
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

প্রশাসনিক পদে বড় রদবদল

নিরন্তর টিকে থাকার লড়াই কুতুবদিয়া দ্বীপবাসীর

লুটপাটের ক্ষত মুছতে সাদা পাথরে পানি স্প্রে

‘আমি গৃহবন্দি’, জেডআই খান পান্নার ফেসবুক পোস্ট

বাংলাদেশের শতাধিক ওয়েবসাইটে হামলার দাবি ভারতীয় হ্যাকার গ্রুপের

শেখ মুজিব জাতির পিতা নন, স্বাধীনতায় তার ত্যাগ স্বীকার করি: নাহিদ

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন
বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশে পুশ ব্যাক

মায়ের ভাষা বাংলায় কথা বলার কারণে গত চার মাসে ভারতের তিনটি রাজ্যে থেকে প্রায় ৯ হাজার বাংলাভাষীকে আটক করে অস্থায়ী বন্দিশালায় রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অন্তত দুই হাজার বাংলাভাষীকে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করিয়েছে তারা। পরিস্থিতি এতটা বেগতিক যে মানুষজন বাংলায় কথা বলতে ভয় পাচ্ছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমস
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর অভিবাসনবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে ভয় ছড়ানোর হাতিয়ারে পরিণত করেছে ভারত সরকার। বিশেষ করে, লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে বাংলায় কথা বলা মানুষজন।
এ অভিযানে আটক হওয়া বেশির ভাগ মানুষ কখনও পাকিস্তানে যায়নি। এ দেশটিকে হামলার জন্য দায়ী করেছে ভারত। বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার সরকারি ভাষা বাংলা।
উভয় দেশের সীমান্তের দুই পাশে কোটি কোটি মানুষ এ ভাষায় কথা বলে। কয়েক হাজার ভারতীয় বাংলাভাষীকে আটক বা বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদের বেশির ভাগ মুসলমান। অনেকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। কয়েক দশক ধরে এ রাজ্যের তরুণরা কাজের জন্য ভারতের অন্যান্য বড় শহরে যাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, কয়েক লাখ অনিবন্ধিত বাংলাদেশি ভারতে বাস করেন। দুই দেশের সীমান্ত দিয়ে তারা বৈধ বা অবৈধভাবে যাতায়াত করেন। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষী মানুষের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে অভিযান চালান হচ্ছে। অনিবন্ধিত অভিবাসী থাকার প্রমাণও মিলছে। গত জুলাই থেকে রাজধানীর নয়াদিল্লির উপশহর গুরুগ্রামের কর্তৃপক্ষ অবৈধ অভিবাসী খুঁজতে অভিযান চালাচ্ছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গুরুগ্রাম পুলিশ কয়েকশ মানুষকে আটক করেছে। এদের মধ্যে অনেকের ভারতে বৈধভাবে
বসবাসের নথি রয়েছে। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই অভিযান শুরু হওয়ার পর কয়েকশ গরিব বাংলাভাষী মানুষ পুলিশি হয়রানির ভয়ে শহর ছেড়ে পালিয়েছে। গুরুগ্রাম পুলিশ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার বলেন, এই অভিযানে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনকে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শহর ছেড়ে পালানোর কথা গুজব। গুরুগ্রামে আটক-সংক্রান্ত মামলা নিয়ে কাজ করা আইনজীবী সুপান্থ সিনহা বলেন, শহর ছেড়ে পালানোর সংখ্যা এক হাজারের কাছাকাছি। অভিযান চালানো চারটি রাজ্যের এক ডজন মুসলিম ও হিন্দু বাংলাভাষী জানান, তারা সরকারি এই অভিযানের ভয়ে আছেন। অভিজিৎ পাল (১৮) বলেন, তিনি পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে
গুরুগ্রামে গিয়েছিলেন। যখন তাঁর বস্তিতে অভিযান চালানো হয়, তখন পুলিশকে পরিচয়পত্র দেখান। এর পরও তাঁকে পাঁচ দিন আটকে রাখা হয়। সমাজকর্মীরা তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্বের পক্ষে পুলিশকে অতিরিক্ত নথি সরবরাহ করার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফের আটক হওয়ার ভয়ে তিনি গুরুগ্রাম ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে এসেছেন। এখন বেকার। তিনি বলেন, ‘আমি আবার ধরা পড়ার ভয়ে আছি। কারণ আমি বাংলায় কথা বলি।’ মানবাধিকার গোষ্ঠী ও আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে সরকার এ অভিবাসন অভিযান চালাচ্ছে। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গত এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলাকে দেশটির মুসলিমদের ওপর পদ্ধতিগত নিপীড়নের হাতিয়ার করে তুলেছে। রাজ্য পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গুজরাটে অন্তত ৬,৫০০, কাশ্মীরে ২,০০০
