বিজয়ের মাস ডিসেম্বর
১৯৭১ সালের মাসে আমরা ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানি শোষকের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেছিলাম । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সারা বাংলার শহরে বন্দরে গ্রামে গঞ্জে ধর্মবর্ণ ধনী গরীব নির্বিশেষে সবাই যে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল, শেখ মুজিবের নামে- জয় বাংলার প্রেরণায় ধানমন্ডি ৩২ থেকে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, ডিসেম্বর মাসে এসে সেই যুদ্ধের অবসান ঘটে। পুরো মাস জুড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল পাকিস্তান হানাদারবাহিনীর কবল থেকে একে একে মুক্ত হতে থাকে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাপটে পাকিস্তানি সেনারা সব ছেড়েছুড়ে ঢাকার দিকে পালাতে থাকে। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর তারা চূড়ান্ত ভাবে পরাজিত হয়ে আত্মসমর্পন করে।
এই মাস রাজাকারদের আতংকের মাস। জামাতে ইসলামীর
নেতৃত্বে যেসব বাংলাদেশি নাগরিকেরা নিজ দেশের মানুষের বিরদ্ধে অবস্থান নিয়ে হত্যা- লুট-ধর্ষণের অবতারনা করেছিলো, সেই রাজাকার ও তাদের উত্তরসুরিরা এই মাসে যেন হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে নতুন নতুন গল্প বানিয়ে ইতিহাস বলে প্রচার করতে থাকে। স্বাধীনতার সংগ্রামের পুরোটা সময় জামায়াতে ইসলামী ও তার অঙ্গসংগঠন গুলো এদেশের মানুষের বিভ্রান্ত করে এসেছে, আজও সেই বিভ্রান্তির কার্যকলাপ চলমান। আজ তারা মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তা করে আবার ৭১ এর গণহত্যার স্থানে দোয়া মাহফিল করে। তারা একদিকে বলে তাদের নেতা গোলাম আজম, নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, সাইদীরা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল আবার বলে তারাও মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। বাংলাদেশের আত্মপরিচয় লাভের মাস ডিসেম্বর। এই মাসে আমরা বিশ্বকে জানান দিয়েছিলাম যে আমাদের
হয়তো অর্থ নাই- প্রাকৃতিক সম্পদ নাই কিন্তু আমাদের কোটি কোটি বীর আছে যারা দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে শক্তিধর সামরিক বাহিনীকেও পরাজিত করতে পারে। বিশ্ব জেনেছে বাঙ্গালির আত্মসম্মান, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার কাছে অস্ত্র, গোলাবারুদ, প্রশিক্ষিত সৈন্যদল অতিশয় তুচ্ছ। আমরা জানান দিয়েছিলাম আমরা অন্যায় সহ্য করি না। জীবন দিয়ে হলেও নিজেদের অধিকার আদায় করেই ছাড়ি। আজ বাংলাদেশ আবারো সেই হায়েনাদের খপ্পরে। যে হায়েনারা আমাদের ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছিল, ২ লক্ষ মা-বোনের সম্মান কেড়ে নিয়েছিল, সেই হায়েনারা আজ মুক্তিযুদ্ধের নতুন গল্প হাজির করতে চায়। দেশের অস্তিত্বের চেতনাকে ধুলায় মিশিয়ে দিতে চায়, আবারো পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা ভুলে গেছে, তাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করে আমরা
স্বাধীনতা একবার ছিনিয়ে এনেছি, প্রয়োজনে আবারো আনবো। কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
নেতৃত্বে যেসব বাংলাদেশি নাগরিকেরা নিজ দেশের মানুষের বিরদ্ধে অবস্থান নিয়ে হত্যা- লুট-ধর্ষণের অবতারনা করেছিলো, সেই রাজাকার ও তাদের উত্তরসুরিরা এই মাসে যেন হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে নতুন নতুন গল্প বানিয়ে ইতিহাস বলে প্রচার করতে থাকে। স্বাধীনতার সংগ্রামের পুরোটা সময় জামায়াতে ইসলামী ও তার অঙ্গসংগঠন গুলো এদেশের মানুষের বিভ্রান্ত করে এসেছে, আজও সেই বিভ্রান্তির কার্যকলাপ চলমান। আজ তারা মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তা করে আবার ৭১ এর গণহত্যার স্থানে দোয়া মাহফিল করে। তারা একদিকে বলে তাদের নেতা গোলাম আজম, নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, সাইদীরা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল আবার বলে তারাও মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। বাংলাদেশের আত্মপরিচয় লাভের মাস ডিসেম্বর। এই মাসে আমরা বিশ্বকে জানান দিয়েছিলাম যে আমাদের
হয়তো অর্থ নাই- প্রাকৃতিক সম্পদ নাই কিন্তু আমাদের কোটি কোটি বীর আছে যারা দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে শক্তিধর সামরিক বাহিনীকেও পরাজিত করতে পারে। বিশ্ব জেনেছে বাঙ্গালির আত্মসম্মান, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার কাছে অস্ত্র, গোলাবারুদ, প্রশিক্ষিত সৈন্যদল অতিশয় তুচ্ছ। আমরা জানান দিয়েছিলাম আমরা অন্যায় সহ্য করি না। জীবন দিয়ে হলেও নিজেদের অধিকার আদায় করেই ছাড়ি। আজ বাংলাদেশ আবারো সেই হায়েনাদের খপ্পরে। যে হায়েনারা আমাদের ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছিল, ২ লক্ষ মা-বোনের সম্মান কেড়ে নিয়েছিল, সেই হায়েনারা আজ মুক্তিযুদ্ধের নতুন গল্প হাজির করতে চায়। দেশের অস্তিত্বের চেতনাকে ধুলায় মিশিয়ে দিতে চায়, আবারো পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা ভুলে গেছে, তাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করে আমরা
স্বাধীনতা একবার ছিনিয়ে এনেছি, প্রয়োজনে আবারো আনবো। কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু



