বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করা আশার মেডিকেলে ভর্তির সংগ্রাম – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
     ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ

বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করা আশার মেডিকেলে ভর্তির সংগ্রাম

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৫:০৯ 106 ভিউ
ভাই নেই, তাই মেয়ে হয়েই বাবার সঙ্গে করতেন কৃষিকাজ। সাতসকালে কাঁচি হাতে বেরিয়ে পড়তেন ক্ষেতের উদ্দেশে। কাজ শেষ করেই আবার যেতে হতো কলেজে। কখনও একবেলা খেয়ে আবার কখনও না খেয়েই পড়ালেখা চালিয়ে গেছেন আশা আক্তার। এত প্রতিকূলতা স্বত্ত্বেও এবার ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন গোপালগঞ্জ মেডিকেলে। কিন্তু চরম দারিদ্রতায় মাঝে মাঝে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। কীভাবে এখন পড়বেন মেডিকেলে, কীভাবে মেটাবেন হোস্টেল ও পড়াশোনার খরচ। এসব দুশ্চিন্তায় আধাঁর যেন কাটছেই না আশার। আশা ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চরজ্ঞানদিয়া গ্রামের কৃষক আলমগীর বিশ্বাস (৪৮) ও সোনিয়া বেগম (৩৮) দম্পত্তির ছোট মেয়ে। আশার বাবা আলমগীর বিশ্বাস বলেন, ছোটবেলা থেকেই আশার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। তাই

মেয়েকে পড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ পরিশ্রম করি। অভাবের সংসারে খেয়ে না খেয়েই মেয়ে দুইজনকে পড়ালেখা করিয়েছি। তারা খুব কষ্ট করে। এখনও আমার সঙ্গে ক্ষেতে কৃষিকাজ করে। কাজ শেষ করে আবার পড়তে বসতো তারা। এভাবেই এতে পরিশ্রম করে মেয়ে আমার চান্স পেয়েছে মেডিকেলে। তারপরও দুশ্চিন্তায় থাকি পড়াশোনার খরচ মেটাবো কীভাবে। আশার মা সোনিয়া বেগম বলেন, মেয়ে আমার প্রাইমারি থেকেই মেডিকেল ভর্তি কোচিং পর্যন্ত অনেকগুলো বৃত্তি পেয়েছে। কোচিংয়ে সর্বোচ্চ মার্ক পাওয়ায় তার ফি কম নিয়েছে। স্যারেরা তার সৌজন্য বইয়ের ব্যবস্থা করেছে। মানুষের এতো সহযোগিতা না পেলে আমার মেয়ের স্বপ্ন পূরণ হতো না। আমাদের এমন অবস্থা নেই যে, আশার আগামী চার বছরের পড়াশোনার খরচ

চালাবো। কেউ যদি আমাদের সাহায্য করতো, তাহলে আমাদের এই যাত্রা সহজ হতো। আশা বলেন, চলতি মাসের ২ তারিখে গোপালগঞ্জ মেডিকেলে আমার ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু হোস্টেলের ব্যপারে কোন সিদ্ধান্ত দেয় নি। ক্যান্টিন থেকে দুই বেলা খাবার দেওয়ার কথা বলেছে। প্রতিদিন তার জন্য ৮০ টাকা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন। ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে জানিয়ে আশা বলেন, একাডেমিকের ৪ বছরের কোর্স শেষ করে ইন্টার্ন করার সময় ডাক্তারির সাবজেক্ট চুজ করতে হয়। তবে আমি ছোটবেলা থেকেই সার্জারি করার খুব ইচ্ছা। বিশেষ করে কার্ডিওলজি সার্জন। তা না হলে নিউরোলজি সার্জন হওয়ার আগ্রহ রয়েছে আমার। সংসারে সংগ্রামের বিষয়ে আশা বলেন, আমি পরিশ্রম করতে শিখেছি

আমার মায়ের কাছ থেকে। বাবার আয় কম দেখে মা সংসারে বাড়তি আয় করতে হাস মুরগি ছাগল লালন পালন করতো। সাথে বাবার কৃষি কাজে সহায়তা। তাছাড়া আমার মানুষকে সাহায্য করতে ভালো লাগে। তিনি বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে আমি আরও কঠোর পরিশ্রম করব।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাংলাদেশকে আধুনিক করায় কি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো শেখ হাসিনাকে? সংবাদ দেওয়ার কথা বলে ফাঁদ: সাংবাদিককে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনায় সুরভীর বিরুদ্ধে মামলা ভূমিকম্পে পুরান ঢাকায় রেলিং ধসে নিহত ৩ ঘোড়াশালসহ যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্র সাময়িক বন্ধ নরসিংদীতে ভূমিকম্পে শিশুসহ নিহত ২, আহত শতাধিক ভূমিকম্পে দুর্ঘটনা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩০ সন্ত্রাসী নিহত ভূমিকম্পে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস আফটারশক হতে পারে কি না জানালেন আবহাওয়াবিদ স্মার্টফোনে ভূমিকম্পের অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করবেন যেভাবে আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু, ভরি কত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হেলে পড়েছে ভবন যুক্তরাজ্যে ভয়াবহ বিপর্যয়, শত শত স্কুল বন্ধ ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যায় ৪১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৯ ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের মিথিলা ভূমিকম্পে ঢাকায় নিহত ৩ ২০২৬ বিশ্বকাপের প্লে-অফের ড্র চূড়ান্ত মালয়েশিয়ায় ব্যাপক অভিযান, ১৭৪ বাংলাদেশি আটক ঢাকায় শীতের আমেজ, তাপমাত্রা নামল ১৯ ডিগ্রিতে