বাজারে পেঁয়াজের দামে বাড়ছে ঝাঁজ
চট্টগ্রামের বাজারে ক্রমশ পেঁয়াজের দামে বাড়ছে ঝাঁজ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে পাইকারি আড়তেও। বাজারে প্রচুর সরবরাহ সত্বেও দাম বৃদ্ধির পেছনে কিছু আড়তদারদের কারসাজি থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
পেঁয়াজের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, বিদায়ী বছরের শেষে এসে ভারতীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নমুখী ছিল পেঁয়াজের দাম। যার ফলে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে নতুন বছরের শুরুতে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। কিন্তু সপ্তাহ না যেতে কোনো কারণ ছাড়াই পাইকারিতে দাম বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫
থেকে ৬৮ টাকায়। সেখানে পেঁয়াজের একাধিক আড়ত ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি আড়তেই প্রচুর পেঁয়াজ রয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি রয়েছে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজও। দাম কমার পর ক্রেতাদের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দাম বেড়েছে মন্তব্য করে খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়ার বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস দেশ রূপান্তরকে বলেন, বর্তমানে আড়তগুলোতে ভারতীয় ও দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এদিকে খুচরা বাজারে এক সপ্তাহে আগে ৫৫ থেকে ৬০টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হলেও মঙ্গলবার বিভিন্ন স্থানে প্রতি কেজি ৭৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। নগরীর হেমসেন লেন এলাকার হাকিম সুপার শপের মালিক আবদুল হাকিম এ প্রতিবেদককে বলেন, আড়ত থেকে
বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। আবার সে সঙ্গে যোগ হচ্ছে পরিবহন ব্যয়। সে জন্য পাইকারির সঙ্গে খুচরার কেজিতে অন্তত দশ টাকার ব্যবধান থাকে। কথা হয় নগরীর কাজির দেউড়ি মার্কেটে বাজার করতে যাওয়া স্কুল শিক্ষিকা তাহমিনা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে ৬০ টাকায় কেনা পেঁয়াজ আজ কিনতে হয়েছে ৭৫ টাকায়। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই তবু দাম বাড়তি। এটা ক্রেতাদের পকেট কাটার জন্য ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। অভিযোগ রয়েছে প্রতি বছর রমজান আসার আগেই ব্যবসায়ীরা যোগসাজশ করে সুনির্দিষ্ট কিছু পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। আর পুরো রমজান সেই বাড়তি দাম রেখে দেয়। এসব পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজ অন্যতম। রোজার শুরুর দেড়
মাস আগে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় তেমনটিই আশঙ্কা করেছেন ক্রেতারা। হিলি স্থল বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মো. শহিদুল্লাহ এ প্রতিবেদককে জানান, বর্তমানে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। তাই রমজানের আগে দেশে পেঁয়াজের সরবরাহে কোনো ধরনের সংকটের আশঙ্কা নেই। কনজ্যুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন দেশ রূপান্তরকে বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বৃদ্ধি পাওয়া এটা স্বাভাবিক নয়। এর পেছনে অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের হাত থাকতে পারে। তাই সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার উচিত এখন থেকেই বাজার পরিস্থিতি কঠোরভাবে নজরে রাখা। যাতে রমজানকে কেন্দ্র করে অতীতের মতো কারসাজি না
হয়।
থেকে ৬৮ টাকায়। সেখানে পেঁয়াজের একাধিক আড়ত ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি আড়তেই প্রচুর পেঁয়াজ রয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি রয়েছে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজও। দাম কমার পর ক্রেতাদের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দাম বেড়েছে মন্তব্য করে খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়ার বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস দেশ রূপান্তরকে বলেন, বর্তমানে আড়তগুলোতে ভারতীয় ও দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এদিকে খুচরা বাজারে এক সপ্তাহে আগে ৫৫ থেকে ৬০টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হলেও মঙ্গলবার বিভিন্ন স্থানে প্রতি কেজি ৭৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। নগরীর হেমসেন লেন এলাকার হাকিম সুপার শপের মালিক আবদুল হাকিম এ প্রতিবেদককে বলেন, আড়ত থেকে
বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। আবার সে সঙ্গে যোগ হচ্ছে পরিবহন ব্যয়। সে জন্য পাইকারির সঙ্গে খুচরার কেজিতে অন্তত দশ টাকার ব্যবধান থাকে। কথা হয় নগরীর কাজির দেউড়ি মার্কেটে বাজার করতে যাওয়া স্কুল শিক্ষিকা তাহমিনা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে ৬০ টাকায় কেনা পেঁয়াজ আজ কিনতে হয়েছে ৭৫ টাকায়। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই তবু দাম বাড়তি। এটা ক্রেতাদের পকেট কাটার জন্য ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়া আর কিছুই নয়। অভিযোগ রয়েছে প্রতি বছর রমজান আসার আগেই ব্যবসায়ীরা যোগসাজশ করে সুনির্দিষ্ট কিছু পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। আর পুরো রমজান সেই বাড়তি দাম রেখে দেয়। এসব পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজ অন্যতম। রোজার শুরুর দেড়
মাস আগে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় তেমনটিই আশঙ্কা করেছেন ক্রেতারা। হিলি স্থল বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মো. শহিদুল্লাহ এ প্রতিবেদককে জানান, বর্তমানে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। তাই রমজানের আগে দেশে পেঁয়াজের সরবরাহে কোনো ধরনের সংকটের আশঙ্কা নেই। কনজ্যুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন দেশ রূপান্তরকে বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বৃদ্ধি পাওয়া এটা স্বাভাবিক নয়। এর পেছনে অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের হাত থাকতে পারে। তাই সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার উচিত এখন থেকেই বাজার পরিস্থিতি কঠোরভাবে নজরে রাখা। যাতে রমজানকে কেন্দ্র করে অতীতের মতো কারসাজি না
হয়।