এবং রাজস্থানে প্রায় ২৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। রাজস্থানে মে মাসে তিনটি নতুন অস্থায়ী বন্দিশালা তৈরি করা হয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে বহিষ্কৃত মানুষের সঠিক সংখ্যা এখনও অজানা। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মে থেকে জুলাই পর্যন্ত ভারত থেকে প্রায় দুই হাজার মানুষকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভারত এই সংখ্যা নিশ্চিত করেনি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জুলাইয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারায় কয়েক ডজন মানুষকে পুনরায় ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে ভারত। সংস্থাটির এশিয়াবিষয়ক উপপরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেছেন, এই অভিযানের লক্ষ্যবস্তু মূলত দরিদ্র মুসলিম অভিবাসী শ্রমিক। আমির শেখ (২১) পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজস্থানে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন। তাঁর চাচা আজমাউল শেখ বলেন, পরিচয়পত্র এবং
জন্মসনদ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ ভাতিজাকে গত জুনে আটক করে। তিন দিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পর পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিজেপি নেতারা রাজ্য এবং জাতীয় পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে ‘অনুপ্রবেশকারীদের কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করছেন। এটা ভারতের বহু ধর্ম-ভাষা-জাতি পরিচয়কে হুমকির মুখে ফেলছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জুলাইয়ে এক্সে ‘জনসংখ্যার এক উদ্বেগজনক পরিবর্তন’ সম্পর্কে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, তাঁর রাজ্য ‘সীমান্ত পেরিয়ে মুসলিম অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ’ গড়ে তুলেছে। আসামে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মুসলমান। বাংলাভাষী পরিচয় এখানকার বহু পুরোনো সমস্যা। রাজ্যের সর্বশেষ বহিষ্কার অভিযানে হিমন্ত শর্মা ১৯৫০ সালের আইনের কথা উল্লেখ করেন। এর মাধ্যমে রাজ্যটি বিচার ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে সন্দেহভাজন অবৈধ
অভিবাসীদের বহিষ্কার করেছে।
উভয় দেশের সীমান্তের দুই পাশে কোটি কোটি মানুষ এ ভাষায় কথা বলে। কয়েক হাজার ভারতীয় বাংলাভাষীকে আটক বা বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদের বেশির ভাগ মুসলমান। অনেকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। কয়েক দশক ধরে এ রাজ্যের তরুণরা কাজের জন্য ভারতের অন্যান্য বড় শহরে যাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, কয়েক লাখ অনিবন্ধিত বাংলাদেশি ভারতে বাস করেন। দুই দেশের সীমান্ত দিয়ে তারা বৈধ বা অবৈধভাবে যাতায়াত করেন। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষী মানুষের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে অভিযান চালান হচ্ছে। অনিবন্ধিত অভিবাসী থাকার প্রমাণও মিলছে। গত জুলাই থেকে রাজধানীর নয়াদিল্লির উপশহর গুরুগ্রামের কর্তৃপক্ষ অবৈধ অভিবাসী খুঁজতে অভিযান চালাচ্ছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গুরুগ্রাম পুলিশ কয়েকশ মানুষকে আটক করেছে। এদের মধ্যে অনেকের ভারতে বৈধভাবে
