বিএনপি-জামায়াতের ক্লেদাক্ত প্রতিযোগিতা – ইউ এস বাংলা নিউজ




বিএনপি-জামায়াতের ক্লেদাক্ত প্রতিযোগিতা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৪:০৭ 99 ভিউ
একটা দেশের সবকিছু ধ্বংস করে, লুটে নিয়ে, পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েও শেষরক্ষা হয়নি ফ্যাসিবাদের। মারণাস্ত্রের মুখে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো নিরস্ত্র মানুষের মহাগণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারিয়ে পালাতে বাধ্য হলেও ওরা কি হাল ছেড়েছে? মোটেও না। হাসিনার পতিত ফ্যাসিবাদ তাদের হারানো স্বর্গ ফিরে পেতে একের পর এক বুনে চলেছে ষড়যন্ত্রের জাল। তাদের আশা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের৷ যেখানেই মাদক মিলছে সেখানেই তারা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে উসকানি দিচ্ছে। সবখানে ঘাপটি মেরে বসে আছে পতিত ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীরা। একটি মাস না যেতেই ওরা চক্রান্তের ঘেরাটোপে বসে 'এই স্বাধীনতাই কি চেয়েছিলাম আমরা' বলে অহর্নিশ ফেরি করে চলেছে হতাশা। পুনরত্থানকামী ফ্যাসিবাদী শক্তির হাতে আছে দেশলুটের অজস্র অর্থ-সম্পদ। আছে অবৈধ অস্ত্র। আছে

আধিপত্যবাদের মদত। কাজেই সহসা থামবে না ওদের কার্যক্রম। ওরা চাইবে এদেশ যেন একদিনও স্বস্তিতে থাকতে না পারে। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি দরকার নিপীড়িত জাতির সীসাঢালা ঐক্য। দরকার ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থানকামী প্রতিবিপ্লব ও চক্রান্ত রুখে দেওয়া। দরকার রাষ্ট্রীয় সংস্কার, জাতীয় পুনর্গঠন ও গণতন্ত্রায়ণের সম্মিলিত প্রয়াস। দরকার দ্রুত স্বস্তি, শান্তি ও স্থিতি ফিরিয়ে মানুষের মধ্যে পুনরায় আস্থার সঞ্চার করা। কিন্তু এখন কী করছে আমাদের দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো? এখনো আমরা তাদেরকে দেশের স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তির ও দলের সংকীর্ণ স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে দেখছি। দখলদারি, দলীয়করণ ও বস্তুগত সম্পদ আহরণের উদগ্র লালসায় তারা এই ক্রান্তিকালেই ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে। শৃঙ্খলা, সংযম, দায়িত্বশীলতা ও শুদ্ধির কোনো লক্ষ্মণ তাদের মধ্যে দেখা

যাচ্ছে না। বিএনপি ও জামায়াত দুটি পৃথক দল। রাজনৈতিক কৌশলের স্বার্থে দীর্ঘদিন তারা জোটবদ্ধ ছিল। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে আলাদা ভাবে রাজনৈতিক ও দলীয় কর্মসূচি চালাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু তাতেই তাদের শত্রু হয়ে যাবার কথা নয়। তারা পরস্পরের প্রতিপক্ষও নয়। এমনকি ভবিষ্যৎ নির্বাচনে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতার প্রত্যাশী হলেও জামায়াত এই মুহূর্তে রাষ্ট্রক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। তাদের উভয় দলের রাজনীতির এখনকার প্রধান প্রতিপক্ষ থাকার কথা পুনরুত্থানকামী পতিত ফ্যাসিবাদের। কিন্তু সে-কথা ভুলে এবং আওয়ামী বাকশালকে ছেড়ে বিএনপি ও জামায়াত নেমে পড়েছে পরস্পরের বিরুদ্ধে ক্লেদাক্ত প্রতিযোগিতায়। এত চরম ক্ষয়ক্ষতির পরেও তাদের শিক্ষা হয়নি। সময়ের দাবি মেটাতে রাজনীতি ও দলের যে সংস্কার ও প্রস্তুতি

দরকার সে-কথাও তারা ভুলে বসে আছে। এটা চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, হঠকারিতা ও বালখিল্যতা ছাড়া কিছু নয়। দুই দলের এই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি ও শক্তিক্ষয়ে আওয়ামী বাকশালীরা ছাড়া আর কেউই লাভবান হচ্ছে না। আমাদের রাজনীতি আর কবে সাবালক ও দায়িত্বশীল হবে জানি না। লেখক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খানে ফেসবুক থেকে নেওয়া।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
মাইলফলক স্পর্শ করে মুগ্ধ সাগর-হিমেল সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি বাংলাদেশ ব্যাংকের জাপান পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সুনামির আঘাত ভারতের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির আহ্বানে ১৫ দেশের যৌথ বিবৃতি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিচ্ছে মাল্টা ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিল জাপান ইসরাইলের দুই মন্ত্রীর নেদারল্যান্ডসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো আমির খানের ‘সিতারে জামিন পার’ এবার দেখা যাবে ইউটিউব চ্যানেলে রংপুরে সনাতনী সম্প্রদায়ের উপর হামলার প্রতিবাদ করেছে ‘একাত্তরের প্রহরী ফাউন্ডেশন,যুক্তরাষ্ট্র’ আমেরিকার উপকূলেও সুনামি শুরু! এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য নতুন নির্দেশনা অন্তর্বর্তী সরকারের বিদায়ের সময় এসেছে: দেবপ্রিয় চট্টগ্রামে একযোগে চার ধরনের জ্বরের প্রকোপ সুনামি আতঙ্কে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ৫২ দেশ-অঞ্চল এক নারীর সাথে দুই ভাইয়ের বিয়ে আজ মহাকাশে পাড়ি দেবে ‘নিসার’ ভুল করে অন্যের হীরা ভর্তি ব্যাগ বাংলাদেশে নিয়ে এলেন যাত্রী গাজার উপকূলে ভেসে আসা খাদ্য বোতল ! রহস্য কী? বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুলকে যেভাবে হত্যা করা হয়