বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করা আশার মেডিকেলে ভর্তির সংগ্রাম – ইউ এস বাংলা নিউজ




বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করা আশার মেডিকেলে ভর্তির সংগ্রাম

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৫:০৯ 37 ভিউ
ভাই নেই, তাই মেয়ে হয়েই বাবার সঙ্গে করতেন কৃষিকাজ। সাতসকালে কাঁচি হাতে বেরিয়ে পড়তেন ক্ষেতের উদ্দেশে। কাজ শেষ করেই আবার যেতে হতো কলেজে। কখনও একবেলা খেয়ে আবার কখনও না খেয়েই পড়ালেখা চালিয়ে গেছেন আশা আক্তার। এত প্রতিকূলতা স্বত্ত্বেও এবার ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন গোপালগঞ্জ মেডিকেলে। কিন্তু চরম দারিদ্রতায় মাঝে মাঝে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। কীভাবে এখন পড়বেন মেডিকেলে, কীভাবে মেটাবেন হোস্টেল ও পড়াশোনার খরচ। এসব দুশ্চিন্তায় আধাঁর যেন কাটছেই না আশার। আশা ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চরজ্ঞানদিয়া গ্রামের কৃষক আলমগীর বিশ্বাস (৪৮) ও সোনিয়া বেগম (৩৮) দম্পত্তির ছোট মেয়ে। আশার বাবা আলমগীর বিশ্বাস বলেন, ছোটবেলা থেকেই আশার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। তাই

মেয়েকে পড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ পরিশ্রম করি। অভাবের সংসারে খেয়ে না খেয়েই মেয়ে দুইজনকে পড়ালেখা করিয়েছি। তারা খুব কষ্ট করে। এখনও আমার সঙ্গে ক্ষেতে কৃষিকাজ করে। কাজ শেষ করে আবার পড়তে বসতো তারা। এভাবেই এতে পরিশ্রম করে মেয়ে আমার চান্স পেয়েছে মেডিকেলে। তারপরও দুশ্চিন্তায় থাকি পড়াশোনার খরচ মেটাবো কীভাবে। আশার মা সোনিয়া বেগম বলেন, মেয়ে আমার প্রাইমারি থেকেই মেডিকেল ভর্তি কোচিং পর্যন্ত অনেকগুলো বৃত্তি পেয়েছে। কোচিংয়ে সর্বোচ্চ মার্ক পাওয়ায় তার ফি কম নিয়েছে। স্যারেরা তার সৌজন্য বইয়ের ব্যবস্থা করেছে। মানুষের এতো সহযোগিতা না পেলে আমার মেয়ের স্বপ্ন পূরণ হতো না। আমাদের এমন অবস্থা নেই যে, আশার আগামী চার বছরের পড়াশোনার খরচ

চালাবো। কেউ যদি আমাদের সাহায্য করতো, তাহলে আমাদের এই যাত্রা সহজ হতো। আশা বলেন, চলতি মাসের ২ তারিখে গোপালগঞ্জ মেডিকেলে আমার ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু হোস্টেলের ব্যপারে কোন সিদ্ধান্ত দেয় নি। ক্যান্টিন থেকে দুই বেলা খাবার দেওয়ার কথা বলেছে। প্রতিদিন তার জন্য ৮০ টাকা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন। ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে জানিয়ে আশা বলেন, একাডেমিকের ৪ বছরের কোর্স শেষ করে ইন্টার্ন করার সময় ডাক্তারির সাবজেক্ট চুজ করতে হয়। তবে আমি ছোটবেলা থেকেই সার্জারি করার খুব ইচ্ছা। বিশেষ করে কার্ডিওলজি সার্জন। তা না হলে নিউরোলজি সার্জন হওয়ার আগ্রহ রয়েছে আমার। সংসারে সংগ্রামের বিষয়ে আশা বলেন, আমি পরিশ্রম করতে শিখেছি

আমার মায়ের কাছ থেকে। বাবার আয় কম দেখে মা সংসারে বাড়তি আয় করতে হাস মুরগি ছাগল লালন পালন করতো। সাথে বাবার কৃষি কাজে সহায়তা। তাছাড়া আমার মানুষকে সাহায্য করতে ভালো লাগে। তিনি বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে আমি আরও কঠোর পরিশ্রম করব।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
মাদক সরবরাহে জড়িয়ে বিপাকে সাবেক অজি স্পিনার ইউটিউব দেখে সোনাপাচারের কৌশল শেখেন রানিয়া সংস্কার নিয়ে মতামত দিল ৭ দল, সময় চাইলো ১৬ দল আছিয়ার মরদেহের সঙ্গে মাগুরায় গেলেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার শাহরুখের কারণে পিছিয়ে যায় শতাধিক বিয়ে! নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন রোনালদো যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইউক্রেন, যা বললেন এরদোগান ইউরোপিয় মদের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের ইসরাইলি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন পাকিস্তানি স্থপতি ইয়াসমিন ইউক্রেনের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি রাশিয়ার হোলি উৎসব, তাই যোগীরাজ্যে মুসলিম ধরপাকড়, ত্রিপলে ঢাকা হলো মসজিদ কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ শুক্রবার অক্সফোর্ডে ভাষণ দেবেন মমতা ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে শর্ত দিয়েছে রাশিয়া মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে মেসির জনপ্রিয়তা হু হু করে কমে যাচ্ছে স্ত্রীসহ সাবেক বিজিবিপ্রধান সাফিনুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আজান দিয়েছে ভেবে সময়ের আগেই ইফতার করলে রোজা হবে? পিআরপি ইনজেকশন নিয়েছেন মোস্তাফিজ সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী আর নেই