বসবাসের নথি রয়েছে। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই অভিযান শুরু হওয়ার পর কয়েকশ গরিব বাংলাভাষী মানুষ পুলিশি হয়রানির ভয়ে শহর ছেড়ে পালিয়েছে। গুরুগ্রাম পুলিশ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার বলেন, এই অভিযানে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনকে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শহর ছেড়ে পালানোর কথা গুজব। গুরুগ্রামে আটক-সংক্রান্ত মামলা নিয়ে কাজ করা আইনজীবী সুপান্থ সিনহা বলেন, শহর ছেড়ে পালানোর সংখ্যা এক হাজারের কাছাকাছি। অভিযান চালানো চারটি রাজ্যের এক ডজন মুসলিম ও হিন্দু বাংলাভাষী জানান, তারা সরকারি এই অভিযানের ভয়ে আছেন। অভিজিৎ পাল (১৮) বলেন, তিনি পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে
গুরুগ্রামে গিয়েছিলেন। যখন তাঁর বস্তিতে অভিযান চালানো হয়, তখন পুলিশকে পরিচয়পত্র দেখান। এর পরও তাঁকে পাঁচ দিন আটকে রাখা হয়। সমাজকর্মীরা তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্বের পক্ষে পুলিশকে অতিরিক্ত নথি সরবরাহ করার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফের আটক হওয়ার ভয়ে তিনি গুরুগ্রাম ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে এসেছেন। এখন বেকার। তিনি বলেন, ‘আমি আবার ধরা পড়ার ভয়ে আছি। কারণ আমি বাংলায় কথা বলি।’ মানবাধিকার গোষ্ঠী ও আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে সরকার এ অভিবাসন অভিযান চালাচ্ছে। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গত এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলাকে দেশটির মুসলিমদের ওপর পদ্ধতিগত নিপীড়নের হাতিয়ার করে তুলেছে। রাজ্য পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গুজরাটে অন্তত ৬,৫০০, কাশ্মীরে ২,০০০
এবং রাজস্থানে প্রায় ২৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। রাজস্থানে মে মাসে তিনটি নতুন অস্থায়ী বন্দিশালা তৈরি করা হয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে বহিষ্কৃত মানুষের সঠিক সংখ্যা এখনও অজানা। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মে থেকে জুলাই পর্যন্ত ভারত থেকে প্রায় দুই হাজার মানুষকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভারত এই সংখ্যা নিশ্চিত করেনি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জুলাইয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারায় কয়েক ডজন মানুষকে পুনরায় ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে ভারত। সংস্থাটির এশিয়াবিষয়ক উপপরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেছেন, এই অভিযানের লক্ষ্যবস্তু মূলত দরিদ্র মুসলিম অভিবাসী শ্রমিক। আমির শেখ (২১) পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজস্থানে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন। তাঁর চাচা আজমাউল শেখ বলেন, পরিচয়পত্র এবং
জন্মসনদ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ ভাতিজাকে গত জুনে আটক করে। তিন দিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পর পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিজেপি নেতারা রাজ্য এবং জাতীয় পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে ‘অনুপ্রবেশকারীদের কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করছেন। এটা ভারতের বহু ধর্ম-ভাষা-জাতি পরিচয়কে হুমকির মুখে ফেলছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জুলাইয়ে এক্সে ‘জনসংখ্যার এক উদ্বেগজনক পরিবর্তন’ সম্পর্কে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, তাঁর রাজ্য ‘সীমান্ত পেরিয়ে মুসলিম অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ’ গড়ে তুলেছে। আসামে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মুসলমান। বাংলাভাষী পরিচয় এখানকার বহু পুরোনো সমস্যা। রাজ্যের সর্বশেষ বহিষ্কার অভিযানে হিমন্ত শর্মা ১৯৫০ সালের আইনের কথা উল্লেখ করেন। এর মাধ্যমে রাজ্যটি বিচার ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে সন্দেহভাজন অবৈধ
অভিবাসীদের বহিষ্কার করেছে।