্রামের আউয়াল মুন্সীর ছেলে। তিন সন্তানের জনক তিনি। আর ভুক্তভোগী খুশি আক্তারের (২০) একই ইউনিয়নের আলগাদিয়া গ্রামের বিল্লাল মুন্সীর মেয়ে।
অনশনে থাকা খুশি বলেন, কামরুজ্জামান আমাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে নগরকান্দা পৌর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে আমরা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে প্রায় দুমাস সেখানে থাকি। আমি তাকে বিয়ের কথা বললে তিনি টালবাহানা শুরু করে। আমি কোনো উপায় না দেখে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে পাঁচদিন ধরে অনশন করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিন
মাস আগে ভাঙ্গা উপজেলায় আমার বিয়ে হয়েছিল। কামরুজ্জামানের জন্য আমি স্বামীকে ছেড়ে চলে আসছি। আমার সব গহনা ও টাকা তাকে দিয়েছি। এ অবস্থায় তিনি আমাকে বিয়ে না করলে আমার মরা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’ প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে কামরুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলার চাঁদহাট বাজারে আমার একটি কাপড়ের দোকান আছে। কাপড় কেনার জন্য খুশি আমার দোকানে বিভিন্ন সময় আসতো। এর মধ্যেই তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আমি তাকে গোপনে বিয়ে করে বাসা ভাড়া নিয়ে নগরকান্দায় থাকতাম। কিন্তু পরে তার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে পেরে আমি তাকে তালাক দিয়ে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি।’
মাস আগে ভাঙ্গা উপজেলায় আমার বিয়ে হয়েছিল। কামরুজ্জামানের জন্য আমি স্বামীকে ছেড়ে চলে আসছি। আমার সব গহনা ও টাকা তাকে দিয়েছি। এ অবস্থায় তিনি আমাকে বিয়ে না করলে আমার মরা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’ প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে কামরুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলার চাঁদহাট বাজারে আমার একটি কাপড়ের দোকান আছে। কাপড় কেনার জন্য খুশি আমার দোকানে বিভিন্ন সময় আসতো। এর মধ্যেই তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আমি তাকে গোপনে বিয়ে করে বাসা ভাড়া নিয়ে নগরকান্দায় থাকতাম। কিন্তু পরে তার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে পেরে আমি তাকে তালাক দিয়ে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি।’